পূজা দেখতে যাওয়াঃ দেখলে - TopicsExpress



          

পূজা দেখতে যাওয়াঃ দেখলে কি সমস্যা, আমি তো আর পূজা করছি না চারিদিকে এতো আধুনিক, মক্তমনা, সুশীলদের দেখে এই লিখাটা শেয়ার না করে পারলাম না...... বাংলাদেশ এখন একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। ব্যাপারটা শুধু কাগজে কলমের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তাভাবনার মাঝে অন্তর্লীন করে দেয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টা চলছে। তার প্রমাণ পেলাম আজ রাস্তায় বের হয়ে। মীনাবাজারের সামনে বিশাল করে দূর্গার ছবি এবং লেখা শারদীয় শুভেচ্ছা। সামাজিক যোগাযোগ রক্ষামূলক সাইটগুলোতে দেখছি নামে মুসলিম বন্ধুরা সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। তবে আমার আজকের লেখা শারদীয় শুভেচ্ছা জানানো বা এগুলোকে উৎসাহিত করার ব্যাপারে নয়।আমার শিরোনাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে আমি কথা বলব পূজা দেখতে যাওয়া নিয়ে। তবে মূল প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে ইসলামের ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা’র বিষয়টি একটু পরিষ্কার করে নেয়া দরকার। আল্লাহ ক্বুরআনে বলেছেনঃ আর যে কেউ ইসলাম পরিত্যাগ করে অন্য কোনো ধর্ম অনুসরণ করে তা হলে তার কাছ থেকে কখনো তা কবুল করা হবে না। আর আখেরে সে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত। (৩ - ৮৫) এই চিন্তাটা ‘আমাদের বিবেক বুদ্ধি’ দ্বারা খুব সাম্প্রদায়িক এবং অসহিষ্ণু মনে হলেও করার কিছু নেই। কারণ ইসলামের এই পারলৌকিক মুক্তি শুধই ইসলামের প্রকৃত অনুসারীদের জন্য তে বিশ্বাস করা আমাদের ঈমানের একটি অংশ। “আসলে সকল ধর্মের মর্মকথা একই – পার্থক্য শুধু অভিব্যক্তিতে বা বাহ্যিক প্রকাশে – এই কথা যদি সত্যি হত, তবে মুহাম্মদ (সা.)-এঁর মিশনের কোন প্রয়োজনই ছিল না । মক্কার পৌত্তলিকরা সবাই আল্লাহ মানতো – যদিও বা তারা লাত, মানাত, উযযা এর পূজা করত। আল্লাহ তাদের বিশ্বাসের ব্যাপারে বলছেন- তুমি জিজ্ঞেস কর, কে রুযী দান করে তোমাদেরকে আসমান থেকে ও যমীন থেকে, কিংবা কে তোমাদের কান ও চোখের মালিক? তাছাড়া কে জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করেন এবং কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্ম সম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে,আল্লাহ! তখন তুমি বলো তারপরেও ভয় করছ না?সূরা ইউনুস-৩১ সূরা কাফিরুনের সর্বশেষ আয়াত “লাকুম দ্বীনুকুম ওয়াল ইয়া দ্বীন” ব্যবহার করে আন্তঃধর্ম প্রেমের বাণী ছড়ানোর চেষ্টা করা হলেও এর প্রকৃত তাফসীর সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের দ্বীনের মূলকথা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্‌” এর ব্যাপারে কোন সংলাপ বা সমঝোতা হবার নয় – এ কথাটা বোঝাতেই আসলে উক্ত আয়াতটি নাজিল হয়েছিল। তওবা না করে মৃত্যুবরণ করলে একমাত্র যে পাপ আল্লাহ ক্ষমা করবেন না, তা হল শিরক।আল্লাহ সূরা নিসার দুই জায়গায় ৪৮ এবং ১১৬ আয়াতে স্পষ্ট বলেছেন- নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। অন্য একটি আয়াত বলছে- নিশ্চয় যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাত হারাম করে দেন।সূরা মায়িদা-৭২ শিরক নানাভাবে হতে পারে। মানুষ টাকাপয়সা, কামনা বাসনার পূজারী হলে তা শিরকের পর্যায়ে যেতে পারে। কিন্তু এর সবচেয়ে জঘন্য রূপ সম্ভবত নিঃসন্দেহে মূর্তিপূজা। