▒▒░░▓▓▓ পিতা-মাতাও যালিম - TopicsExpress



          

▒▒░░▓▓▓ পিতা-মাতাও যালিম হতে পারে ▓▓▓░░▒▒ আল্লাহ ও তার রাসুলের (সাঃ) বিধানের বাইরে যারাই কোন ফায়সালা করে তারাই যালিম। অনেকেই আছে যারা মৃত্যূর আগেই তাদের দেখাশুনার জন্য তাদের কোন সন্তানকে বা তাদের কোন পুত্রবধুকে কিছু সম্পদ অন্যান্যদেরকে বঞ্চিত করে দান করে যায়। তারা মনে করে এটা তাদের জন্য পূন্যের কাজ। সম্পদ দান করে এই কারনে যে, বৃদ্ধাবস্থায় তাদেরকে দেখাশূনা করবে। এ ধরনের কাজ কি আল্লাহ ও তার রাসুলের (সাঃ) বিধানের বাইরে নয়? আমাদের সমাজে এমন ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের (সাঃ) বিধান অনুসারে ফায়সালা করে না- তারাই যালিম। আমাদের সমাজে আরও প্ৰচলিত আছে যে, অনেক পিতা-মাতাই তাদের কোন সন্তানকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাদের দুর্লভ কাজগুলো করিয়ে নেয় এবং অবশেষে সেই সন্তানকে বঞ্চিত করে। তারা সেই সন্তানের প্রতি ইনসাফ করে না। আর যারা ইনসাফ করে না তারা যালিম ছাড়া আর কিছুই নয় এবং তাদের পরিনতি জাহান্নাম। জীবিত অবস্থায় সম্পদ বন্টন করলে তা মূলত হেবা হয়। তাই এ ক্ষেত্রে সকলকে সমান সমান করে দেয়া যাবে। তবে বর্তমানে যেহেতু মৃত্যুর পরের বন্টন পূর্বে করে দেয়া হয়, তাই মিরাস অনুযায়ী বন্টন করাই শ্রেয়। কুরআনের দলিলঃ জীবিত অবস্থায় ওয়ারিসরা মালিকের সম্পদের মিরাস হবে না। মৃত্যূর পর ওয়ারিস হবে। মৃত্যুর পূর্বে সম্পত্তি বণ্টন করা বৈধ নয়। কারণ ওয়ারিসরা মালিকের মৃত্যুর পূর্বে সম্পদের হকদার হয় না। যেমন, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ আর, তোমাদের হবে অর্ধেক সম্পত্তি, যা ছেড়ে যায় তোমাদের স্ত্রীরা যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে। যদি তাদের সন্তান থাকে, তবে তোমাদের হবে এক-চতুর্থাংশ ঐ সম্পত্তির, যা তারা ছেড়ে যায়; ওছিয়্যতের পর, যা তারা করে এবং ঋণ পরিশোধের পর। স্ত্রীদের জন্যে এক-চতুর্থাংশ হবে ঐ সম্পত্তির, যা তোমরা ছেড়ে যাও যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে। আর যদি তোমাদের সন্তান থাকে, তবে তাদের জন্যে হবে ঐ সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ, যা তোমরা ছেড়ে যাও ওছিয়্যতের পর, যা তোমরা কর এবং ঋণ পরিশোধের পর। যে পুরুষের, ত্যাজ্য সম্পত্তি, তার যদি পিতা-পুত্র কিংবা স্ত্রী না থাকে এবং এই মৃতের এক ভাই কিংবা এক বোন থাকে, তবে উভয়ের প্রত্যেকে ছয়-ভাগের এক পাবে। আর যদি ততোধিক থাকে, তবে তারা এক তৃতীয়াংশ অংশীদার হবে ওছিয়্যতের পর, যা করা হয় অথবা ঋণের পর এমতাবস্থায় যে, অপরের ক্ষতি না করে। এ বিধান আল্লাহর। