ভারত বিভাগ :- সুরমা-বরাক - TopicsExpress



          

ভারত বিভাগ :- সুরমা-বরাক উপত্যকার মুসলমানদের বিভাজন status no 1 ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগ এবং পাকিস্তানের সৃষ্টি দক্ষিণ এশিয়ার সব থেকে গুরুত্বপুর্ণ এবং আলোচিত বিষয়।ভারত বিভাগ কি অনিবার্য ছিল না।। এর অন্য কোন বিকল্প ছিল সে আলোচনা এবং বিতর্ক বিভাগের আগে থেকেই শুরু হয়েছে এবং আজ অবধি চলছে।এর শেষ কি কখনো হবে সময় ই হয়ত এর উত্তর দেবে।তবে একথা ঠিক যে বিভাজন হঠাৎ করে হয় নি।কিছু শক্তি কিছু ঘটনা কিছু বিষয় আর কিছু মাধ্যমের মধ্য দিয়ে এমন পরিস্থিতির উদ্বব হয় যার প্ররিপ্রেক্ষিতিতে অখন্ড ভারতবর্ষ দ্বি-খন্ডিত হয়ে পাকিস্তান নামে এক নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।। ১৯৪০খ্রীষ্টাব্দে মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে পাকিস্তান প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর ভারতের রাজনীতিতে এক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।জিন্নাহ কেন পাকিস্তান প্রস্তাব নিয়েছিলেন বা তিনি সর্বভৌম স্বাধীন পাকিস্তানের কথা কেন প্রস্তাবের কোন যায়গায় বলেন নি আমরা এখানে সে আলোচনায় যাব না।পাকিস্তান প্রাস্তাবকে কেন্দ্র করে ভারতীয় মুসলমানেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়-মুসলিম লিগ পন্থি যাদেরকে অনেকে সাম্প্রদায়িক হিসাবে আখ্যায়িত করেন এবং জাতীয়তাবাদী মুসলিম যারা শুরু থেকেই পাকিস্তান প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন।বর্তমান লেখায় আমাদের আলোচনা মূলত ভারত বিভাগ কে কেন্দ্র করে আসামে মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন--বিশেষ করে সুরমা-বরাক উপত্যকায়১৯৪৬ সনের আইন সভার নির্বাচন এবং ১৯৪৭ সনের সিলেটের গ্ণভোটের প্রেক্ষাপটে মুসলমানদের মধ্যে যে দ্বন্দ ও বিভাজন সৃষ্টি হয়েছিল তাতেই সীমিত থাকবে। এস আবিদ তাঁরThe Destiny of Indian Muslim গ্রন্থে লিখেছেন The biggest battle is raging in the Muslims themselves. Today, Maulana A.K.Azad, Maulana Hussain Ahmed Madani are being called dishonest traitors to Islam and mercenary agents Hindus. The Muslim League papers are writing inflammatory articles against them,even threatening them, with murder.(1) ১৯৪৬ সালের কেন্দ্রীয় প্রাদেশিক আইন সভায় নির্বাচন কে কেন্দ্র করে অনুপ্রবেশএবং লাইন প্রথা নিয়ে আসামের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।নির্বাচনি প্রচারে জাতীয়তাবাদী মুসলিম বিশেষ করে জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ যারা কংগ্রেসের সহ্যোগী ছিলেন জন্ম লগ্ন থেকে তারা পাকিস্তান প্রস্তাবের বিরোধিতা,অখন্ড ভারত এবং স্বাধিনতার দাবী তুলে জন সমর্থন আধায় করার চেষ্টা করেন।অন্যদিকে মুসলিম লীগ আদামের জ্বলন্ত সমস্যার সাম্প্রদায়িক ব্যাখ্যা দিয়ে এবং পাকিস্তানের যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে জনসাধারণ কে নিজেদের কে পক্ষে আনার চেষ্টা করে। নির্বাচনী প্রচারে জওহর লাল নেহেরু ১৯৪৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর আসামে আসেন। ১৫ ডিসেম্বর শিলচরে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের সমাবেশে ভাষণ দেন নেহেরু।তিনি তাঁর বক্তব্যে অন্যান্য বিষয়ের সাথে হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।খান সাহেব রসিদ আলি ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাকেন।পরে নেহেরু মোটর গাড়ি করে ধোয়ারবন্দ হয়ে হাইলাকান্দিতে যান এবং প্রায় চার হাজার মানুষের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।অনেক জাতীয়তাবাদী নেতা ও নেহেরুর সফর সঙ্গী ছিলেন।। বাকি অংশ পরবর্তি আপডেইটে।।
Posted on: Sun, 24 Aug 2014 16:34:18 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015