মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন - TopicsExpress



          

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এবং যুদ্ধোত্তর দেশে জিয়াউর রহমান এর উপর অনেক অবিচার করা হয়েছে । বিশেষ করে যে সব লেখকের মুক্তিযুদ্ধে বিন্দুমাত্র অবদান নেই , যাদের অনেকেই সীমান্ত পাড়ি দেয়াকেই সব থেকে বড় কৃতিত্ব মনে করেন ,তাঁদের মসী আসির চাইতে বেশী বেগে জিয়াউর রহমানের কৃতিত্বকে কচুকাটা করতে সদালিপ্ত ! অনেকের বিরুদ্ধে আবার ১৯৭১ সালে পাক বাহিনীর পক্ষে দালালী করার এবং দস্তখত দিয়ে পাক বাহিনীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশের অভিযোগ রয়েছে । প্রতিটি দেশপ্রেমিক বাংলাদেশির দায়িত্ব এদের অপপ্রচারের জবাব দেয়ার - স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ------------------------------------------- - প্রথম দিকে এরা জিয়ার বিকল্প হিসেবে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ সম্পাদক হান্নানকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করে । কিতু দেশের হাজার হাজার মানুষের কানকে এই মিথ্যা তথ্য বিশ্বাস করাবে কিভাবে , যারা নিজের কানে ২৬ মার্চ মেজর জিয়ার কণ্ঠ শুনেছে । এই তত্ত্ব হালে পানি না পাওয়ায় বলে যে শেখ মুজিব নাকি তাঁর বাসায় রক্ষিত গোপন বেতার যন্ত্রে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান । কিন্তু এটাও যে পাবলিক এবং বিশ্ববাসীকে গেলানো অসম্ভব তা বুঝতে সময় লাগেনি ! বেতার যন্ত্র তো আর মোবাইল এর মতো পকেটে নিয়ে ঘুরা যেত না যে ইচ্ছে করলেই বের করে বেশ দুকথা ভাষণ দিয়ে দিলাম । আর এটা অপারেট করাও সহজ সাধ্য বিষয় ছিল না ! টেকনিক্যাল বিষয়ের কথা না হয় বাদই দিলাম ! তর্কের খাতিরে না হয় ধরেই নিলাম শেখ মুজিব গোপন বেতার যন্ত্রে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন । তাহলে তো দেশের অনেকেরই সেই ঘোষণা শুনার কথা ; কিন্তু শুনল কেবলমাত্র আওয়ামী লীগের কতিপয় Friday Fighter ! আর শুনল বঙ্গোপসাগর দিয়ে যাওয়া এক জাহাজের ক্যাপ্টেন ! ঢাকায় ঐদিন উৎকণ্ঠিত লক্ষ লক্ষ মানুষ রেডিও নিয়ে বসেছিল সর্বশেষ সংবাদ শুনার জন্য , তারা কেউই শুনতে পারল না কেন ? অন্যদিকে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র হতে ২৬ মার্চ হতে যতদিন মেজর জিয়ার কণ্ঠের ভাষণ প্রচারিত হয়েছে তা গোটা দেশবাসীসহ বিশ্ববাসী শুনেছে । তাছাড়া পাক বাহিনী যখন শেখ মুজবের বাড়ি তল্লাশি চালায় তখন যদি বেতার যন্ত্র পাওয়া যেত সেটা নিশ্চয়ই গোপন করতো না ! এরপর তারা প্রচার করতে থাকে শেখ মুজিব প্রেরিত ইংরেজিতে লেখা স্বাধীনতার ঘোষণার একটি হ্যান্ডবিল পান ডঃ মঞ্জুলা আনোয়ার যা পরে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র হতে প্রচার করা হয় । এবারও না হয় ধরে নিলাম পাক বাহিনীর আক্রমণের ঘটনা জানতে পেরে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা সম্বলিত উক্ত হ্যান্ডবিল প্রকাশ করার ব্যবস্থা করেছিলেন ; কিন্তু সবই কেবল চট্টগ্রামে পাওয়া যাবে কেন ? ঢাকায় কি ঐদিন কোন আওয়ামী লিডার ছিল না ? ডঃ ওয়াজেদ মিয়ার ভাষ্য হতে জানা যায় -খোন্দকার মুস্তাক,তাজউদ্দিন , কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন (অবঃ) মনসুর আলী, সৈয়দ নজরুল ইসলাম , ডঃ কামাল , শেখ মনি , সিরাজুল আলম , রাজ্জাক,তোফায়েল প্রমুখ সকলেই ঐদিন রাত ১০.০০ পর্যন্ত শেখ মুজিবের সাথে ছিলেন । আর সে নিজে ছিল রাত ১১.