যুদ্ধ ঘোষনার কাজটি - TopicsExpress



          

যুদ্ধ ঘোষনার কাজটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক। অনেকেই আজ প্রশ্ন তুলেছেন মেজর জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষনার কতৃত্ব নিয়ে। কিন্তু রাজনৈতিক নেতৃত্বের চরম ব্যর্থতা সত্ত্বেও গনমানুষের দাবি স্বাধীনতা যা একজন সৈনিকের মুখ থেকে উচ্চারিত হয়েছে। এটাই বাস্তবতা। পহ্মান্তরে আলীগের যুদ্ধপ্রস্ত্ততি এবং স্বাধীনতার ঘোষনা প্রসঙ্গে প্রবাস সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের বিশেষ সহকারি মঈদুল হাসান তরফদার বর্ননা করেছেন, এভাবে ফেব্রুয়ারী বা সম্ভবত তার আগে থেকেই যে সমর প্রস্ততি শুরু তার অবশিষ্ট আয়োজন সম্পন্ন করার জন্য মার্চের মাঝামাঝি থেকেই ইয়াহিয়া মুজিব আলোচনার ধ্রম্রজাল বিস্তার করা হয়। এই আলোচনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে যুগপত্‍ সন্দিহান ও আশাবাদী থাকায় আলীগ নেতৃত্বের পহ্মে আসন্ন সামরিক হামলার বিরুদ্ধে যথোপযোগী সাংগঠনিক প্রস্ত্ততিও ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হয়নি। সম্ভবত একই কারনে ২৫/২৬ মার্চের মধ্যরাতে টিক্কার সমর অভিযান শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত আলীগ নেতৃত্ব স্বাধীনতার স্বপহ্মে সুস্পষ্ট সিধান্ত গ্রহন করে উঠতে পারেনি। শেষ মুহুর্তে আলীগ নেতা ও কর্মীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ায় নির্দেশ দিয়েও সহকর্মীদের সকল অনুরোধ উপেহ্মা করে সম্পূন নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেখ মুজিব রয়ে গেলেন নিজ বাসভবনে। সেখান থেকে গ্রেফতার হলেন হত্যাযঙ্গের প্রহয়ে। (সূত্র মূলধারা ৭১)। পাকিস্তানের গনপরিষদের অধিবেশনে যোগদানের জন্য পশ্চিম পাকিস্তান হতে নির্বাচিত ন্যাপ নেতা খান ওয়ালী খান পূর্ব পাকিস্তান আসেন এবং শেখ মুজিবের সঙ্গে দেখা করেন ২২ মার্চ ১৯৭১। সাহ্মাত্‍কালে তিনি জানতে চান তিনি (মুজিব) এখনও ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানে বিশ্বাস করেন কিনা। জবাবে মুজিব বলেছিলেন, খান সাব আমি একজন মুসলিম লীগার। (মাহবুবুল আলম, বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত, নয়ালোক প্রকাশনী পৃষ্ঠা : ১১৪-১১৫)। অর্থাত্‍ তিনি পাকিস্তানের অমঙ্গল কামনা করতে পারেন। ঔই বৈঠকে ওয়ালী খান শেখ মুজিবকে পাকিস্তানী সামরিক জান্তাদের ব্যাপারে সর্তক করতে গিয়ে বলেছিলেন, তারা হয়ত আপনাকে গ্রেফতার করতে পারে। শেখ মুজিব হেসে বলেছেলেন, করতে চাইলে করুক আমিতো স্যুটকেস রেডীই রেখেছি। এর সমর্থন পাওয়া যায় সিদ্দিক সালিকের লেখা থেকে যেখানে ২৩ মার্চ ইয়াহিয়া সাথে বৈঠককালে মুজিব এক পর্যায়ে ইয়াহিয়াকে অনুরোধ করেন। তাকে (মুজিবকে) যেন গ্রেফতার করা হয়। অন্যথায় চরমপন্থিরা স্বাধীনতার ডাক দিতে পারে। (সিদ্দিক সালিক, এ উইটনেস টু সারেন্ডার)। আলীগ নেতা সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল শফিউলল্লাহ তার লেখ বাংলাদেশ অভাট ওয়ার গ্রন্থে ৪৫নং পৃষ্ঠায় তিনি উল্লেখ করেছেন, জিয়াউর রহমান তার দেয়া প্রথম ঘোষনা নিজেকে হেড অব দ্য স্টেট দাবি করেছিলেন। পরবর্তী দিনে আবার সংশোধীত ঘোষনা দেন। তিনি লিখেছেন, Zia made his firs announcement on the redio an march 26. in this announcement apart from saying that they were fighting against pakistan army. he also declared himself as the head of the state. এছাড়া মুক্তযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি মেজর রাও ফরমান আলীর লেখা ঐড়ি চধশরং : উবারফবফ গ্রন্থের ৮৬ নং পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন, Every bengali unit had revolted major ziaur rahman had killed his commanding officer colonel janjua and declered indenpendence of bangladesh with himself as its first president they took over the day. উপরের শীর্ষস্থানীয় সামররিক কর্মকর্তা তাদের লেখায় উল্লেখ করেছেন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষনা করেছিলেন নিজেকে হেড অব দ্য স্টেট দাবি করে এবং ৭১ এর ১৭ এপ্রিল আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে কোন সরকার ছিল না। সেহেতু অফিসিয়াল ভাবেই হোক আনঅফিসিয়ালী ভাবেই হোক জিয়াউর রহমানই তখন রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন।
Posted on: Thu, 11 Dec 2014 00:32:46 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015