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তার ন্যুনতম আত্মসম্মানবোধটুকুও বিসর্জন দিয়ে যখন নিজের তৈরি করা কাঠ বা মাটির অদ্ভূতসদৃশ মূর্তির সামনে মাথা নত করে, তখন তা যে ভুল, তা বোঝার জন্য ঐশী জ্ঞানের দরকার হয়না। আল্লাহ মানুষকে ভাল মন্দ বোঝার যে সহজাত জ্ঞান ( ৯১:৮)দিয়েছেন, তা ই যথেষ্ট।কিন্তু কি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করল নিজেকে এত নিচে নামাতে? আসুন, মূর্তিপূজার উৎসটা একটু জেনে নেই।আল্লাহ ক্বুরআনে নূহের(আ)জাতির উপাস্যগুলোর নাম উল্লেখ করেছেন, যারা আসলে তাদের পূর্ববর্তী যুগের সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ।নিচের হাদীসটি একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করি- হযরত মুহাম্মাদ ইবনে কায়েস (রহ.) বলেন যে, ঐ লোকগুলো ছিলেন আল্লাহর ইবাদাতকারী, দ্বীনদার,আল্লাহ ওয়ালা ও সৎ। তাঁরা হযরত আদম (আঃ) ও নূহ (আ) এর ছিলেন সত্য অনুসারী,যাদের অনুসরণ অন্য লোকেরাও করতো।যখন তারা মারা গেলেন। তখন তাদের অনুসারীরা পরস্পর বলাবলি করলোঃ ‘যদি আমরা এদের প্রতিমূর্তি তৈরী করে নেই, তবে ইবাদাতে আমাদের ভালভাবে মন বসবে এবং এদের প্রতিমূর্তি দেখে আমাদের ইবাদাতে আগ্রহ বাড়বে।’সুতরাং তারা তাই করল। অতঃপর যখন এই লোকগুলোও মারা গেল এবং তাদের বংশধরদের আগমণ ঘটল, তখন শয়তান তাদের কাছে এসে বললোঃ’তোমাদের পূর্বপুরুষরাতো ঐ বু্যুর্গ ব্যক্তিদের পূজা করত এবং তাদের কাছে বৃষ্টি ইত্যাদির জন্য প্রার্থনা করত। সুতরাং তোমরাও তাই করো। তারা তখন নিয়মিতভাবে ঐ মহান ব্যক্তিদের পূজা শুরু করে দিল। [বুখারী (৪৯২০) তাফসীর ইবনে কাসীর (১৮/১৪২-১৪৪) ] উপরোক্ত ঘটনা থেকে নিচের বিষয় গুলো লক্ষণীয়- # মূর্তি বানানোর সাথে সাথে তার পূজা শুরু হয়নি। প্রথমে নূহের জাতির জন্য স্মারক বানানোর পুরো উদ্দেশ্যই ছিল অত্যন্ত সৎ-আল্লাহর ইবাদাতে মনোযোগ বৃদ্ধি। কিন্তু এই পদ্ধতিটি ঐশী বাণী দ্বারা সমর্থিত ছিলনা। # শয়তান অত্যন্ত ধৈর্য্যের সাথে কয়েক প্রজন্ম ধরে চেষ্টা চালিয়ে যায় মানুষকে শিরকে লিপ্ত করতে।(অথচ দেখুন দাওয়াতী কাজে আমরা ক্ত সহজে অধৈর্য্য হয়ে যাই।) #শয়তান আপাতদৃষ্টিতে ভাল পরামর্শ-ই দিয়ে থাকে। ঐশী জ্ঞানের সাহায্য ছাড়া তার কুটকৌশল বোঝা কঠিন। আল্লাহ কিয়ামতের দিন অবিশ্বাসী ও মুশরিকদের কোন ভাল আমল ওজন করবেন না (২৫:২৩) আবারও এই বিষয়টি আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ মানসিকতার মূলে কুঠারাঘাত করলেও আসলে করার কিছু নেই। এর কারণ আমরা এক কথায় বলতে পারি- আল্লাহর হক অন্য সব কিছুর উপরে প্রাধান্য পাবে। . তাই যিনি আমাদেরকে এক আল্লাহকে চেনার ক্ষমতা, চিন্তা-ভাবনা- বিশ্লেষণ করার শক্তি দিয়ে পাঠিয়েছেন তাকে অস্বীকার করতে পারে একমাত্র নির্বোধ অহংকারীরা। এই বিষয়টি আমরা নিচের উপমা দ্বারা বুঝার চেষ্টা করতে পারি- ধরুন আপনার বাসায় ৩০-৪০ বছর ধরে খুবই বিশ্বস্ত একজন কাজের লোক ছিল যে আপনার সন্তান গুলোকে প্রতিপালনে অসামান্য সহযোগিতা করেছে। এত বছর পর টাকার লোভে ডাকাতদের সাথে হাত মিলিয়ে সে যদি আপনার কোন একজন সন্তানকে হত্যা করে, তবে তার এত বছরের অবদানের জন্য আপনি কি তাকে ক্ষমা করবেন? আমরা আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারি- একটি ভুল কাজ এমন হতে পারে যা