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। ***সূরা নিসাঃ আয়াতঃ ৪:১২। মৃত্যুর পর শরী‘আতের বিধান অনুযায়ী যার যতটুকু পাওনা, সে অনুযায়ী প্রত্যেক ওয়ারিস নিজ নিজ হক বুঝে নিবে। আল্লাহর বন্টনে বিরোধিতা করলে তার পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নাম। যেমন, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। যেমন, ***সূরা নিসাঃ আয়াতঃ ৪:১৪। কুরআনের মিরাস অনুসারে বন্টন করতে হবে। কোন ফাতওয়া দিয়ে বন্টন করা চলবে না। যেমন, মহান আল্লাহ বলেছেনঃ মানুষ আপনার নিকট ফতোয়া জানতে চায় অতএব, আপনি বলে দিন, আল্লাহ তোমাদিগকে কালালাহ এর মীরাস সংক্রান্ত সুস্পষ্ট নির্দেশ বাতলে দিচ্ছেন, যদি কোন পুরুষ মারা যায় এবং তার কোন সন্তানাদি না থাকে এবং এক বোন থাকে, তবে সে পাবে তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তির অর্ধেক অংশ এবং সে যদি নিঃসন্তান হয়, তবে তার ভাই তার উত্তরাধিকারী হবে। তা দুই বোন থাকলে তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ। পক্ষান্তরে যদি ভাই ও বোন উভয়ই থাকে, তবে একজন পুরুষের অংশ দুজন নারীর সমান। তোমরা বিভ্রান্ত হবে আল্লাহ তোমাদিগকে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিচ্ছেন। আর আল্লাহ হচ্ছেন সর্ব বিষয়ে পরিজ্ঞাত। ***সূরা নিসাঃ আয়াতঃ ৪:১৭৬। তাছাড়া পিতার আগে সন্তান মারা গেলে বন্টনের নিয়ম পাল্টে যাবে। আর মৃত্যু কার আগে আসবে সেটা কেউ জানে না। মহান আল্লাহ বলেছেনঃ কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। ***সূরা লোকমানঃ আয়াতঃ ৩১:৩৪। https://facebook/notes/shakil-talukdar/______%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8______/10203419994834597 ----------------------------------------------------------------------------- COLLECTED ARTICLE: ইসলামী উত্তারাধিকার আইন কে, কেন দিয়েছেন: ইসলামী উত্তারাধিকার আইন বা মৃত ব্যক্তির সম্পদ বন্টনের নিয়মনীতি আল-কোরআনে তিন জায়গায় এসেছে: সুরা নিসার ১১, ১২, ও ১৭৬ নম্বর আয়াত। এই আয়াতগুলোতে আইনের মূল দিকগুলো বলার আগে ও পরে (প্রতি আয়াতে) আইন প্রণেতা আল্লাহ নিজের কিছু গুণাবলী ও সাধারণ কিছু বিষয় উল্লেখ করেছেন। বিষয়গুলো লক্ষ্য করুন, তাহলে এই মৌলিক আইনগুলোর গুরুত্ব অনুধাবন সহজ হবে: ৪:৭: পিতা-মাতা ও আত্নীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষদেরও অংশ আছে এবং পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীদেরও অংশ আছে; অল্প হোক কিংবা বেশী। এ অংশ (আল্লাহর পক্ষ থেকে) নির্ধারিত। ৪:৮: সম্পতি বন্টনের সময় যখন আত্নীয়-স্বজন, এতীম ও মিসকীন উপস্খিত হয়, তখন তা থেকে তাদের কিছু দিয়ে দাও এবং তাদের সাথে কিছু সদালাপ করো। ৪:৯: লোকদের একথা মনে করে ভয় করা উচিত যে, তারা যদি মরার সময় নিজেদের পশ্চাতে দুর্বল অক্ষম সন্তান-সন্ততি ছেড়ে যেত তাহলে তাদের জন্যে তারা কতই না আশঙ্কা করত। সুতরাং তারা যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং ন্যায় সংগত কথা বলে। উপরের কথাগুলো থেকে ইসলামী স্কলাররা কিছু মৌলিক জিনিস বর্ণনা করেছেন: ১. মৃতের পরিত্যক্ত সম্পত্তি (মীরাস) তে শুধু পূরুষ নয়, নারীরও অধিকার