প্রায় ৫০০ বছর আগে ফিরে - TopicsExpress



          

প্রায় ৫০০ বছর আগে ফিরে যান। ধরুন, অনেকদূরে আপনার প্রেমিকার বাড়ি। তাকে চিঠি পাঠাবেন। প্রেমপত্র তো আর যার-তার হাতে দেয়া যায় না চিন্তা নেই,.... আপনার কবুতর তো আছে। ওর পায়ে বেঁধে দিন। ও নিয়ে যাবে। কবুতর আপনার কথা বোঝে না। তাহলে সে কীভাবে বুঝতে পারলো, চিঠিটি আপনার প্রেমিকার জন্য? বন্ধু বান্ধবের জন্যেও তো হতে পারত !!...... কি? বিষয়টি অদ্ভুত না? আচ্ছা, এত পাখি থাকতে, কবুতর কেন?... ময়না বা টিয়া কী দোষ করলো?? কবুতরের বিশেষত্ব কী?? সে কী আপনার মনের কথা বোঝে?? আমাদের মস্তিস্কে প্রতিনিয়ত ইলেক্ট্রনিক pulse এর আদান- প্রদান চলছে। এক ভয়াবহ জটিল ব্যাপার। এ কারণে আপনার মস্তিকের একটি magnetic field তৈরি হয়। যা একেবারে unique, একএক জনের জন্য একএক রকম। অনেকটা finger print এর মত। যে কোন কিছু নিয়ে চিন্তা ভাবনা, মুলত আলাদা আলাদা ইলেক্ট্রনিক পালসের জটিল আদান প্রদানের ফসল। এসব আপনার ব্রেনের magnetic field এ ভেসে ওঠে যা বর্তমানে TMS নামের একটি প্রযুক্তি দিয়ে সহজে পড়া যায়। একেবারে mind reading… আপনি যখন আপনার প্রেমিকার কথা ভাববেন, তখন তার একটি signature field আপনার field এ ভেসে আসবে। কবুতর তা পড়তে পারে। একেবারে mind reader এর মত। আপনি যখন চিঠিটি কবুতরের পায়ের সাথে বেঁধে আকাশে ছুড়ে মারবেন, তখন সে আপনার মস্তিস্কের magnetic field থেকে তা পড়ে নেবে, বুঝে নেবে আপনি কার কথা ভাবছেন। এরপর আকাশে উড়ে আপনার প্রেমিকার magnetic ফিল্ড খোঁজার চেষ্টা করবে। অদ্ভুত শোনালেও এটাই রিয়েলিটি। একটা চিল মাটি থেকে ৩ কিলোমিটার উপরে উঠেও ঘাসের ভিতরে থাকা একটা ৩ ইঞ্চি টিকটিকি ক্ষুদ্র চোখে স্পষ্ট দেখতে পায়। বাদুর কেবল শব্দ দিয়ে চলে। অসাধারণ ভাবে। রাডার বা sonar বানানো মুলত বাদুরের concept থেকে। এখন চেষ্টা চলতেছে, কবুতরের concept ইমপ্লিমেন্ট করার। তাহলে একালের সব stealth fighter ভ্যালুলেস হয়ে যাবে। সেটাই হবে ultimate air defense ম্যাকানিজম। কবুতর তার চোখ দিয়ে magnetic ফিল্ডকে দেখতে পারে। নানান রঙে, রঙিন ভাবে। ( দেখুন, মাথা ঘোরালে আমার কিছু করার নেই) Synesthesia disorder এ অক্রান্ত মানুষ সঙ্গিতের color দেখতে পারে। মিথ্যা বলছি না, এঁকেবারে সত্য কথা। এদেরকে sound proof একটা কাঁচের ঘরে বসিয়ে বাইরে থেকে টেপ রেকর্ডারে গান চালাবেন, কি গান বাজছে তারা তা বলে দিতে পারে। এরা ভিন্ন ভিন্ন শব্দ বা সুরকে বাতাসে ভাসতে দ্যাখে, আলাদা আলাদা রঙে। হুমায়ন আহমেদের ছোট ভাই আহসান হাবীব তেমনি একজন ব্যক্তি। দুনিয়া কতই না আজব। আর আমরা? .. আমরা সবচেয়ে বেশি অজব। আমাদের ভেতরে লুকানো রহস্যের শেষ নেই।
Posted on: Thu, 04 Sep 2014 06:44:36 +0000

Trending Topics




© 2015