তাদের অবরোধ কর!- আদাম - TopicsExpress



          

তাদের অবরোধ কর!- আদাম ইয়াহইয়া গাদাহন হাফিযাহুল্লাহ ফিলিস্তিন মুক্ত করা এবং খিলাফাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠার বাস্তবিক পদক্ষেপ... [Resurgence ম্যাগাজিনের মূল প্রবন্ধ] (৩ পর্বে সমাপ্ত) (২য় পর্ব) পাঠকরা হয়ত ভাবছেন কেন আমি ফিলিস্তিন এবং আল-আকসার এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাস উল্লেখ করলাম। আপনি জেনে অবাক হবেন যে মুসলিমদের বিরাট একটা অংশ ফিলিস্তিনের ইসলামি ইতিহাসের ব্যাপারে অজ্ঞ, অসচেতন। যার কারণে আজকে তারা ইহুদীদের প্রোপাগান্ডাতে প্রভাবিত। ফিলিস্তিনে ইহুদীদের দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনিদের উপর নিয়মতান্ত্রিক নির্যাতন অত্যাচার, একের পর এক গনহত্যা- মূলত সাইক্স-পিকোট চুক্তির অনিবার্য পরিনতি, যে ন্যাক্কারজনক চুক্তিটি ১৯১৬ সালে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া গোপনে তৈরি করে, অতঃপর ১৯১৭ সালে বিশ্বের সামনে প্রকাশ করে। এই চুক্তিটি কত বিধ্বংসী ও আত্মঘাতী তার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হচ্ছে গাযায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন। যার স্বীকার হয়ে ২০০০ এরও অধিক মুসলিম প্রান হারিয়েছেন এবং ৮০০০ এরও অধিক আহত হয়েছেন। এককালের পরাশক্তি ও ঐক্যবদ্ধ মুসলিম জাতিকে পশ্চিমাদের তৈরি এই অনিষ্টকর চুক্তি কয়েক ডজন ছোট ছোট দূর্বল ও নিস্তেজ রাষ্ট্রে বিভক্ত করেছে। আর এই রাষ্ট্রগুলোর শাসনকার্যও এই পশ্চিমাদেরই প্রতিনিধি ও দালালদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। ফিলিস্তিনে ইহুদীদের দখলদারিতা অব্যাহত থাকবে, সেখানকার মুসলিম জনগোনের উপর তাদের নির্মম অত্যাচার, দমন-পীড়ন জারি থাকবে, তাদের অমানবিক অপরাধের জন্য কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবে না, কারো প্রতিবাদ-প্রত্যাঘাতের ভয়ও থাকবে না- এই সবকটা হচ্ছে জাতিসংঘের প্রতি এই ছোট ছোট মুসলিম দেশগুলোর সমর্থনের প্রতক্ষ্য ফলাফল। জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার কারণে এই দেশগুলো জাতিসংঘের Security Council (নিরাপত্তা পরিষদ) এর সমস্ত সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য, অথচ এই সিকিউরিটি কাউন্সিল মার্কিনিদের দ্বারা পরিচালিত এবং তাদের সমস্ত কার্য-কর্ম ইসরাইল কর্তৃক প্রভাবিত। সাথে সাথে এই দেশগুলোকে অপরাপর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর, বিশেষ করে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ও ভূখন্ডগত সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে বাধ্য করা হয়। সাইক্স-পিকোট, জাতিসংঘ সনদ এবং এ জাতীয় সকলপ্রকারের মৈত্রী চুক্তিকে প্রত্যাখ্যান ও বিলুপ্তিসাধনের মাধ্যমেই কেবল ফিলিস্তিনসহ স্পেন থেকে নিয়ে পূর্ব তুর্কিস্তান পর্যন্ত সমস্ত দখলীকৃত মুসলিম ভূমি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। কেবলমাত্র এই একটি উপায়েই এই ভূখন্ডগুলোর মুসলিম জনগণ ইসলামী খিলাফাহর ছায়াতলে থেকে নিরাপত্তা, সম্মান ও মর্যাদার জীবন লাভ করতে পারবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মানচিত্র থেকে ‘ইসরাইল’ মুছে না যাচ্ছে, মার্কিন সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতায় ইহুদীরা গাযাকে একটি