জিম্বাবুয়ের - TopicsExpress



          

জিম্বাবুয়ের টয়লেটগুলোতে লেখা থাকে, use of dollar, newspaper, clothes are strongly prohibited. please use tissue paper... অর্থাৎ টয়লেট শেষে ডলার, পেপার, কাপড় নয়, টিস্যু ব্যবহার করবেন। লেখাটির অবশ্য কারণও আছে। সেখানে মুদ্রাস্ফীতি এতো বেশি যে, শেষে তারা ১০০ বিলিয়ন (১ বিলিয়ন= ১০০ কোটি) জিম্বাবুয়েন ডলারের নোট পর্যন্ত ছাপাতে বাধ্য হয়েছিল। তিনটি ডিমের দাম ১ বিলিয়ন ডলার সেখানে। এক প্যাকেট টিস্যু কিনতে কয়েক বিলিয়ন ডলার লাগে। তাই লোকজন আর টিস্যু কিনে না। টয়লেট শেষে একটা জিম্বাবুয়েন ডলার দিয়ে মুছেই শৌচকার্য সম্পাদন করে... আর ইন্ডিয়াতো ঠিক তার উল্টো। লোকজন টয়লেটের ধারই ধারে না। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ উন্মুক্ত জায়গায় কাজ সারে। স্বামীর বাড়িতে টয়লেট নেই, এই জন্য বউ চলে গেছে- এমন খবর মাঝে মাঝেই পেপারে আসে। এই জন্য ইন্ডিয়াকে বলা হয় বিশ্বের বৃহৎ উন্মুক্ত টয়লেটের দেশ... আজকে সারাদিন বিদ্যুৎ ছিল না, সাথে পানিও ছিল না। জিম্বাবুয়ে হলে হয়তো পানির বদলে ডলার দিয়ে কাজ সারা যেত, কিংবা ইন্ডিয়া হলে খোলা মাঠে... কিন্তু আমরা বাংলাদেশীরা সভ্যজাতি। ওসবে কি মানায়। গ্রামে যারা আছে তারা নলকূপের পানি, আর শহরের লোকেরা বোতলের কেনা পানির উপরই নির্ভরশীল হয়ে পরে। আজ সারাদেশে সামান্য ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না, আর অ্যাপোক্যালিপস কেমন হবে তার নমুনা হাড়েহাড়ে টের পেল সবাই। ধরুন, চারিদিকে কোন বিদ্যুৎ নেই, পেট্রোল নেই, গ্যাস নেই, যান্ত্রিক কোন কিছুই নেই। লোহার মজুত শেষ, সকল খনিজ পদার্থের মজুতও শেষ। ট্যাঙ্ক, বিমান, মিসাইল, রাইফেল- কোন অস্ত্র-শস্ত্রও আর কাজ করছেনা। কোন এক মারাত্মক প্রাকৃতিক ঘটনায় পুরো সভ্যতার হঠাৎ করে বিপর্যয়। ধীরে ধীরে সবাই আবার আদিমযুগের দিকে ধাবিত হচ্ছে। পানি খাওয়ার জন্য সেই পুরাতন কূপ কিংবা নদীর পানির উপর নির্ভরশীল। এটাই হল অ্যাপোক্যালিপস। সভ্যতার বিপর্যয়। এটা হওয়া যে অসম্ভব কিছু না, সেটা এমনিতেই বুঝা যায়। কৃত্রিম সিস্টেম জ্যামার তৈরি করে নির্দিষ্ট এলাকায় বিমান চলাচল নিস্ক্রিয় করে দেওয়া যায়। হয়তো কোন একদিন এমন কিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলে আসবে, সেটা হবে ন্যাচরাল জ্যামার। যার প্রভাবে পুরো পৃথিবীর সকল যান্ত্রিক কিছু বিকল হয়ে যাবে। এটাই অ্যাপোক্যালিপটিক থিওরি। ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্ব ধ্বংস হওয়ার আগে ঠিক এমনটাই ঘটবে বলে অনেকে বিশ্বাস করে। এরপর ইশা (আঃ), দাজ্জালের আগমন... শুরু হবে সেই ভয়াবহ যুদ্ধ। মুসলিমরা জিতবে... তারপর কিয়ামত... এন্ড অভ দ্য ওয়ার্ল্ড... Universal Cataclysm. সামান্য বিদ্যুৎ নাই বলেই আজ যে অবস্থা, যেদিন কিছুই থাকবেনা সেদিন যে কি হবে ভাবতেই অকল্পনীয় লাগে। তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে কিয়ামত কখন ঘটবে? বল, এ বিষয়ে জ্ঞান শুধু আমার প্রতিপালকেরই আছে। শুধু তিনিই যথাসময়ে তা প্রকাশ করবেন। তা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে একটি ভয়ংকর ঘটনা হবে। আকস্মিকভাবেই তা তোমাদের উপর আসবে। (সূরা-আরাফ:১৮৭)
Posted on: Sun, 02 Nov 2014 18:01:56 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015