৩০ পর্যন্ত । তারাও কিছু জানতে পারলেন না ! সব সৌভাগ্য কেবল চাটগাঁবাসীর ! সর্বশেষ তাঁরা তাঁরা জিয়াউর রহমানকে ঘোষক নয় পাঠক হিসেবে চিহ্নিত করে ! এবারও নাহয় ধরে নিলাম জিয়াউর রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন , কিন্তু কার লেখা ? শেখ মুজিবের ! নিশ্চয়ই পাক বাহিনী তাকে সুযোগ দিয়েছিল বক্তব্য লিখে তা পাক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে মেজর জিয়ার কাছে পৌঁছে দেয়ার ! নাহলে বন্দী শেখ মুজিবের লিখিত বক্তব্য কালুরঘাটে মেজর জিয়ার কাছে পৌছালো কি করে ? ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় মেজর জিয়ার ভাষণ এবং সেখানে তিনি নিজেকে বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস সুপ্রীম কমান্ডার ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করায় গর্তে লুকিয়ে থাকা কতিপয় বীর পুঙ্গব কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে ছুটে আসে জিয়ার গর্দান নেয়ার জন্য । তাঁরা জিয়াকে রীতিমতো চার্জ করে বসে ! তাদের কথা বার্তায় বিরক্ত হয়ে একপরজায়ে জিয়াউর রহমান যখন তাদের স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বলে তখন এইসব বীর পুঙ্গবদের ব্রহ্মতালু শুকিয়ে যায় - হৃদকম্পন বেড়ে যায় - হাঁটুর কাঁপুনি নৃত্যের পর্যায়ে চলে যায় । তাঁরা সবাই একযোগে বলে না ! না! আমাদের পরিবার চট্টগ্রামে রয়েছে সেহেতু এতো বড় ঝুঁকি তাঁরা নিতে পারেন না । তাঁরা মেজর জিয়াউর রহমানকেই ঘোষণা দিতে অনুরোধ করেন তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পক্ষ হতে শব্দগুলো যেন যোগ করা হয় ! তাহলে কে লিখিত বক্তব্য সরবরাহ করল যে জিয়ার রহমানকে ঘোষক না বলে পাঠক বলতে হবে ! মেজর জিয়া ২৬ মার্চ যে ঘোষণা দেন তা কারো নির্দেশ বা পরামর্শ বা অনুপ্রেরণায় নয় , বরং স্বতঃস্ফূর্তভাবেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন যা প্রিয় দেশবাসী, আমি মেজর জিয়াউর রহমান বলছি । আমি বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস সুপ্রীম কমান্ডার ও রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি । আপনারা দুশমনদের প্রতিহত করুন । দলে দলে এসে যোগদিন স্বাধীনতা যুদ্ধে । বিশ্বের গনতান্ত্রিক দেশগুলোর প্রতি আমাদের আহ্বান , আমাদের এই ন্যায় যুদ্ধে সমর্থন ও সাহায্য দিন ............... ইনশাল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। ইংরেজিতে Dear fellow freedom fighters, I, Major Ziaur Rahman, Provisional President and Commander-in-Chief of Liberation Army do hereby proclaim independence of Bangladesh and appeal for joining our liberation struggle, Bangladesh is independent. We have waged war for liberation war with whatever we have. We will have to fight and liberate the country from occupation of Pakistan Army. Inshallah, victory is ours.” এই বক্তব্যের মধ্যেই নিহিত রয়েছে । অন্যকারো নির্দেশ বা পরামর্শ বা অনুপ্রেরণায় বক্তব্য দিলে নিশ্চয়ই তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারতেন না ! সুতরাং জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতার ঘোষক এটা অবিসংবাদিত এবং ঐতিহাসিক সত্য । তথ্য সুত্রঃ মৃত্যুঞ্জয়ী জিয়া - রুহুল আমীন, একাত্তরের রনাঙ্গনে- শামসুল হুদা চৌধুরী ,একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ- মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি( মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম নয় ), মূলধারা ৭১- মইদুল ইসলাম , মুক্তি সংগ্রাম- মাহবুবুল আলম, মরহুম লেঃজেঃমীর শওকত আলী বীর উত্তম এর সাক্ষাতকার , আমি কেন স্বাধীনতার ঘোষক নই - মেঃজেঃ এস এ ভূঁইয়া,শমসের মবিন চৌধুরী বীর বিক্রম এর ভাষ্য ইত্যাদি। —
Posted on: Sat, 16 Aug 2014 06:24:54 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015