যুগে যুগে সাম্প্রদায়িক দাংগাঃ কে দায়ী? আওয়ামীলীগ না জামায়াত? >>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>আবহমান কাল থেকে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির দেশ। তারপরও বাংলাদেশে ইতিপুর্বে আওয়ামী লীগ বহুবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করেছিল, উদ্দেশ্য একটাই সংখ্যালঘুদের সম্পদ লুটপাট ও দখল করা। স্বাধীনতা উত্তর সংখ্যা লঘুদের সম্পদ দখল বা লুটের যতগুলো মামলা বা খবর প্রকাশিত হয়েছে তার প্রায় শতভাগই আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের নামেই হয়েছে। আওয়ামীলীগ মালিকানাদীন পত্রিকাগুলোই তার বড় স্বাক্ষী যদিও মাঝে মাঝে আওয়ামী নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো মিথ্যার আশ্রয় নেয় কিন্তু সোশাল মিডিয়ার কল্যানে ঠিকই সত্য প্রকাশিত হয়ে যায়। আজো আমাদের সমাজে তাকালে দেখা যায় হিন্দুদের সম্পদ দখলকৃত হোমরা-চোমরাগুলো সবাই আওয়ামীলীগের স্থানীয় কান্ডারী এবং নেত্রীর খুবই আস্থাভাজন যার জ্বলন্ত প্রমান সাবেক স্বরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকু। সাম্প্রতিক কালে রামু এবং পাবনায় সংখ্যালগুদের উপাসনালয় এবং বাড়ি ঘরে যে জঘন্যতম হামলা ও লুটপাট হয়েছে তাতে আওয়ামীলীগের সাবেক একজন মন্ত্রী (আবু সাইদ), মহাজোটের শরীক বামদলগুলো এবং স্থানীয় জনগন সংখ্যাগুলোদের উপর নির্যাতনের জন্যে আওয়ামীলীগের ধুতি খুলে দিয়েছে। এর মাধ্যমে আওয়ামীলীগের বহুবছর ধরে রাজনৈতিক তাস সংখ্যালঘু ইস্যুর গোমর জাতির সামনে ফাঁস হয়ে গেছে। পক্ষান্তরে জামায়াত-শিবিরসহ অন্যান্য ইসলামপন্থীরা বহুবার আওয়ামীলীগের সম্পদলিপ্সু কুচক্রীদের হাত থেকে হিন্দুদের মন্দির ও সম্পদ রক্ষার্থে বাংলাদেশের বহু যায়গায় রাত জেগে পাহারা দিয়েছে, যার জ্বলন্ত প্রমান হিন্দুরা নিজেরাই। জামায়াত-শিবিরসহ অন্যান্য ইসলাম্পন্থীরা ধর্মীয় দায়ীত্ত্বানুভুতি থেকেই এটি করেছে, কারন আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন সংখ্যালঘুদের সম্পদ ও তাদের উপাসনালয় সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের নিকট আমানত। অর্থাৎ মুসলমানদের এটি একটি ধর্মীয় দায়ীত্ত্ব কারন এটার জন্যেও পরকালে আল্লাহর কাছে তাদের জবাবদিহী করতে হবে। সুতারাং এই অনুভুতি শুধু তাদেরই থাকতে পারে যারা ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে নিজের ধর্ম এবং ধর্মীয় আইনকে সঠিকভাবে মেনেচলে বা মেনেচলার চেষ্টা করে। এখন আপনারাই চিন্তা করুন ইসলামীক আইন-কানুন মেনে চলার ক্ষেত্রে কারা বেশি এগিয়ে; জামায়াত নাকি আওয়ামীলীগ নাকি অন্য রাজনৈতিক দল। সুতারাং আসুন আমরা সবাই এ ব্যাপারে সাবধান হই, চোখ-কান খোলা রাখি এবং এধরনের যেকোন প্রোপাগান্ডার তীব্রভাবে প্রতিবাদ করি। এধরনের কোন ঘটনা যাতে কেঊ ঘটাতে না পারে সেব্যাপারেও সজাগ থাকি। কিছুদিন পূর্বে আওয়ামীলীগ নিরাপরাধ-নিরস্ত্র মানুষের উপর যে গনহত্যা চালিয়েছিল এটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যে বহু যায়গায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর অব্যাহত চেষ্টা করেছিল যাহাতে আন্তর্যাতিক সংস্থাকে গনহত্যার ব্যাপারে একটা বুঝ দিতে পারে তবে ব্যার্থ হয়েছে কিন্তু আওয়ামীলীগের এই অপচেস্টা থেমে নেই। বর্তমানে আওয়ামীলীগের যে লেজেগোবরে অবস্থা এবং সাধারন মানুষ রাস্তায় নেমে যেভাবে গনপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তাতে আওয়ামীলীগ একেবারে দিশেহারা ও গনধোলাই এর আতংকে ভীতসন্ত্রস্থ। এমতাবস্থায় যে কোন সময় আবার সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা লাগিয়ে দিতে পারে উদ্দেশ্য একটাই তাহলো আওয়ামী পাচাটা মিডিয়ার মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক জোটকে বিশ্ববাসীর কাছে জঙ্গি হিসাবে উপস্থাপন করে বিদেশীদের সমর্থন আদায় করা এবং আওয়ামীলীগকে যে কোনভাবে ক্ষমতায় রাখা বা পুনরায় ক্ষমতায় আনার যৌক্তিকতা প্রমান করা। দেশবাসীকে অবশ্যই আওয়ামীলীগের এই ধরনের কুটরাজনীতির ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। Mohammad Abu Yousuf Bhuiyan-Fan PostSecret
Posted on: Wed, 13 Nov 2013 12:07:05 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015