আছে। উল্লেখ্য ইসলাম পূর্ব যুগে এবং পাশ্চাত্যে এই কদিন আগেও সম্পত্তিতে নারীর অধিকার ছিল না। ২. পরিত্যক্ত সম্পত্তি যতটুকুই হউক, কম বা বেশী, তার উত্তারাধিকারীদের মধ্যে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী বন্টন করতে হবে। ৩. এই আইন মৃতের সকল স্হাবর-অস্হাবর, কৃষি-শিল্প সব সম্পদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ৪. এই আইন ব্যক্তি মারা যাওয়ার পরে কার্যকর হবে। ৫. আত্নীয়-স্বজন, এতীম ও মিসকীন যাদের বস্তুত: কোন আইনগত অধিকার নেই, তাদেরকেও কিছু না কিছু দিয়ে ইহসান করতে বলা হয়েছে। আরো লক্ষ্য করুন, ৪:১১: ... তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এসব অংশ আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত। নিশ্চয় আল্লাহ সকল সত্য জানেন ও সকল কল্যাণময় ব্যবস্হা সম্পর্কে অবগত আছেন। ৪:১২: ... এ বিধান আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সর্বদর্শী ও সহনশীল। ৪:১৩-১৪: এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের আদেশমত চলে, তিনি তাকে জান্নাত সমূহে প্রবেশ করাবেন, যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এ হল বিরাট সাফল্য| যে কেউ আল্লাহ্ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। ৪:১৭৬: ... আল্লাহ্ তোমাদিগকে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিচ্ছেন, যাতে তোমরা বিভ্রান্ত না হও। আর আল্লাহ্ হচ্ছেন সর্ব বিষয়ে পরিজ্ঞাত। এখানে যা বলা হয়েছে তা সংক্ষেপে, ১. মীরাসে আল্লাহ প্রদত্ত আইনের গভীর তত্ত্ব যারা জানতে সক্ষম নয়, এব্যাপারে যাদের জ্ঞান অজ্ঞতার পর্যায়ভূক্ত, এবং যারা অপরিপক্ষ বুদ্ধি দিয়ে আল্লাহর আইনের ত্রুটি (!) দূর করতে চায়, তাদের কে যাবধান করা হয়েছে। ২. আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণকারীরা আল্লাহর পাকড়াও থেকে রেহাই পাবে না। ৩. আল্লাহ যে নিয়মাবলী বর্ণনা করেছেন তা একেবারে নির্ভূল। ৪. তিনি কঠোরতা অবলম্বন করেন নি, যেসব আইন তিনি দিয়েছেন সেগুলো মানা মানুষের জন্য সহজ। ৫. আল্লাহর বিধান মান্য কারীদের জন্য জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছে। গ. অমুসলিম স্কলারের চোখে ইসলামী উত্তারাধিকার আইন: The divine justness and equitability of the Islamic laws of inheritance have been correctly appreciated by many non-Muslim scholars such as Professor Almaric Rumsey (1825-1899) of Kings College, London, the author of many works on the subject of the Muslim law of inheritance and a barrister-at-law, who stated that the Muslim law of inheritance, comprises beyond question the most refined and elaborate system of rules for the devolution of property that is known to the civilised world. (দেখুন, সূত্র: ১) ঘ. বাস্তবে প্রয়োগের বিশেষ নিয়মাবলী ও কিছু উদাহরণ: মানুষের বাস্তব জীবনে