অন্য অসংখ্য ভাল কাজকেও ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই আগে উল্লেখ করা মূলনীতির আলোকে এখন যদি আমরা বিষয়টি দেখি, তাহলে ব্যাপারটা এমন দাঁড়াবে যে আল্লাহতে অবিশ্বাস বা তাঁর সাথে শিরক করা এমন পর্যায়ের পাপ যা শত সহস্র অন্য ভালো কাজকে অর্থহীণ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহর নাম, বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী সম্পর্কে আমাদের যদি বিস্তারিত জ্ঞান থাকে তাহলে(পূজা দেখতে গিয়ে )এতগুলো মানুষকে শিরক করতে দেখে আমাদের মাঝে চরম বিতৃষ্ণা ও হাহাকারের (এদের পারলৌকিক পরিণতি চিন্তা করে) অনুভূতি জাগ্রত হওয়া উচিৎ। এখন মূল প্রসঙ্গে আসি। শিরোনাম অনুযায়ী আমার আজকের লেখা তাদের উদ্দেশ্যে- ১) যারা নিছক কৌতূহলবশে পূজে দেখতে যাচ্ছেন এবং ভাবছেন এতে সমস্যা কি? ২) যারা বলছেন তারা পূজা দেখতে যাচ্ছেন (তাদের দাবি অনুযায়ী) তাদের Culture সম্পর্কে জানার উদ্দেশ্যে যে জ্ঞান তাদেরকে দাওয়াতী কাজে সাহায্য করবে। যারা প্রথম শ্রেণীভুক্ত, মূলত তাদেরকে শিরক নামক কাজটির ভয়াবহতা বুঝানোর জন্যই এত লম্বা ভূমিকার অবতারণা করা হয়েছে। # দেখলে কি সমস্যা, আমিতো আর পূজা করছিনা, এমন বক্তব্যের উত্তরে তাদের কাছে আমার বিনীত প্রশ্ন- আপনি কি আপনার বন্ধুর মাকে কেউ প্রকাশ্যে ধর্ষণ করতে থাকলে সেটা দেখতে যাবেন, এই বলে যে আমিতো করছিনা? তুলনাটি চরম মনে হলেও বিশ্বাস করুন, শিরকের ব্যাপারটি তার চেয়েও ভয়ংকর। # শয়তান সবসময় তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে আমাদেরকে সিরাতুল মুস্তাকীম থেকে বিচ্যুত করতে সদাতৎপর। আর তার একটি পছন্দনীয় অস্ত্র হল কোন পাপ কাজের প্রতি আপনার বিতৃষ্ণা/ বিবমিষার অনুভূতি ম্লান করতে করতে তাকে স্বাভাবিকের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। কোন পাপকাজের সাথে নিয়মিত জড়িত হতে থাকলে তাকে আর ততটা খারাপ মনে হয়না যতটা প্রথমে মনে হত। স্যাটেলাইট চ্যানেলের সুবাদে হিন্দী নাটক সিরিয়ালে সাড়ম্বরে পূজা উদযাপনের দৃশ্য দেখতে দেখতে আমাদের কাছে এটা আর তেমন ভয়ঙ্কর ব্যাপার মনে হয়না, তাই আমরা বাস্তবে দেখতে যেতে পারি। আর বাস্তবে দেখতে দেখতে একসময় আমরা না হোক আমাদের সন্তানেরা পূজা করতে দ্বিধা করবেনা। আমরা যেন ভুলে না যাই শয়তান অত্যন্ত ধৈর্য্যশীল। চূড়ান্ত পথভ্রষ্টতা একদিনে আসেনা। # মুশরিকরা যখন পূজা করতে থাকে তখন আমরা চাক্ষুষ দেখতে না পেলেও আল্লাহর ক্রোধ তাদের উপর পড়তে থাকে। ঐ সময় ওখানে উপস্থিত থাকলে আপনিও তার সম্মুখীন হবেন নিশ্চিত। উমার ইবনে খাত্তাব বলেছেন তোমরা মুশরিক দের উপাসনালয়ে তাদের উটসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করনা। কারন সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে। (বায়হাক্বী) [(islam-qa/en/ref/11427/festival)] #মুসলিমদের এতে অংশগ্রহণ মুশরিকদের তাদের ধর্মের ব্যাপারে সন্তুষ্ট ও গর্বিত করে তোলে। বুঝুন!!!!! # ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন স্বচক্ষে দেখতে নিয়ে যাওয়া সবসময়ই দাওয়াতী কাজের একটি উপায়। আমি বহু ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টানের কাহিনীতে পড়েছি তারা ইসলাম গ্রহণ করেছে মুসলিমদের জুমুআর সালাত আদায় করা দেখে।