বাংলাদেশের ৭০,০০০ বছরের - TopicsExpress



          

বাংলাদেশের ৭০,০০০ বছরের ইতিহাস | আদি থেকে বর্তমান সংক্ষিপ্তাকারে বাংলাদেশের সুপ্রাচীন থেকে বর্তমান ইতিহাস বুঝতে Chart- 1, 2 & 3 প্রথমে পড়তে হবে। Chart-1: ভারতীয় ইতিহাস (দক্ষিণ এশিয়া) প্রস্তর যুগঃ ৭০,০০০-৩৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব মেহেরগড়ঃ ৭০০০-৩৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব হরপ্পা ও মহেঞ্জদর সভ্যতাঃ ৩৩০০-১৭০০ খ্রীষ্টপূর্ব হরপ্পা সংস্কৃতিঃ ১৭০০-১৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব বৈদিক যুগঃ ১৫০০-৫০০ খ্রীষ্টপূর্ব লৌহ যুগঃ ১২০০-৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব •ষোড়শ মহাজনপদঃ • ৭০০-৩০০ খ্রীষ্টপূর্ব •মগধ সাম্রাজ্যঃ • ৫৪৫ খ্রীষ্টপূর্ব •মৌর্য সাম্রাজ্যঃ • ৩২১-১৮৪ খ্রীষ্টপূর্ব মধ্যকালীন রাজ্যসমূহঃ ২৫০ খ্রীষ্টপূর্ব •চোল সাম্রাজ্যঃ • ২৫০খ্রীষ্টপূর্ব •সাতবাহন সাম্রাজ্যঃ • ২৩০খ্রীষ্টপূর্ব •কুষাণ সাম্রাজ্যঃ • ৬০-২৪০ খ্রীষ্টাব্দ • গুপ্ত সাম্রাজ্যঃ • ২৮০-৫৫০ খ্রীষ্টাব্দ •পাল সাম্রাজ্যঃ • ৭৫০-১১৭৪ খ্রীষ্টাব্দ •রাষ্ট্রকুটঃ • ৭৫৩-৯৮২ খ্রীস্টাব্দ •ইসলামের ভারত বিজয়ঃ •সুলতানী আমলঃ • ১২০৬-১৫৯৬ খ্রীস্টাব্দ •দিল্লি সুলতানিঃ • ১২০৬-১৫২৬ খ্রীষ্টাব্দ •দাক্ষিনাত্যের সুলতানঃ • ১৪৯০-১৫৯৬ খ্রীষ্টাব্দ হোয়সলা সাম্রাজ্যঃ ১০৪০-১৩৪৬ খ্রীষ্টাব্দ কাকাতিয়া সাম্রাজ্যঃ ১০৮৩-১৩২৩ খ্রীষ্টাব্দ আহমন সাম্রাজ্যঃ ১২২৮-১৮২৬ খ্রীষ্টাব্দ বিজয়নগর সাম্রাজ্যঃ ১৩৩৬-১৬৪৬ খ্রীষ্টাব্দ মুঘল সাম্রাজ্যঃ ১৫২৬-১৮৫৮ খ্রীষ্টাব্দ মারাঠা সাম্রাজ্যঃ ১৬৭৪-১৮১৮ খ্রীষ্টাব্দ শিখ রাষ্ট্রঃ ১৭১৬-১৮৪৯ খ্রীষ্টাব্দ শিখ সাম্রাজ্যঃ ১৭৯৯-১৮৪৯ খ্রীষ্টাব্দ ব্রিটিশ ভারতঃ ১৮৫৮–১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দ ভারত ভাগঃ ১৯৪৭–১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধঃ ১৯৭১–বর্তমান Chart-2: ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে উদ্ভূত সাতটি দেশঃ ■ বাংলাদেশ ■ ভুটান ■ ভারত ■ মালদ্বীপ ■ নেপাল ■ পাকিস্তান ■ শ্রীলংকা Chart-3: ভারতীয় উপমহাদেশের অঞ্চলঃ ■ আসাম ■ বেলুচিস্তান ■ বঙ্গ ■ হিমাচল প্রদেশ ■ উড়িষ্যা ■ পাকিস্তানের অঞ্চল সমূহ ■ পাঞ্জাব ■ দক্ষিণ ভারত ■ তিব্বত খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দ থেকে খ্রিষ্টীয় বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন, মধ্যযুগীয় ও প্রাক-আধুনিক কালের ইতিহাস। খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় দশ লক্ষ বছর আগে উক্ত ভূখণ্ডে প্রথম মানববসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়। তবে ভারতের জ্ঞাত ইতিহাসের সূচনা হয় ৩৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ থেকে ১৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সিন্ধু সভ্যতার উন্মেষ ও প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে। পরবর্তী হরপ্পা যুগের সময়কাল ২৬০০ – ১৯০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের সূচনায় এই ব্রোঞ্জযুগীয় সভ্যতার পতন ঘটে। সূচনা হয় লৌহ বৈদিক যুগের। এই যুগেই সমগ্র গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে মহাজনপদ নামে পরিচিত প্রধান প্রধান রাজ্যগুলির উন্মেষ ঘটে। এই রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল মগধ। খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে মগধে জন্মগ্রহণ করেন মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধ; পরবর্তীকালে যাঁরা ভারতের জনসাধারণের মধ্যে শ্রমণ ধর্মদর্শন প্রচার করেন। অব্যবহিত পরবর্তীকালে একাধিক বৈদেশিক শাসনে এই অঞ্চলের সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করে। এগুলি মধ্যে ৫৪৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ প্রতিষ্ঠিত পারসিক সাম্রাজ্য ও ৩২৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ মহামতি আলেকজান্ডারের রাজত্বকাল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া পাঞ্জাব ও গান্ধার অঞ্চলে ব্যাকট্রিয়ার প্রথম ডিমেট্রিয়াস কর্তৃক ১৮৪ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে স্থাপন করেন ইন্দো-গ্রিক রাজ্য। প্রথম মিনান্ডারের আমলে গ্রিকো-বৌদ্ধ যুগে এই রাজ্য বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির চরমে পৌঁছায়। