ঠাকুরের বাণী পড়ুন। মনে - TopicsExpress



          

ঠাকুরের বাণী পড়ুন। মনে সাহস পাবেন। শেয়ার করে অন্যকে পড়ার সুযোগ দিন। ঠাকুর কৃপা করবেন আমাদের। - জগতে মানুষ যত কিছু দুঃখ পায় তার অধিকাংশই আসে কামিনী কাঞ্চনে আসক্তি থেকে, ও দুটো থেকে যত দূরে সরে থাকা যায় ততই মঙ্গল। ভগবান শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণদেব সবাইকে বিশেষ করে বলেছেন, কামিনী-কাঞ্চন থেকে তফাৎ তফাৎ খুব তফাৎ থাক। কামিনী থেকে কাম বাদ দিলে ইনি মা হয়ে পড়েন। বিষ অমৃত হয়ে গেল। আর মা মা-ই, কামিনী নয়কো। মার শেষে গী দিয়ে ভাবলেই সর্বনাশ। সাবধান! মা কে মাগী ভেবে মর না। প্রত্যেক মাই জগজ্জনী। প্রত্যেক মেয়েই নিজের মায়ের বিভিন্ন রুপ, এমতর ভাবতে হয়। মাতৃভাব হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত না হলে স্ত্রীলোকে ছুতে নেই—যত দূরে থাকা যায় ততই ভাল; এমনি কি মুখদর্শন না করা আরও ভাল। আমার কামক্রোদাদি গেলনা গেলনা বলে চিৎকার পাড়লে তারা যায় না। এমন কর্ম, এমন চিন্তা, অভ্যাস করে নিতে হয় যাতে কামক্রোধাদির গন্ধও নেই- মন যাতে ওসব ভুলে যায়। মনে কামক্রোধাদির ভাব এলে কী করে তার প্রকাশ পাবে? উপায় উচ্চতর উদার ভাবে নিমজ্জিত থাকা। সৃষ্টতত্ব, গণিতবিদ্যা, রসায়ণশাস্ত্র, ইত্যাদির আলোচনায় কামরিপুর দমন থাকে। কামিনী কাঞ্চন সম্পর্কিত যে কোন প্রকার আলোচনাই ওতে আসক্তি এনে দিতে পারে। ও সব আলোচনা থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই ভাল। - সত্যদর্শীর আশ্রয় নিয়ে স্বাধীনভাবে চিন্তা কর, এবং বিনয়ের সহিত স্বাধীন মত প্রকাশ কর। বই পড়ে বই হয়ে যেও না, তার essence* কে মজ্জাগত করতে চেষ্টা কর। Pull the husk to draw the seed.*। উপর-উপর দেখেই কিছু ছেড়ো না বা কোন মত প্রকাশ করো না। কোনও-কিছুর শেষ না দেখলে তার সম্বন্ধে জ্ঞানই হয় না।, আর না জানলে তুমি তার বিষয়ে কি মত প্রকাশ করবে? যাই কেন কর না, তার ভিতর সত্য দেখতে চেষ্টা কর। সত্য দেখা মানেই তাকে আগাগোড়া জানা, আর তাই জ্ঞান। যা’ তুমি জান না, এমন বিষয়ে লোককে উপদেশ দিতে যেও না। - নিজের দোষ জেনেও যদি তুমি তা ত্যাগ করতে না পার, তবে কোন মতেই তার সমর্থন করে অন্যের সর্বনাশ কর না। তুমি যদি সৎ হও তোমার দেখাদেখি হাজার হাজার লোক সৎ হয়ে পড়বে। আর যদি অসৎ হও তোমার দুর্দ্দশার জন্য সমবেদনা প্রকাশের কেউই থাকবে না; কারণ তুমি অসৎ হয়ে তোমার চারিদিকই অসৎ করে ফেলেছ। তুমি ঠিক ঠিক জেন যে তুমি তোমার, তোমার নিজ পরিবারের, দশের এবং দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য দ্বায়ী। নাম যশের আশায় কোন কাজ করতে যাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু কোন কাজ নিঃস্বার্থভাবে কর’তে গেলেই কায্যের অনুরুপ যশ তোমার সেবা করবেই করবে। নিজের জন্য যাই করা যায় তাই সকাম, আর, অন্যের জন্য যা করা যায় তাই নিষ্কাম। কারো জন্য কিছু না চাওয়কেই নিষ্কাম বলে—শুধু তা নয়কো। দিয়ে দাও নিজের জন্য কিছু চেও না, দেখবে, সব তোমার হয়ে যাচ্ছে। - তুমি অন্যের নিকট যেমন পেতে ইচ্ছা কর, অপরকেও তেমনি দিতে চেষ্টা কর- এমনতর বুঝে চলতে পারলেই যথেষ্ট- আপনিই সবাই তোমাকে পছন্দ করবে, ভালবাসবে। নিজে ঠিক থেকে সবাইকে সৎভাবে খুশি করতে চেষ্টা কর, দেখবে সবাই তোমাকে খুশি করার চেষ্টা করছে। সাবধান নিজত্ব হারিয়ে কাউকে খুশি করতে যেও না, তাহলে তোমার দূর্গতির সীমা থাকবে না। - কাজ করে যাও কিন্তু আবদ্ধ হয়ো না। যদি বিষয়ের পরিবর্তনে তোমার হৃদয়ে পরিবর্তন আসছে বুঝতে পার, আর সে পরিবর্তনগুলো তোমার বাঞ্চনীয় নয়, তবে ঠিক জেনো তুমি আবদ্ধ হয়েছ। কোন প্রকার সংস্কারে আবদ্ধ থেকো না, একমাত্র পরমপুরুষের সংস্কার ছাড়া যা কিছু সবই বন্ধন। তোমার দর্শনের-জ্ঞানের পাল্লা যতটুকু অদৃষ্ট ঠিক তারই আগে; দেখতে পাচ্ছ না জানতে পাচ্ছ না, তাই অদৃষ্ট। তোমার শয়তান অহংকারী আহম্মক আমিটাকে বের করে দাও; পরমপিতার ইচ্ছায় তুমি চল, অদৃষ্ট কিছুই করতে পারবে না। পরমপিতার ইচ্ছাই অদৃষ্ট। তোমার সব অবস্থার ভিতর তার মঙ্গল- ইচ্ছা বুঝতে চেষ্টা কর, দেখবে কাতর হবে না, বরং হৃদয়ে সফলতা আসবে।, দুঃখেও আনন্দ পাবে। কাজ করে যাও , অদৃষ্ট ভেবে ভেঙ্গে পড় না; আলসে হয়ো না, যেমন কাজ করবে তোমার অদৃষ্ট তেমনি হয়ে দৃষ্ট হবেন। সৎকর্মীর কখনও অকল্যান হয় না। একদিন আগে আর পাছে। পরমপিতার দিকে তাকিয়ে কাজ করে যাও। তাঁর ইচ্ছাই অদৃষ্ট; তা ছাড়া আর-একটা অদৃষ্ট-ফদৃষ্ট বানিয়ে বেকুব হয়ে বসে থেকো না। অনেক লোক অদৃষ্ট নেই বলে হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকে, অথচ নির্ভরতাও নেই , শেষে সারা জীবন দুর্দ্দশায় কাটায়, ওসব আহম্মকী। তোমার তুমি গেলেই অদৃষ্ট ফুরুলো, দর্শনও নাই অদৃষ্টও নাই। জয় গোবিন্দ। জয় গোবিন্দ। জয় গোবিন্দ — শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকুলচন্দ্র সৎসঙ্গ,
Posted on: Fri, 26 Dec 2014 14:27:45 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015