আধুনিক বন্দীশালা বানিয়ে রাখবে, এবং সামান্য ছুতোয় এখানে নির্বিচারে গোলাবর্ষন করে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মানচিত্র থেকে ‘ইসরাইল’ মুছে না যাচ্ছে, ফিলিস্তিনি শিশুরা বিরামহীন ভীতির মধ্য দিয়ে বড় হবে, ইসরাইলি বোমাবর্ষনের আতঙ্কে এবং মৃত্যুর মিছিল ও ধ্বংসযজ্ঞে তাদের অনুভুতিপ্রবন মন চিরদিন জখম হয়ে থাকবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মানচিত্র থেকে ‘ইসরাইল’ মুছে না যাচ্ছে, ফিলিস্তিনের শিশুরা দারিদ্র্য ও বঞ্চনার কষ্ট ভোগ করবে, এবং শুধু তাদের ঘরবাড়ি এবং সুস্বাস্থ্য থেকে বঞ্চিত হবে না, বরং এগুলো সহ তাদের জীবন ও প্রিয়জনের সান্নিধ্য থেকেও বঞ্চিত হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত মানচিত্র থেকে ‘ইসরাইল’ মুছে না যাচ্ছে, ফিলিস্তিনের শিশুরা দেখতেই থাকবে যে তাদের বাবা-মা এবং ভাই-বোন তাদের চোখের সামনে গুলিতে মারা যাচ্ছে, তাদের বাবা-মা দেখবে যে তাদের সন্তানরা তাদের কোলেই নিহত হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত মানচিত্র থেকে ‘ইসরাইল’ মুছে না যাচ্ছে, গাযার ফিলিস্তিনি মা-বাবারা তাদের সন্তানদের ধুঁকে ধুঁকে করুণভাবে মৃত্যু বরণ করতে দেখবে, কারন গাযাতে চিকিৎসা সুবিধা অপ্রতুল, হাসপাতালগুলো প্রয়োজনীয় কর্মী ও সাপ্লাই এর অভাবে সঠিক চিকিৎসা প্রদানে অক্ষম। অথচ ইসরাইলিরা এই হাসপাতালগুলোকেও তাদেল বিমান হামলা থেকে রেহাই দেয় নি, যেমন তারা আশ-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে ঈদ-উল-ফিতরের মত দিনে পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে। (সেদিন তারা ইউদের একটি খেলার মাঠেও হামলা করেছে, যাতে তারা কমপক্ষে ৮ জন শিশু হত্যা করেছে)। যতক্ষণ পর্যন্ত মানচিত্র থেকে ‘ইসরাইল’ মুছে না যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তির ছত্রছায়ায় এই ধরনের অবর্ণনীয় অপরাধ ঘটতেই থাকবে যা বেগবান করছে প্রকাশ্য আঁতাত ও মর্যাদাহানীকর নীরবতার; এখানে আমি আমিরুল মুমিনিন মুল্লা মুহাম্মাদ উমর মুজাহিদ (আল্লাহ তাঁকে সুরক্ষিত রাখুন) এর একটি উদ্ধৃতি দিতে চাই – যা তিনি ১৪৩৫ হিজরি ঈদ-উল-ফিতরে বলেছিলেন, ‘আমরা নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরাইলিদের অসভ্য আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, এবং প্রকাশ্যভাবে এর বিরোধিতা করছি- যাতে হাজারো লক্ষ মানুষ হত্যা, আহত বা বাস্তুচ্যুত হয়েছে এই পবিত্র রমযান মাসে। আমরা পৃথিবীকে জানাতে চাই – বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বকে জানাতে চাই – এই অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলুন, চুপ থাকবেন না, কারন তাদের ক্ষেত্রে নীরব থাকলে তা হবে অন্যায় এবং তার মানে দাঁড়াবে সকলের পরাজয়; এবং জরুরী ও বাস্তব পদক্ষেপ অবশ্যই নিতে হবে যাতে এই অত্যাচার ও আগ্রাসন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঝুঁকির মুখে না ফেলে।’ বর্তমানে আমরা এমন এক বর্বর শত্রু-জোটের মুকাবিলা করছি যার কাজ মানবতা, সহাবস্থান এবং যুক্তিসঙ্গত সংলাপের পরিভাষার সম্পূর্ন বিপরীত বরং এই উপাদানগুলো সে ভন্ডামির সাথে ব্যবহার করে এবং বাকি পৃথিবী যেন তা মেনে নেয় তার দাবী করে, যদিও সে মানবতা ও সহাবস্থানের প্রত্যেকটি নীতিকে অবজ্ঞা করে। গাযার বাড়িঘর, স্কুল, আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল ও শিশুদের খেলার জায়গার উপর নিষ্ঠুর ও নির্দয় বোমা হামলা এবং এই উপত্যকার উপর ইহুদী, ক্রুসেডার এবং এদের মিত্রদের আন্তর্জাতিক নির্মম অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে আগ্রাসন এবং এই আগ্রাসনের ও ফিলিস্তিনের উপর মিথ্যা দাবীর সমর্থনে আছে ইহুদীরা, এবং এ কারনেই কোন মুসলিমের পক্ষেই তা উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। যাই হোক, অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা হচ্ছে নিয়মসম্মত ও কার্যকর সামরিক কৌশল যখন তা সত্য ও পক্ষের লোকেদের নিরাপত্তায় আনুপাতিক হারে ব্যবহার করা হয় । ইতিহাসে মুসলিম সেনাবাহিনী এই কৌশল অসংখ্যবার সফলভাবে প্রয়োগ করেছে, বনু কুরাইযার ইহুদিদের উপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর অবরোধ, কনস্টান্টিনোপল এর উপর অটোমানদের অবরোধ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত, এবং ইরাকি মুজাহিদিনদের বাগদাদ ও গ্রিন জোনে ক্রুসেডার ও এর দালালদের বিরুদ্ধে অবরোধ, যে অবরোধ এই কোয়ালিশনকে দূর্বল ও কার্যকরভাবে পরাজিত করতে মূখ্য ভূমিকা রেখেছে। ফিলিস্তিনি শহর ও গ্রামের উপর ইসরাইলের উপর্যুপরি আগ্রাসন এবং গাযার অরক্ষিত জনগনের উপর দমনমূলক নিষেধাজ্ঞা এভাবে চলতে পারে না যেভাবে মুসলিম বিশ্বকে দূঃখজনকভাবে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। আমাদের সময় এসেছে আগুনকে আগুন দিয়ে মুকাবিলা করার, ইহুদী ও ক্রুসেডারদের উপর আমাদের নিজস্ব অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার এবং তাদের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড ও রক্তপ্রবাহ, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থায়ন দ্বারা উপস্থাপিত হয়, তার উপর আঘাত করা, সেখানেই আঘাত করা যেখানে ব্যাথা লাগে। শত্রু রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বানিজ্যকে মুজাহিদিনদের অকার্যকর করে দিতে হবে, অথবা কমপক্ষে, এর খরচ বাড়িয়ে দিতে হবে, ইসলামি সামুদ্রিক এলাকা, বন্দর, খাল এবং প্রনালীতে তাদের মালবাহী জাহাজ ও নৌ-বানিজ্যের উপর আঘাত হেনে, গভীর সমুদ্রে, এবং তাদের নিজস্ব সমুদ্রসীমায়, এবং তাদের শিপিং রুটকে যখন, যেখানে, যেভাবে পারা যায় বিপর্যস্ত করে। তাদের যেকোন জাহাজ আক্রমনের জন্য বৈধ নিশানা, আর রপ্তানী হচ্ছে যেকোন দেশের অর্থনীতির জন্য প্রধান উপাদান, এমনকি পশ্চিমাদের অর্থনীতির জন্যও। অমূল্য তেল ও খনিজ সম্পদ যা শত্রুরা আমাদের থেকে চুরি করছে এবং তা দিয়ে তাদের যুদ্ধনীতি সচল রাখছে, মুজাহিদিনদের তার সরবরাহকে বন্ধ করতে হবে, মুজাহিদিনদের ইসলামি ভূমিতে ক্রুসেডারদের পরিচালিত তেল-কূপ স্যাবোটাজ করতে হবে এবং পাইপ লাইনগুলোর মাধ্যমে তেল উপকূলীয় এলাকাতে পৌছানো ও শত্রুর হাতে পড়ার পূর্বেই তা ধ্বংস করতে হবে, শত্রুর নিজস্ব সমুদ্রসীমায় তাদের সুপার-ট্যাঙ্কার ডুবিয়ে দিয়ে ও অয়েল-রিগ গুলো স্যাবোটাজ করে, এবং এভাবে, তাদের আকর্ষনীয় লাভজনক ফিশিং ইন্ডাস্ট্রি ধ্বংস করে দিতে হবে যেভাবে তারা আমাদেরটা করেছে গাযা, সোমালিয়া ও অন্যান্য স্থানে। একই সাথে, মুসলিমদের অবশ্যই আমেরিকান, ক্রুসেডার ও ইহুদী পন্য, গাড়ি থেকে কম্পিউটার থেকে চকলেট থেকে পোশাক, বয়কট করতে হবে এবং আমাদের অবশ্যই সর্বতোভাবে স্থানীয় বিকল্প পন্য উৎপাদন, ক্রয় ও সমর্থন করতে হবে। প্রধান