তাহলে বুঝুন, ওরা ওদের ধর্মের দাওয়াত দিচ্ছে, আর আপনি তা গ্রহণ করছেন। # এর মাধ্যমে আপনি মুশরিকদের অনুকরণ,অনুসরণ করছেন। # এর অর্থ তাদেরকে শিরক করতে আপনি নীরব সম্মতি বা সহযোগিতা করছেন। মুসলিম-হিন্দু যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে সহাবস্থান করছে তা বর্তমান সরকারের আমলে অত্যন্ত প্রশংসনীয় ব্যাপার হলেও এর অর্থ হল- *আমাদের মুসলিমরা তাওহীদের গুরুত্ব বুঝেনা *তারা দাওয়াতী কাজে খুবই উদাসীন। আর এর প্রত্যক্ষ ফলাফল হল মুশরিকদের ধর্মের অনেক আচারের আমাদের জীবনে অনুপ্রবেশ। এর জ্বলন্ত উদাহরণ যৌতুক প্রথা। আর যারা দ্বিতীয় শ্রেণীভুক্ত, তাদেরকে আমি বলব নিজের ঈমান সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু।নিজের জীবনের চাইতেও। আপনি কতটা সুকৌশলে রাস্তা পার হতে পারেন তা বোঝার জন্য কি আপনি ব্যস্ত রাস্তা দৌড়ে পাড় হতে ধরবেন? না। কারণ That is too risky. এখানেও ব্যাপারটা তাই। নিজের আত্মসংবরণ ক্ষমতা যাচাই করার জন্য ক্লাশের সবচেয়ে আকর্ষণীয়/ সুন্দরী ছেলে/ মেয়েকে যেমন আমি দাওয়াত দিতে যাব না, তেমনি শিরকের নির্বাক সাক্ষী হবনা ওদেরculture জানতে গিয়ে। হিন্দুদের যদি দাওয়াতী কাজ করতেই হয়, তবে প্রথমে নিজের ইসলামী জ্ঞানের ভিত্তি মজবুত করে নিব।ওদের বিশ্বাস, সংস্কৃতি জানার অনেক উপায় আছে। Islamic Online University (islamiconlineuniversity) তে আমাদের আক্বীদা ১০১ কোর্সে আমরা এ ব্যাপারে বিস্তারিত পড়েছি। এ সংক্রান্ত একটি Ruling খেয়াল করুন islamqa/en/ref/99976/bible এখানে একজন খ্রিস্টানদেরকে দাওয়াত দেয়ার কাজে ব্যাপৃত হতে চেয়েছেন এবং এজন্য ওদের ধর্মগ্রন্থ নিয়ে পড়াশোনা করবেন কিনা এটা জানতে চেয়েছেন। উত্তরে স্কলাররা যা বলেছেন তার অংশবিশেষ হল- আমরা সবার আগে শরীয়াহ জ্ঞান অর্জন ও এব্যাপারে গভীরভাবে অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তার গুরুত্বের কথা বারবার করে বলব যেটা জ্ঞানের একটা স্বতন্ত্র শাখা হয়ে গেছে নিজ গুণে। কারণ এটা সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন না করেই যদি আপনি দাওয়াতী কাজ শুরু করেন তাহলে আপনার দুর্বলতা ও অযোগ্যতা বুমেরাং হয়ে সেই ধর্মের জন্য ব্যাপারে কাল হয়ে দাঁড়াবে যাকে আপনি প্রচার ও প্রসার করতে চেয়েছিলেন। অর্থ্যাৎ ইসলামের ব্যাপারে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন না করেই ওদের ব্যাপারে পড়তে গেলে আপনি ইসলামের উপকারের চেয়ে অপকারের সম্ভাবনাই বেশী। আমার বক্তব্য এখানেই শেষ। পরিশেষে শুধু বলতে চাই, তাহলে মুশরিকদের উৎসবের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী কি হবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে? দেখুন, আল্লাহ কি বলছেন? এবং যারা মিথ্যা কাজে যোগদান করে না এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।(২৫:৭২) স্কলাররা এ আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে যে এখানে মুশরিকদের উৎসব সম্পর্কে বলা হচ্ছে। তাদের কার্ড বা অন্য কোনো কিছু উপহার হিসেবে দেয়া সঙ্গত নয়।[islamqa/en/ref/1130/christmas] আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইসলাম মানা, বোঝা ও তা ছড়িয়ে দেয়ার এবং মুসলিম অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার তৌফিক দান করুন-আমীন। লেখকঃ হামিদা মুবাশ্বেরা
Posted on: Fri, 17 Oct 2014 13:27:00 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015