পুঁজিবাজারে বড় ধরনের - TopicsExpress



          

পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন, ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন 3 1Google +1 1 0 0 ঢাকা, অক্টোবর ২০ :দীর্ঘ ৯ দিন বন্ধ থাকার পর প্রথম কার্যদিবসে উভয় পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন হয়েছে। এছাড়া বিগত ১০ মাসের মধ্যে এদিন সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আবারো হতাশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দিনশেষে আজ ডিএসইতে সূচক কমেছে ৭১ পয়েন্ট এবং লেনদেন হয়েছে মাত্র ১১০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন। গত ঈদুল ফিতরের ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসে একইভাবে লেনদেনের পরিমাণ কমেছিল। তবে ওইদিন সূচকের ঊর্ধ্বগতি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু ঈদুল আজহার ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসে পতনের ধারায় লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু ঈদুল আজহার ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরু হয় পতন প্রবণতায়। লেনদেন শুরুর প্রথম দিনে সূচক ও লেনদেনে বড় রকমের ভাটায় বিনিয়োগকারীদের আরো দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তুলেছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত ২১ জানুয়ারি পুঁজিবাজারে ১০১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল। এর পরবর্তী ১৭৫ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে আজ। ডিএসইর সর্বশেষ ৭ কার্যদিবসের লেনদেন ও সূচক পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অধিকাংশ সময় সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। এর ফলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাস্থাই তৈরি হয়েছে বেশি- এমনটাই মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। রোববার সাধারণ সূচক দিনশেষে স্থির হয়েছিল ৩ হাজার ৭৭১ পয়েন্টে। এদিন লেনদেন হয়েছিল ১১০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর আগে বৃহস্পতিবার সাধারণ সূচক দিনশেষে স্থির হয়েছিল ৩ হাজার ৮৪৩ পয়েন্টে। এদিন লেনদেন হয়েছিল ৩৮৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। বুধবার সাধারণ সূচক দিনশেষে স্থির হয়েছিল ৩ হাজার ৮২১ পয়েন্টে। এদিন লেনদেন হয়েছিল ২২৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। মঙ্গলবার সাধারণ সূচক দিনশেষে স্থির হয়েছিল ৩ হাজার ৭৯২ পয়েন্টে। এদিন লেনদেন হয়েছিল ২৬৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। সোমবার সাধারণ সূচক দিনশেষে স্থির হয়েছিল ৩ হাজার ৮৫৭ পয়েন্টে। এদিন লেনদেন হয়েছিল ২৩৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। রোববার সাধারণ সূচক দিনশেষে স্থির হয়েছিল ৩ হাজার ৮৮২ পয়েন্টে। এদিন লেনদেন হয়েছিল ২৪৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর আগে বৃহস্পতিবার সাধারণ সূচক দিনশেষে স্থির হয়েছিল ৩ হাজার ৯৪৮ পয়েন্টে। এদিন লেনদেন হয়েছিল ২৬৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। দেশের অস্থির পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতার লাগাম পরাতে সরকার থেকে শুরু করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), অর্থ মন্ত্রণালয়, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বাজারের প্রতি বিএসইসির নজরদারি বৃদ্ধি, বিভিন্ন আর্থিক সহায়তা, লেনদেন সংকট দূরীকরণের লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সার্বিক পরিস্থিতিতে ইতিবাচক ভূমিকা, গুজব বন্ধের নানা কার্যক্রম রয়েছে। এরপরও যেন লেনদেনের খরায় বেসামাল বর্তমান পুঁজিবাজার- এমনটিই মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আরো কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন তারা। এদিকে লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ হাউজের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ও রুহুল আমিনের মতে, ধারাবাহিক লেনদেন ও সূচক ওঠার চেয়ে নামায় বেশি হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের অনাস্থাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। এক সময় যেখানে লেনদেন হাজার কোটির ওপর ছিল। কিন্তু বর্তমান লেনদেন অনেক নিচে নেমে এসেছে। লেনদেনের খরা থেকে বের হতে না পারলে বাজার পরিস্থিতি কখনো স্বাভাবিক রূপ নেবে না বলে মনে করেন তারা। শেয়ারনিউজ২৪/আনিস/এ/আআ/১৫১০ঘ. - See more at: sharenews24/index.php?page=details&nc=52&news_id=31125#sthash.tuq3ea7Q.dpuf
Posted on: Sun, 20 Oct 2013 11:39:24 +0000

Recently Viewed Topics




© 2015