পশ্চিমা কোম্পানি ও বহুজাতিক কর্পোরেশন যেমন ওয়াল মার্ট, ম্যাকডোনাল্ড’স, প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল, মাইক্রোসফট, নেসলে, ইউনিলিভার ইত্যাদি হচ্ছে আধিপত্যবাদী বিশ্বায়নের প্রতীক যা চিহ্নিত হয় দূর্বল ও দরিদ্রের শোষনের মাধ্যমে, এবং স্থানীয় অর্থনীতির ধ্বংসের মাধ্যমে। মুসলিম হিসেবে এবং মুজাহিদিন হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে যেকোন মূল্যে এটা থামানো। মুসলিমদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিত্যাগ করতে হবে, কারন শুধু এই নয় যে এগুলো তথাকথিত ‘ইন্টারেস্ট/ইউজুয়ারি’ (সুদ/চক্রবৃদ্ধি সুদ) এর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত, যার ব্যবহারকারি, অপ-ব্যবহারকারি ও সুবিধাভোগিদেরকে আল্লাহ তাঁর সাথে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন (দেখুন কুর’আন ০২ : ২৭৫-২৮১)। পশ্চিম-চালিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আরেকটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হোল ব্যাংক যা মুসলিম ও পৃথিবীর নিপীড়িত মানুষদের দাস বানিয়ে রাখার এক কার্যকর উপায়। প্রকৃত পক্ষে, মুসলিমদের অবশ্যই সোনা, রূপা ও অন্যান্য মৌলিক পণ্যসামগ্রীকে বিনিময়ের মান ও মাধ্যম হিসেবে পুনঃপ্রবর্তনের জন্য চেষ্টা শুরু করতে হবে, শিল্প উৎপাদনকে আকৃষ্ট করার জন্য পণ্য-বিনিময় প্রথা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করতে হবে যার ভিত্তি হবে স্থানীয় ইসলামি অর্থনীতি এবং যাতে করে শত্রুর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতির উপর সক্ষমতা অর্জন করতে পারি। স্বর্নমান বিনিময় ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন দরকার এই জন্য যাতে ফ্র্যাকশনাল রিজার্ভ ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপরে আমরা জয়ী হতে পারি যা শূন্য থেকে মুদ্রা তৈরী করে, আমাদের বাজার ও অর্থনীতিকে পশ্চিমাদের সাথে বেধে ফেলে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, International Monetary Fund, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ইত্যাদি সংগঠনের করুনার উপর আমাদের নির্ভরশীল করে তোলে এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা, অর্থনৈতিক অবরোধ এবং অন্যান্য অসংখ্য ধরনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের সমাজ, সংস্কৃতি, সরকার ও ধর্মকে অরক্ষিত করে রাখে। কেউ বলতে পারে, ‘কুফরের আন্তর্জাতিক জোটের পরাজয় ও বৃহত্তর ইসলামি রাষ্ট্র গঠন ছাড়া কী মুসলিমদের এই আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার জাঁতাকল থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করা যৌক্তিক হবে?’ আমার উত্তর হবে, ‘হ্যাঁ, ইসলামের বিজয়ের জন্য মুসলিমদের নিজেদেরকে আর্থিক এবং অর্থনৈতিকভাবে (financially and economically) প্রস্তুত করা সম্পূর্ন ভাবে যৌক্তিক, ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হওয়ার জন্য যেভাবে নিজেদেরকে ধর্মীয়, সামরিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রস্তুতি, সংগঠিত ও শিক্ষিত করতে উৎসাহ দেই ঠিক সেভাবেই!’ (২য় পর্ব সমাপ্ত) প্রবন্ধটির ১ম পর্বের লিংক- on.fb.me/1zPAf7K
Posted on: Sun, 14 Dec 2014 07:02:36 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015