বিভিন্ন সময় এত বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয় যে, সঠিক জ্ঞান ছাড়া আল-কোরআনের বিধান গুলোর ব্যবহার সম্ভব নয়। রাসুলুল্লাহ সা: ও তাঁর সাহাবারা রা: এমন সমস্যা সমাধানে কিছু নিয়মাবলী ও উদাহরণ দিয়ে গেছেন। নীচে আমরা সংক্ষেপে এসবের কিছু উল্লেখ করব। (বিস্তারিত দেখুন, সূত্র: ২) প্রকৃতপক্ষে, বাস্তবে সম্পদ বন্টনের বিষয়টি এত জটিল ও এতে এত বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয় যে, সাধারণ মানুষের পক্ষে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া কষ্টকর হতেই পারে। অনেক সময় দেখা যায়, আল-কোরআনের বিধান মতে মোট সম্পদ হয় বেশী (উদ্বৃত্ত) হয়ে যায়, অথবা ঘাটতি হয়ে যায়, অথবা পুরোটা বন্টনের পরেও (দূরতম সম্পর্কের) উত্তারাধিকারী বন্ঞিত থেকে যেতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সা: ও তাঁর সাহাবারা রা: যে সব হেকমত অবলম্বন করেছেন, তা আমাদের জন্য অনুসরনীয়। ১. উদ্বৃত্ত হলে: সম্পত্তি বন্টনের সময় আগে আল-কোরআনে বর্ণিত শেয়ারারদের মাঝে নিয়মানুযায়ী বন্টনের পরে অবশিষ্ট থাকলে তা দূরবর্তী আত্নীয়দের মাঝে বন্টন করা হবে। উদ্ধৃত্ত গ্রহণকারী দূরতম আত্নীয় না থাকলে, নিকটতম আত্নীয়দের মধ্যে আল-কোরআনে বর্ণিত সমানুপাতে উদ্ধৃত্তও বন্টন হবে। Abdullah ibn Abbas (RA) reported that the Prophet Muhammad (SAWS) said, Give the Faraid (the shares of the inheritance that are prescribed in the Quran) to those who are entitled to receive it. Then whatever remains, should be given to the closest male relative of the deceased. (Sahih al-Bukhari) হযরত উমর রা: এর সময়ের একটি ঘটনা: একজন মৃত স্ত্রী লোক সন্তানহীন অবস্হায় স্বামী ও পিতা-মাতা রেখে মারা গেলেন। তার সম্পত্তি কিভাবে ভাগ হবে? আল-কোরআন অনুসারে, স্বামী ১/২ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১২), মাতা ১/৩ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১১), পিতা অবশিষ্ট ১/৬ ভাগ। এটি আল-কোরআনের ৪:১১ এর পূরুষ মহিলার দ্বিগুন পাবে এই নিয়ম ভঙ্গ করে, যেহেতু পিতা মাতার চেয়ে কম পাচ্ছেন। এজন্য আল-কোরআনের ৪:১১ নিয়ম (মাতা ১/৩ ভাগ পাবেন) তখনই আ্যাপ্লিক্যাবল, যখন মৃতের পিতা-মাতা ছাড়া কোন সন্তান-সন্ততি বা স্বামী না থাকেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে সঠিক হিসেব, স্বামী ১/২ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১২), মাতা ১/৬ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১১), পিতা ১/৩ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১১)। ২. দূরতম আত্নীয় বন্ঞিত থাকলে: হযরত উমর রা: এর সময়ের আরেকটি ঘটনা: এক মহিলা সন্তানহীন অবস্হায় স্বামী, মাতা, দুই Full brother (যাদের পিতা-মাতা মৃত মহিলার মতো একই), ও দুই Uterine brother (যাদের শুধু মাতা মৃত মহিলার মতো একই) রেখে মারা