ভারত সরকার ও ভারতীয় জনগণ - TopicsExpress



          

ভারত সরকার ও ভারতীয় জনগণ চীন ও পাকিস্থানের পিছে পড়ে থাকে। ভারতীয়দের বিশ্বাস বাংলাদেশ নাকি তাদের তাদের মিত্রদেশ! অনেকেই জানেনা যে বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষই ভারতকে ঘৃণা করে কারণ ভারত একটি হিন্দুসংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ!! ভারতীয়রা জানেনা এদেশের অধিকাংশ মানুষ স্বপ্ন দেখে ভারতকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসাবে দেখতে এবং চায় পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করতে। বর্তমান পরিস্থিতি বিচারে এগুলি অসম্ভব কিছু নয়। এসব নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যাথা নেই কিন্তু মাথাব্যাথা তখন শুরু হয় যখন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যেকোনো বিষয়ে ভারতকে জড়িয়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার করা হয় আর ভারত তারপরেও একটি দলের অন্ধ তোষামোদ করে! জামায়াত ইসলামের সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদ নাটকের ঘটনাতো সবাই জানেন। জানা গেছে, জামায়াতের এ ন্যক্কারজনক অপতৎপরতার অংশ হিসেবেই শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংখ্যালঘু নির্যাতনের দায় ভারতের ওপর চাপানো হয়েছে এক জামায়াতী সংগঠনের তথাকথিত সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি সভা থেকে। যেখানে মৌলবাদী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদকে। সংগঠনটি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদকে সাম্প্রদায়িক সংগঠন আখ্যায়িত করে বলেছে মুসলমান ও আদিবাসী প্রতিনিধি যে সংগঠনে নেই সেটা কী করে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবে এ গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তী, মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ আব্দুর রব, কবি আব্দুল হাই শিকদার, অধ্যাপক ফাদার তপন ডি রোজারিও, ড. সুকোমল বড়ুয়া, সঞ্জীব চৌধুরী, সুশীল বড়ুয়া প্রমুখ। আলোচনায় বক্তারা ১৯৪৭ সাল পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশে সংখ্যালঘু কমে যাওয়ায় আফসোস করতে শোনা গেলেও ২০০১ সাল-পরবর্তী সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন সুকৌশলে। এমনকি কাদের কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মাতৃভূমিতে না থাকতে পারার যন্ত্রণা নিয়ে পার্শ¦বর্তী দেশ ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় তা উঠে আসেনি আলোচনায়। অধিকাংশ বক্তার আলোচনার মূল মেসেজ ছিল দেশে জামায়াত-শিবির নয়, আওয়ামী লীগই সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতি করে। তারাই নির্যাতন করে সংখ্যালঘুদের ওপর। বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যত নির্যাতন হয়েছে তা রাজনৈতিক কারণে হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে একটি দল ফায়দা লুটতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করে। তারা দাবি করেন, বর্তমান মহাজোট সরকারের সময়ে যেভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হয়েছে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। এভাবে সংখ্যালঘু নির্যাতন অব্যাহত থাকলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌম হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। রামু, পাবনার সাঁথিয়াসহ যত বড় বড় হামলা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর করা হয়েছে সব ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল জড়িত বলে তারা দাবি করেন। তাঁরা বলেন, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ঘটনাগুলো ঘটার আগে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার চরম ব্যর্থতা রয়েছে। এছাড়া ফেসবুককে কেন্দ্র করে যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়েছে তার জন্যেও ভারতকে দায়ী করা হয়েছে। বলা হচ্ছে যারা ইন্টারনেটে এই কাজগুলি করে তারা ভারতের RAW এর সদস্য।। এছাড়া ৯২ সালে বাংলাদেশে যে কয়েকহাজার মন্দির ধ্বংস করা হয় তার জন্যেও ভারতকেই দায়ী করে বক্তারা ।।
Posted on: Sat, 23 Nov 2013 15:01:28 +0000

Trending Topics




© 2015