নবীঞ্জের ঘরে-ঘরে গ্যাস - TopicsExpress



          

নবীঞ্জের ঘরে-ঘরে গ্যাস সরবরাহ করা প্রয়োজন শাহাবুদ্দিন শুভ (নবীগঞ্জ শহরে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হলেও পৌছায়নি নবীগঞ্জের ঘরে ঘরে) (2008 সালে দৈনিক যুগান্তর ও ইউকে বেঙ্গলী প্রকাশিত) আমরা কিছু স্বপ্ন দেখি কিন্তু সেই স্বপ্নগুলোর অপমৃত্যু আমাদের চোখের সামনে হয়। তা মেনে নিতে খুব কষ্টও হয়। বাঙালীরা স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে। আমিও তাদের একজন। তাই আবার ও নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করি। স্বপ্ন দেখি আমার বাড়ীর কাছ দিয়ে যাওয়া এশিয়ার অন্যতম গ্যাস ফীল্ড বিবিয়ানার গ্যাস পৌঁছেছে নবীগঞ্জের ঘরে-ঘরে। সে-গ্যাস দিয়ে রান্না করছেন আমাদের মা-বোনেরা। চুলায় আগুন জ্বালানোর জন্য তাদের চোখ দিয়ে আর পানি ঝড়ছে না। গ্যাসের সিলিন্ডার অথবা লাকড়ির জন্য ব্যস্ত হতে হচ্ছে না আমার বাবাকে। নবীগঞ্জে গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কারখানা হচ্ছে। সেখানে কাজ করছে আমাদের ভাইয়েরা। বিবিয়ানার গ্যাস নিয়ে আমি নতুন করে স্বপ্ন দেখি। এ-গ্যাস আমাদের নবীগঞ্জের সবার ঘরে ঘরে পৌঁছাবে। এলাকার মানুষ যে-স্বপ্ন দেখে সে-স্বপ্ন পূরণও হবে। কারণ সংসদ নির্বাচনের আগে হবিগঞ্জ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) সাংসদ সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব দেওয়া ফরিদ গাজী এমপি বলেছিলেন, তিনি নির্বাচিত হলে ৬-৯ মাসের মধ্যে মাসের মধ্যে নবীগঞ্জের ঘরে-ঘরে গ্যাস দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। গ্যাসের জন্য যতোগুলো আন্দোলন হয়েছে, তার প্রত্যেকটি জড়িত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান গোলাম সরোয়ার হাদি গাজী ও নবীগঞ্জের পৌর-মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সর্ব-সাধারণ কাজ করেছেন গ্যাসের জন্য। একটি উপজেলার এতো-সব মানুষের প্রচষ্টা কি করে বৃথা যাবে? যারা আগে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তারা আবার নতুন করে উদ্যোগ নেন আমরা আছি আপনাদের পাশে। যখন নবীগঞ্জের ঘরে-ঘরে গ্যাস সরবারহের দাবীতে হরতাল অবরোধ ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিলো। তখন হবিগঞ্জ জেলার যে-সব ছাত্র-ছাত্রী সিলেটে পড়ালেখা করি, তারা নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে একটি সংগঠন গঠন করি নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ ছাত্র-ঐক্য পরিষদ নামে, যার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করি আমি। নবীগঞ্জের যে-স্থানে যখন গ্যাসের জন্য আন্দোলন করা হয়েছে, তার সবকটিতে অংশগ্রহণ করেছি নিয়মিত। সংগঠনের পক্ষ থেকে সিলেটে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন-সহ মানব-বন্ধন কর্মসূচি করা হয়। ২০০৫ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারী সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমানে আয়োজিত মানব-বন্ধন কর্মসূচিতে ১৯৭০ সালের নির্বাচিত এমপি আব্দুল আজিজ চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব দেওয়ান ফরিদ গাজী, নবীগঞ্জ উপজেরার বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার হাদি গাজী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রয়াত হাবিবুরর রহমান-সহ হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও শতো-শতো ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনের কাছে সরাসরি স্মারক-পত্রও দিয়েছিলাম নবীগঞ্জের গ্যাসের কথা উল্লেখ করে। তার পরও আমাদের পাওয়া হয়নি গ্যাস। আজও আমাদের মা-বোনদের চুলা জ্বালাতে হয় সিলিন্ডারের গ্যাস অথবা লাকড়ি দিয়ে। অথচ আমাদের গ্যাস আমাদের বুকের উপর দিয়ে যাচ্ছে। আলোকিত করছে দেশের অনান্য জেলাকে। আমাদের গ্যাসে দেশের অন্যস্থানের বড়ো-বড়ো কলখারখানার চাকা ঘুরে, কিন্তু হবিগঞ্জে স্থাপন করা হয়নি কোনো কারখানা। ঘুরে না কোনো বড়ো মেশিনের চাকা। আর আমার মনে হয় যারা আগে গ্যাসের জন্য আন্দোলন করেছিলেন তাদের একজন বর্তমান সাংসদ সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজী এবং তার দল বর্তমানে সরকারে। আর তিনি নির্বাচনের পূর্বে যেহেতু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করা দরকার। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সহজে করা যাবে। অন্যদিকে গ্যাসের আন্দোলনে গোলাম সরোয়ার হাদি গাজীও ছিলেন আপোষহীন। তিনি বর্তমানে উপজেলার চেয়ারম্যান তিনিও আশা করি বর্তমান সাংসদেও সাথে এক-যোগে কাজ করবেন গ্যাসের জন্য। গ্যাসের জন্য নবীগঞ্জে যে-আন্দোলন হয়েছিলো, সেগুলোর মতো যদি আবার কোনো উদ্যোগ নেওয়ার দরকার মনে করা হয়, তবে আমরা নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ ছাত্র-ঐক্য পরিষদ নবীগঞ্জের গ্যাসের দাবীতে যে-ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তাতে পূর্ণ সমর্থন জানাবো। আমরা চাই না আমাদের গ্যাসের দাবী পূরণ না হয়ে প্রতিশ্রুতির ফাইলে বন্দী থাকুক। আমরা চাই নবীগঞ্জের ঘরে-ঘরে গ্যাস এবং গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কারখানা। শাহাবুদ্দিন শুভ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ ছাত্র-ঐক্য পরিষদ সিলেট, বাংলাদেশ e-mail- ahmedshuvo@gmail 01716159280
Posted on: Mon, 04 Aug 2014 17:24:14 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015