গেলেন। আল-কোরআন অনুসারে, স্বামী ১/২ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১২), মাতা ১/৬ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১১), দুই Uterine brother ১/৩ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১২)। কোন উদ্ধৃত্ত নাই। দুই Full brother কিছু পাচ্ছেন না। হযরত উমর (রা:) Full ও Uterine brother দের ১/৩ ভাগ সমভাবে বন্টন করে দিলেন। (উপরে বর্ণিত আল-কোরআন ৪:৮ দেখুন) ৩. ঘাটতি হলে: বন্টনের সময় বন্টিত সম্পদ ১ এর অধিক হলে সকল উত্তারাধিকারের থেকে তাদের প্রাপ্যের সমানুপাতে কমিয়ে মোট সম্পদ ১ অংশ করা হয়। (the doctrine of al-awl) যদি মৃত ব্যক্তির, দুই কন্যা, এক স্ত্রী, পিতা এবং মাতা বর্তমান থাকেন তাহলে, দুই কন্যা ২/৩ ভাগ (আল-কোরআন ৪:১১), পিতা ১/৬ (আল-কোরআন ৪:১১), মাতা ১/৬ (আল-কোরআন ৪:১১) , স্ত্রী ১/৮ (আল-কোরআন ৪:১২)। মোট: ২৭/২৪ ভাগ (১/৮ ভাগ ঘাটতি)। এক্ষেত্রে, ঘাটতি সকল শরিকদের মাঝে তাদের প্রাপ্য অনুসারে (নেগেটিভ) বন্টন হবে। দুই কন্যা ১৬/২৭ ভাগ, পিতা ৪/২৭ ভাগ, মাতা ৪/২৭, স্ত্রী ৩/২৭ ভাগ। ঙ. উপসংহার: উপরে বর্ণিত বিশেষ ক্ষেত্রসমূহে রাসুলুল্লাহ সা: ও তাঁর সাহাবারা রা: আল-কোরআনের মূলনীতি লঙ্গন না করেই মিমাংসা করেছেন (ইজমা ও কিয়াস)। উত্তরাধিকারীর ধরন ও সংখ্যানুসারে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন আল-কোরআনের উদ্দেশ্য নয়। বরং, আল-কোরআনের উদ্দেশ্য এই যে, একগুচ্ছ মৌলিক বিধান দিয়ে দেয়া। মানুষ বাস্তবক্ষেত্রে এসব মৌলিক বিধান অনুসরণ করেই সব সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবে। যেমন, অন্যান্য আইন যেমন, চুরি, ধর্ষণ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও আল-কোরআন তাই করেছে। অথচ, আজকাল একধরনের পাপিষ্টরা আল-কোরআনের মূলনীতি (যেমন, পূরুষ নারীর দ্বিগুণ পাবে) পরিবর্তনের খায়েস কে সাহাবাদের রা: জ্ঞানগর্ভ নির্দেশনার সাথে গোলমাল পাকিয়ে বলতে অপচেষ্টা করছে, সম্পত্তির জন্য আগে সাহাবারাই গোলমাল পাকিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ), তারা নয়, তারা শুধু সমাধান করছে! অথচ, তারা জানে না, মানুষের জ্ঞান কত সীমিত, আর মানুষ কত স্বার্থপর! শুধুমাত্র একজন নি:স্বার্থ সত্তা যিনি সব প্রকাশ্য ও গোপন নিগূঢ় তত্ত্ব ও তথ্য সম্পর্কে অবগত সেই এক আল্লাহই সব সমস্যা সমাধানের মূল আইন প্রণেতা। ... এ বিধান আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সর্বদর্শী ও সহনশীল। (আল-কোরআন ৪:১২) সূত্র সমূহ: ১. Rumsey, A. Moohummudan Law of Inheritance. (1880) Preface iii. ২. Islamic Laws of Inheritance - Dr. Abid Hussain. ================================================ শায়খ আবদূর রাকিবের বক্তৃতাঃ মৃত্যুর পূর্বে সম্পদ বন্টন করা যাবে কি? youtu.be/WQoUfrjnpHw
Posted on: Wed, 24 Sep 2014 15:35:31 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015