লেবু বেশী কচকাইলে তিতা - TopicsExpress



          

লেবু বেশী কচকাইলে তিতা হয় আর বাঙ্গালী কোন কিছু তিতা না কইরা ছাড়ে না। পবিত্র কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রাখার কারনে সমগ্র বাঙ্গালী মুসলিম জাতি এখন তসলিমা নাসরিনের উপর ক্ষুদ্ধ আর ঠিক এই সময়েই নঈম নিজাম তসলিমা নাসরিনের একটার পর একটা লেখা উনার বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ছাপিয়ে যাচ্ছে। ২ দিন আগে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা ঘোষনা দিয়েছে তসলিমা নাসরিনের নতুন উপন্যাস শরম এখন থেকে ধারাবাহিক ভাবে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশ করা হবে। যেইখানে কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রাখার কারনে সারাদেশের মানুষ তসলিমা নাসরিনকে ছি ছি করছে ঠিক এই সময়ে নঈম নিজাম নির্লজ্জের মত তসলিমা নাসরিনের একটার পর একটা লেখা ছাপিয়েই যাচ্ছে। জীবনে অনেক ছ্যাচড়া দেখছি কিন্তু বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদকের মত এত ছ্যাচড়া লোক কখনো দেখি নাই। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে হুমায়ন আজাদের মত রামদার কোপ খাওয়া না পর্যন্ত নঈম নিজাম তসলিমা নাসরিনের লেখা ছাপানো বন্ধ করবে না। আমার ফলোয়ার লিস্টে তো ছাত্রলীগ যুবলীগের বহু নেতা আছে যারা নিয়মিত আমার লেখা পড়েন। আপনারা তো সামান্য টেন্ডারের জন্য একজন আরেকজন কে খুন করে ফেলেন। তো এখন যে কোরআন শরীফ কে অবমাননাকারী তসলিমা নাসরিনের লেখা নঈম নিজাম একটার পর একটা ছাপিয়ে যাচ্ছে তো এখন কি ছাত্রলীগ যুবলীগের কেউ পারে না নঈম নিজামের ধরটা ঘাড় থেকে নামিয়ে দিতে। নঈম নিজাম আমাকে উল্লেখ করে যেই Status টা দিয়েছে সেখানে উনি বলেছেন উনি নাকি মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের সন্তান ! উনার মা নাকি মুক্তিযুদ্ধাদের কে ভাত রান্না করে খাওয়াতো। তো আমার কথা হল মুক্তিযুদ্ধার চেতনা কি এটাই যে কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রাখা মহিলার লেখা একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা ? মুক্তিযুদ্ধারা কি সমাজে লিভ টুগেদার, সমকামীতার প্রসার, কোরআন শরীফকে চায়ের কাপ রাখার স্থান হিসাবে ব্যবহার করা যাবে এইসব কারনে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল ? তাইলে নঈম নিজাম কেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তসলিমা নাসরিনের সব অন্যায় কাজ কে ন্যায়সিদ্ধ করতে চাচ্ছে। আর জীবনেও তো দেখি নাই এই তসলিমা নাসরিন ইউরোপের মাটিতে কখনো মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেছে। তসলিমা নাসরিন তো সারা জীবন বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ কে পচিয়ে গেছে। আর ঠ্যালায় পরলেই তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা এসে পরে। আওয়ামী লীগের একটা কথা মনে রাখা উচিত বঙ্গবন্ধুই কিন্তু আল্লাহর রাসূলকে নিয়ে ব্যঙ্গ কবিতা লেখার কারনে কবি দাউদ হায়দার কে বাংলাদেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশ কে দেয়া ইসরাঈল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি বঙ্গবন্ধুই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ভারতের মতামত কে অগ্রাহ্য করে OIC তে যোগদান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা এগুলি বঙ্গবন্ধুই করেছেন। তাই আওয়ামী লীগ যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে থাকে তাইলে তাদের উচিত এখন ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। পবিত্র কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রাখার কারনে সরকারের উচিত এই তসলিমা নাসরিন ও আসিফ মহিউদ্দীনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। আর হঠাৎ করে নঈম নিজাম কেন ধারাবাহিক ভাবে তসলিমা নাসরিনের লেখা বাংলাদেশ প্রতিদিনে ছাপিয়ে দেশের মানুষকে খেপিয়ে তুলছে এই ব্যাপারটা নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা গুলির উচিত তদন্ত করা। যেখানে ১৯৯৪ সালের পর থেকে আর কোন জাতীয় মাসিক পত্রিকাতে তসলিমা নাসরিনের কোন লেখা ছাপা হয় না সেখানে কেন নঈম নিজাম তসলিমার লেখা ছাপাতে মরন পন করেছে ব্যাপারটা আসলেই সন্দেহজনক। আর এমন তো না যে তসলিমা নাসরিন বুকার পুরস্কার পাওয়া কোন মহিলা যার সাহিত্যগুণ অসাধারন যার লেখা ছেলেবুড়ো সবাই পড়ে। আপনারা কি জানেন তসলিমা নাসরিন একজন লেখা চোর ! যে বইটি লিখে তসলিমা নাসরিন আনন্দ পুরুস্কার পেয়েছেন সেটি হল,নির্বাচিত কলাম। তাসলিমা নাসরিনের এই নির্বাচিত কলাম গ্রন্থটি পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট গবেষক ও লেখিকা সুকুমারী ভট্টাচার্যের প্রাচীন ভারতঃ সমাজ ও সাহিত্য বইটার হুবহু নকল ! এইভাবেই অন্যের লেখা চুরি করে তসলিমা নাসরিন নিজের নামে চালিয়ে বাজারমাত করে বিখ্যাত হয়েছেন। তসলিমা নাসরিন উনার লেখনীর সাথে জুড়ে দিয়েছে দুটি বিষয়বস্তু, তা হল ইসলাম বিদ্ধেষ ও যৌনতা। আর তাতেই চরিত্রহীন মিডিয়া তসলিমা নাসরিনকে জোনাকী থেকে নক্ষত্র বানিয়ে দিয়েছে। এই চরিত্রহীন মিডিয়ার কারনেই তসলিমা নাসরিন আজ জনপ্রিয় লেখিকা ! হুমায়ন আজাদও যে একটা লেখা চোর ছিল সেটা আহমদ ছফাই প্রমাণ করে গেছেন। প্রত্যেকটা মুক্তমনাই হচ্ছে এক একটা লেখা চোর। এই তসলিমা হুমায়ন আজাদ পশ্চিমবাংলার যেই সব কবি কবি সাহিত্যিকদের কে বাংলাদেশের মানুষ চিনে না সেই সব কবি সাহিত্যিকদের লেখা চুরি করে এই তসলিমা হুমায়ন আজাদ গং নিজেদের নামে চালিয়ে দিত। কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রাখা অপরাধ না কিন্তু আপনি যখন এর প্রতিবাদ করবেন তখন দেশের ৩ টা জাতীয় পত্রিকা আপনাকে জঙ্গি বলে আপনার ছবি সহ খবর ছাপা হবে। আমার বিরুদ্ধে করা তসলিমা প্রেমিক নঈম নিজামের জিডির প্রেক্ষিতে আজকে বিকালে আমার দেশের বাড়ি ব্রাক্ষনবাড়িয়া সদরে পুলিশ গেছে আমাকে খুঁজতে। হয়ত আমি অতি শীঘ্র গ্রেফতার হবো। আবার হয়ত আমাকে কাশিমপুর কারাগারে প্রেরন করা হবে। পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে আমি বর্তমানে ফেরারী জীবন যাপন করছি। জানি না কপালে কি আছে। ধিক কালের কন্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন কে। আমার গত Status এ তসলিমা নাসরিন Comment করেছিল। সেই Comment গুলি যারা পড়ছেন তারা জানেন যে তসলিমা নাসরিন বারবার আমাকে বলেছিল ফারাবী তুমি আমার নাতির বয়সী, আমি তোমার কোন ক্ষতি হতে দিব না। আমি বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালেরকন্ঠের সম্পাদক কে বলে দিব তারা যেন তোমার ছবি না ছাপায়। কিন্তু কই আমার বিরুদ্ধে তো ঠিকই এই বাংলাদেশ প্রতিদিন উঠে পরে লেগেছে। আমাকে দেয়া কথা তসলিমা নাসরিন রাখল কই ? আগের বার ৬ মাস জেল খাটলাম রাজীব/থাবা বাবার কারনে আর এখন ফেরারী জীবন যাপন করছি তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে লেখার কারনে। সবাইকে অনুরোধ করছি বসুন্ধরা গ্রুপের পণ্য বর্জন করার জন্য। এই বসুন্ধরা গ্রুপ সরাসরি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছে। বাজারে বসুন্ধরা গ্রুপের বিকল্প অনেক পণ্যই আছে। কালেরকন্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা না কিনলেও আমাদের জীবন চলবে। বসুন্ধরা গ্রুপ যেভাবে কোরআন শরীফের উপর চায়ের কাপ রাখা মহিলার পক্ষাবলম্বন করছে সেক্ষেত্রে এই বসুন্ধরা গ্রুপের পন্য কোন মুসলমান ব্যবহার করতে পারে না।
Posted on: Sun, 24 Aug 2014 15:02:56 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015