নিনিতা ও জয়। . লেখাঃ - TopicsExpress



          

নিনিতা ও জয়। . লেখাঃ একাকী_একটি_ছেলে। . . দুপুর ২.১০ মিনিট নিনিতা পার্কের একটা বেঞ্চে বসে আছে। জয়ের আসার কথা ২ টায়। জয় সাধারণত দেরি করে না নিনিতার আগেই চলে আসে আজকেন আসছে না।খুব দরকার জয় কে নিনিতার। কারণ নিনিতার বিয়ের কথা চলছে বাসায় কালকেও পাত্র পক্ষ দেখে গেছে। জয়ের সাথে বিষয়টা নিয়ে খোলা মেলা আলোচনা করা উচিৎ। খুব রাগ লাগছে নিনিতার যদিও রাগ করার মত কোন কারণ হয় নি দেরি হতেই পারে কারণ অনেক জ্যাম থাকে রাস্তায় তার পরেও হচ্ছে রাগটা হচ্ছে টেনশনের কারণে। . ঐ তো জয় আসছে মাথা নিচের দিকে দিয়ে কোন দিকে খেয়াল নাই। নিনিতার ইচ্ছা জয়ের খেয়ালি পনার জন্য এক দিন ইচ্ছা মত বকে দিবে কিন্তু সেটা হয়ে উঠে না কারণ জয় এমন সব কাণ্ড করে যে নিনিতা হেসে দেয় আজকেও হয়ত এমন কিছু করবে যে নিনিতা হেসে ফেলবে। জয় নিনিতার পাশে বসল বসে এক পলক তাকিয়ে ইচ্ছা মত মাথা চুলকাচ্ছে তার মানে এই না জয়ের মাথায় উকুন বা খুসকি। নিনিতা খুব ভাল করেই জানে জয় এখন একটা কথা বলবে যেই কথাটা শুনলে নিনিতার সকল রাগ পানি হয়ে যাবে জয় কি কারণে জানি এই সহজ কথাটা বলতে পরে না সরাসরি। যদিও এই কথাটা জয় খুব কমি বলেছে এই ৩ বছরের রিলেশনের জীবনে। জয় আস্তে করে বলল “তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে আজকে” . নিনিতা কিছু বলল না অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নিল কারণ কথাটা শুনে তার চোখে আন্দের এক ফোঁটা পানি এসেছে। যদিও সে আজকে কোন সাজগোজ করে নাই এমনি কলেজের নাম দিয়ে চলে এসেছে এই পার্কে। নিনিতা হালকা গলায় বলল... . -- তোমার সাথে আমার জরুরি কথা আছে। -- জরুরি কথা পরে বল আগে নুডুস দেও খেয়ে নেই। -- মানে নুডুস পাব কোথায়? -- তাহলে তুমি আমাকে এই দুপুর বেলা আমাকে ডাকলে কেন? -- শোন ফালতু কথা বলার সময় আমার হাতে নাই যা বলি মন দিয়ে শোন। -- হাঁ বল । -- কয়েক মাস ধরেই আমাকে দেখতে আসছে ছেলে পক্ষ আমি বিভিন্ন ওজুহাতে তাদের না করে দেই। কিন্তু গত কাল যেই ছেলে আসছে সেই ছেলেকে কোন ভাবেই না করা সম্ভব না কারণ আমার ফ্যামিলির প্রতিটা মেম্বার তাঁকে পছন্দ করেছে সো আমার না করাতে কিছু হবে না। সপ্তা খানেকের ভিতরে বিয়ের ডেট ফাইনাল করবে। সো কিছু একটা কর। . -- আচ্ছা ছেলে পক্ষ কনে দেখে কত টাকা দিছে। মানে তোমাকে কত টাকা দিছে তারা। -- তোমার মাথায় কি সমস্যা আছে কি বলছ এখন এই সব টাকার হিসেব কেন? -- আরে বাবা বল না কত টাকা দিছে? -- ২ হাজার আর প্লিজ বলবা তুমি এখন কেন এই আজব আজব প্রশ্ন করছ। -- সেই টাকা সাথে আছে। -- হাঁ আছে। -- চল একটা রেস্টুরেন্টে বেসে বিস্তারিত প্ল্যান করি কারণ ক্ষুধার্ত পেটে কোন সিধান্ত ভাল হয় না। . নিনিতা কোন কথা না বলে জয়ের কথা মতই রেস্টুরেন্টের পথে পা বাড়ালও কারণ সে ভাল করেই জানে জয়কে এখন সে যত কথাই বলবে কোন লাভ হবে না জয় ঘুরে ঘুরে সেই খাবারের কথাই বলবে। তবে নিনিতা এইটা ভাল করেই জানে জয় নিনিতাকে জয়ের জীবনের থেকে বেশি