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় ও চতুর্থ শতাব্দীতে মৌর্য সাম্রাজ্যের অধীনে উপমহাদেশে রাজনৈতিক ঐক্য সাধিত হয়। পরবর্তী দশ শতাব্দীকাল একাধিক ক্ষুদ্রকায় রাজ্য ভারতের বিভিন্ন অংশ শাসন করে। চতুর্থ খ্রিস্টাব্দে উত্তর ভারত পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয় এবং পরবর্তী প্রায় দুই শতাব্দীকাল গুপ্ত সাম্রাজ্যের অধীনে সেই ঐক্য বজায় থাকে। এই যুগটি ছিল হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতির পুনর্জাগরণের কাল। ভারতের ইতিহাসে এই যুগ ভারতের সুবর্ণ যুগ নামে অভিহিত হয়ে থাকে। এই সময় ও পরবর্তী কয়েক শতাব্দীকাল দক্ষিণ ভারতে রাজত্ব করেন চালুক্য, চোল, পল্লব ও পাণ্ড্য রাজন্যবর্গ। তাঁদের রাজত্বকাল দক্ষিণ ভারতের নিজস্ব এক সুবর্ণ যুগের জন্ম দেয়। এই সময়ই ভারতীয় সভ্যতা, প্রশাসন, সংস্কৃতি তথা হিন্দু ও বৌদ্ধধর্ম এশিয়ার অধিকাংশ অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। ৭৭ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ কেরলের সঙ্গে রোমান সাম্রাজ্যের সামুদ্রিক বাণিজ্যের কথাও জানা যায়। ৭১২ খ্রিস্টাব্দে আরব সেনানায়ক মুহাম্মদ বিন কাশিম দক্ষিণ পাঞ্জাবের সিন্ধ ও মুলতান অধিকার করে নিলে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমান শাসনের সূচনা ঘটে। এই অভিযানের ফলে দশম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে মধ্য এশিয়া থেকে সংগঠিত একাধিক অনুপ্রবেশের ভিত্তিভূমি সজ্জিত করে। এরই ফলস্রুতিতে ভারতীয় উপমহাদেশে দিল্লি সুলতানি ও মুঘল সাম্রাজ্যের মতো মুসলমানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়। মুঘল শাসনে উপমহাদেশের প্রায় সমগ্র উত্তরাঞ্চলটি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। মুঘল শাসকরা ভারতে মধ্যপ্রাচ্যের শিল্প ও স্থাপত্যকলার প্রবর্তন ঘটান। মুঘলদের সমকালেই দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্ব পশ্চিম ভারতে বিজয়নগর সাম্রাজ্য, অহোম রাজ্য এবং মারাঠা সাম্রাজ্য ও একাধিক রাজপুত রাজ্যের মতো বেশ কিছু স্বাধীন হিন্দু রাজ্যের উন্মেষ ঘটে। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ধীরে ধীরে মুঘলদের পতন শুরু হয়। এর ফলে আফগান, বালুচ ও শিখরা উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হয়। অবশেষে ব্রিটিশরা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার উপরে নিজেদের শাসন কায়েম করে। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ও পরবর্তী শতাব্দীতে ধীরে ধীরে ভারত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীনে চলে যায়। ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষিতে কোম্পানির শাসনে অসন্তুষ্ট ব্রিটিশ সরকার সরাসরি ভারতকে ব্রিটিশ রাজের প্রত্যক্ষ শাসনে নিয়ে আসেন। এই সময়টি ছিল ভারতের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অবনমনের এক অধ্যায়। যদিও পাশ্চাত্য আধুনিক শিক্ষার প্রসার এই যুগেই বাংলার মাটিতে জন্ম দেয় এক নবজাগরণ যুগের। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দেশব্যাপী এক স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেয়। পরবর্তীকালে এই আন্দোলনে যোগ দেয় মুসলিম লিগও। অতঃপর ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ গ্রেট ব্রিটেনের অধীনতাপাশ ছিন্ন করে। তবে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভক্ত হয়। উপমহাদেশের পূর্ব ও পশ্চিমাংশের মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি নিয়ে পাকিস্তান ও অবশিষ্ট অঞ্চল ভারতীয় প্রজাতন্ত্র নামে পরিচিত হয়। পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল ১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। সূত্রঃ All India History (Best Seller Book)
Posted on: Mon, 15 Dec 2014 18:07:07 +0000

Trending Topics



n-height:30px;">
OK….so its the season launch of GlobalFunk this coming Thursday
Produtores rurais não recebem Lula e organizam vaia contra o

Recently Viewed Topics




© 2015