পীর বাবার অসুখঃ সর্ষেতে ভুত আমি একটা হাসপাতালে ডিউটি করতাম । সেখানে এক পীর বাবা ভর্তি ছিলেন । প্রায় দুই মাস ধরে । তার পায়ে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হয়ে শেষ পর্যন্ত গ্যাংগ্রিন হয়ে গেছে । পচা গন্ধ ছুটছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো – তার মুরিদরা তার পায়ের এম্পুটেশন করতে দিবে না । পীর বাবা সাড়া জীবন মানুষকে ঝার ফুক দিয়ে সব ঠিক করে দিয়েছে। ল্যাংড়া পা ভালো করে দিয়েছে, বোবার মুখে বানী ফুটিয়েছে, অন্ধকে চক্ষুদান করেছে। আজ কি না তার এই করুন পরিনতি । তাইতো তার ভক্ত অনুসারীর দল প্রতিদিন দলে দলে দেখতে আসে, তার টুপির মধ্যে টাকা গুজে দিয়ে যায়। সাথে নানা প্রকার উপঢৌকন । এমনকি পচা পায়ে পদচুম্বন করতেও ভুল করে না অন্ধ অনুসারির দল। যার কল্যাণে আর দোয়ায় সব মানুষ ভালো হইতো, আজ তার এই করুন দশা । আসল কথায় আসি- ভক্ত দের অনুরোধে তার ঠ্যাং কাটা হচ্ছে না, তাদের বিশ্বাস এই পা আবার ফিরে আসবে তাদের পুন্যে। কিন্তু আমরা যারা মেডিকেলে পড়ি, তারা তো জানি- পচে যাওয়া জিনিস কেটে ফেলাই উত্তম । gangrenous limb এম্পুটেশন না করে এখানে পচা গন্ধ বের হচ্ছে এখন । কিছু দিন পর এখান থেকেই সেকেন্ডারি ইনফেকশন হবে । পরে মারা যাবে সেপ্টিসেমিয়া তে। ………….. ছোটো বেলায় "ইত্যাদি" তে নকুল কুমার বিশ্বাসের একটা গান দেখেছিলাম। এক লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে সর্বরোগের মহা ঔষধ বিক্রী করছিল। টিউমার থেকে শুরু করে এইডস পর্যন্ত তার কাছে এক মিনিটের মামলা । পরে এক ছোট্ট গ্যাদা তারে মনে করাইয়া দিল, ঐ ঔষধ বিক্রেতার ঘারেও একটা টিউমারআছে। সেইরাম হইছে দশা..............................।। পুনশ্চঃ ডায়াবেটিস এমনি রোগ যে কোনো পীর বোঝে না, ওঝা চিনে না । সে নিজে কিছু করবে না। কিন্তু অন্য রোগকে দাওয়াত দিয়ে ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে । মুখে কামড়া্বে না, কিন্তু লেজ দিয়া আচড়াইয়া শেষ করে দেবে ।
Posted on: Fri, 05 Jul 2013 05:54:44 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015