ভালবাসে এই বিশ্বাস আছে জয়ের। একবার রিক্সার সাথে লেগে নিনিতার হাত একটু কেটে গিয়েছিল সেই সময়ে জয়ের অস্থিরতার কথা মনে পরলে এখন ও আনন্দে জয়ের চোখে পানি চলে আসে। খাওয়া শেষে জয় শুরু করল.... . -- আচ্ছা কি যেন বলবে বলছিলে এখন বল। -- জয় আমার বাসা থেকে বিয়ে প্রায় ঠিক করে ফেলেছে কিছু কর। -- কি করব? -- কি করব নামে বিয়ে করবে? -- আচ্ছা বাদ দেও আগে বল ছেলে কি করে? -- ছেলে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। -- তো ভাল তো আমার থেকে ছেলে ভাল আছে বিয়ে করে ফেল সমস্যা কোথায় আর ঐ মেরিন ইঞ্জিনিয়ার রেখে আমাকে কেন বিয়ে করতে চাচ্ছ। . -- কারণ তোমাকে আমি ভালবাসি তাই বিয়ে করতে চাচ্ছি। -- একটা কথা মন দিয়ে শোন অনেক দিন থেকেই বলব বলে ভাবছি বলতে পারছিলাম না তবে আজকে বলব। -- হাঁ তারাতারি বল। -- আসলে এই কথাটা আমি মুখে বলতে পারব না তাই সব লিখে এনেছি। দয়া করে আমি যাওয়ার পরে পরলে খুশি হব। . এই বলে জয় নিনিতার হাতে একটা খাম ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত রেস্টুরেন্ট ত্যাগ করল। নিনিতার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরল। জয় এমন একটা কাজ করবে সে ভাবে নি কখন ও। নিনিতা খুব ভাল করেই বুঝতে পারল খামের ভিতরে ক্ষমা সূচক কোন চিঠি লিখা আছে। কাঁপা কাঁপা হাতে নিনিতা খামটা খুলল। সেখান থেকে একটা চিরকুটের মত বের হল তাতে লিখা.. . নিনিতা আমার পাগলি তুমি কি করে ভাবলে আমি তোমাকে অন্য একটা মানুষের হতে দিব আমি জীবিত থাকতে। তুমি জান প্রতিদিন ঘুমানর আগে একবার করে আমি তোমার ছবি দেখে ঘুমাই ঘুম থেকে উঠে একবার দেখি। আমি ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে তোমাকে রাগাই ও টেনশনে ফেলি কারণ কি জান কারণ হল তুমি রাগলে বা টেনশনে থাকলে তোমার চেহারা লাল হয়ে যায় তখন তোমাকে অনেক সুন্দর লাগে। এখন একটা সংবাদ শোন যদিও সংবাদটা এখন দেওয়ার ইচ্ছা ছিল না তোমার জন্ম দিনের দিনে দিতাম বাঁট আজকে তোমার ফোনের ভিতরে কণ্ঠ শুনে বুঝে ফেলেছি কিছু সমস্যা হয়েছে। তাই তোমার ছোট বোনকে ফোন দিয়ে সব শুনেছি। . এখন খুশির খবরটা মন দিয়ে শোন আমার একটা চাকরী হয়েছে আগামী মাসে জনেয় আমি এই খবরটা তোমার জন্ম দিনের দিনে দিতে চেয়েছিলাম তবে তোমার মনের অবস্থা দেখে আজকেই বলে দিলাম। এই একদম কান্না করবে না একদম না আমি কিন্তু সব দেখছি কি বিশ্বাস হচ্ছে না। হাঁ আমি রেস্টুরেন্টের বাইরের থেকে তোমাকে কিন্তু ঠিকি দেখছি কারণ আমার আগে থেকে সব প্ল্যান করা ছিল। হাঁ এইবার একটু তাকাও এই দিকে লক্ষ্মী। . নিনিতা তাকিয়ে দেখে সত্যি জয় ঐ খানে দাড়িয়ে মিটিমিটি হাসছে। নিনিতা দৌরে গিয়ে জয়ের হাত ধরল। সাধারণত নিনিতা এইভাবে হাত ধরে না তবে আজকের ব্যাপার আলাদা আজকে সারাদিন জয়কে নিয়ে ঘুরবে আর অনেক রাতে বাসায় যাবে কেউ কিছু বললেও নিনিতার কিছু হবে না কারণ জয় যে শুধু তার। . একাকী একটি ছেলে (তিতুমির কলেজ)
Posted on: Sun, 21 Dec 2014 09:00:04 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015