শুরুতেই সকল বন্ধুদের - TopicsExpress



          

শুরুতেই সকল বন্ধুদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যদি লেখার মধ্যে খারাপ কোন শব্দ ব্যবহার করে থাকি তার জন্য। আর এর জন্য আমাকে কেউ দোষারোপ করবেন না আপনারা কেননা কেউ যদি দীর্ঘ ৫০ মিনিটের ও অধিক সময় ধরে কুত্তার ঘেউ ঘেউ শুনতে থাকে তাহলে চিন্তা করেন তার মানসিক ও শারীরিক অবস্থার কি হতে পারে? আর এই কষ্টের মূল কারন আবদুস শুক্কুর নামে এক ফেইসবুক বন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ২৬শে মার্চের ঘোষনা ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় বেশ কিছু বিতর্কিত তথ্য উপাত্ত দিলেন এবং একটি ভিডিও লিংক দিলেন যা শুনতে গিয়ে রীতিমত আমার ভীমড়ি খাওয়ার উপক্রম হইল! যে তথ্য উপাত্ত ভিডিও লিংক থেকে পেয়েছি ঐ সমস্ত তথ্যই যথেষ্ট কোন বলদা সমালোচনাকারী ব্যক্তিকে কিংবা অবুঝ কোন ব্যক্তিকে বিশ্বাস করানোর জন্য। দুঃখিত যে বিশেষ ব্যক্তির কারনে আমার এই লেখা সে হল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল তাহেরসহ অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধার হত্যাকারী জিয়াউর রহমানের পুত্র ও বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শিক পুত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট পাতিহাসবিদ, খাম্বা চোরের জনক ও মিঃ ১০% এর উদ্যোক্তা তারেক জিয়া (খাম্বা তারেক)। গত ৮ই এপ্রিল যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনিস্টারে বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার নেতাকর্মীদের নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রধান করেন খাম্বা তারেক। ঐখানে তিনি চিরন্তন সত্য কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করে যেমনটা আল্লাহর অস্তিত্বের ব্যাপার নিয়ে নাস্তিকেরা করে। আট দশটা মানুষের মত তাকে গালি দিয়ে আমি আমার দায়িত্ব শেষ করব না। তার প্রত্যেকটা বিতর্কের প্রমান সহ পাল্টা উত্তর আমি দিব! আমি জানি যারা পাঠক তাদের মধ্যে অনেক বিএনপি ও জামাতের সমর্থক আছে। প্রমান পাওয়ার পর আমার তথ্যগুলো সঠিকভাবে যাচাই বাচাই না করে কেউ পাল্টা কমেন্ট করবেন না যদি সত্যটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় তাহলে সত্য থেকে নিরাপধ দূরত্ব বজায় রাখুন। অযথা ঝামেলা করবেন না। বিতকর্ের বিষয়সমূহঃ ১। তারেক জিয়ার প্রথম বিতকর্িত উক্তি হল, স্বাধীনতার ইতিহাসে কি বলে স্বাধীনতার ঘোষনার ব্যাপারে এবং অথর্মন্ত্রী এম এ মুহিত তার লিখিত বইয়ে কি লিখেছেন তা তিনি উল্লেখ করেছেন। -বিতকর্িত ইতিহাসবেত্তা বিশিষ্ট তারুন্যের প্রতীক তারেক জিয়া কে বলতে চাই কারও ব্যক্তিগতভাবে লেখা বই কি ইতিহাস হিসেবে গন্য হবে নাকি অতীতে যা ঘটেছে তাই ইতিহাস হবে। কারও ব্যক্তিগত লেখা কখনও ইতিহাস হতে পারে না এবং কখনও গ্রহনযোগ্যও হতে পারে না। ২। তারেকের ভাষ্যমতে মুহিত লিখেছেন জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক। -অবশ্যই জিয়া ইংরেজিতে প্রচারিত বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রথম ঘোষক (ঘোষনাপত্রের পাঠক হিসেবে)। কিন্তু তারেক সেটা উল্লেখ করেন নাই। ৩। কে এম শফিউল্লাহ তার বইয়ে লিখেছেন জিয়া ২৬শে মাচর্ স্বাধীনতার ঘোষনা করেছেন এবং জিয়া নিজেকে দেশের প্রধান হিসেবে দাবি করেছেন! -জিয়া তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেছেন আমাদের জাতির মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে। একজন নেতার নেতৃত্বে থেকে এবং একজন নেতাকে পুরা একটা জাতির মহান নেতা মেনে কিভাবে তিনি নিজেকে দেশের প্রধান দাবি করেছেন তা আমার বোধগম্য নয়। উনি যদি দাবি করে থাকেনও তাহলে কিসের ভিত্তিতে তিনি করেছেন? তিনি কি পূবর্ পাকিস্তানের মুজিবের পরে দ্বীতীয় কোন নেতা ছিলেন, কিংবা সেনাবাহিনীর সব্বর্োচ্চ কোন অধিনায়ক? তাহলে তিনি কিসের উপর ভিত্তি করে নিজেকে প্রধান দাবি করলেন? যাক সেটাও না হয় মানলাম কিন্তু এরপর তিনি কি নয় মাস যুদ্ধকালীন সময়ে তার নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছিল মুক্তিকামী জনতা! তিনি কার নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছিলেন? আর একজন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি (পাতিহাসবিদ তারেকের মতে) কি করে আর এক জনের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশগ্রহন করে! ৪। ভারত রক্ষক বইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন তারেক। সেখানে বলা আছে জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছেন এবং তিনি নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দাবি করেছেন। -ভারত রক্ষক বইটিতে জিয়ার সমগ্র ভাষনটি জিয়াকে উদ্ধৃতি দিয়ে করা হয় নাই তারা তাদের নিজের ভাষায় বলেছেন যে জিয়া দেশের প্রধান। আর বইটি লিখা হয়েছিল কিন্তু জিয়ার ঘোষনার অনেক পরে। যার কারনে এটা লেখার সময় স্বাধীনতার ঘোষনাটাকে মূল বিষয় ধরে বাহি্যক বিষয়গুলো তারা অনুমানের ভিত্তিতে যুক্ত করেছেন যে কথা তিনি বলেন না তা কিভাবে এই বইতে থাকবে। আর তারেক জিয়াকে বলতে চাই যে ভারতের সাথে এত সাপে নেউলে সম্পকর্ ঐ ভারতের বইকে কি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এই ভুলটা দেখার কারনে? দেশের স্বাধীনতা, দেশের যুদ্ধ এবং দেশের স্বাধীনতার দলিলপত্র বাদ দিয়ে ভারতের দলিল নিয়ে টানাটানির অথর্টা বুঝলাম না। সহকারীওতো মনে হয় গত কয়েকদিন আগে গ্রেপ্তার হয়েছে দলিল জালিয়াতির কারনে হয়ত তোমার কপালেও একি দুঃখ আছে ইতিহাস বিকৃতির কারনে। ৫। ফ্রান্স টিভির একটি ভিডিও তিনি চালিয়েছেন যেখানে বঙ্গবন্ধুকে ছয় দফা ও স্বাধীনতার ব্যাপারে অনাগ্রহের কথা তারেক তুলে ধরেছে। -আসলে চোরের চুরি করার স্বভাব সব জায়গায় থাকে ইতিহাস বিকৃতিতেও থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক! তারেক আগের যুক্তিতে উল্লেখ করেছিল জিয়া বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কিন্তু তারেক যে ভিডিও দেখিয়েছেন তার আগের কথা কেউ যদি ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করে দেখেন (ভিডিওটির লিংকঃm.youtube/watch?v=YUCMCXfscgc&itct=CBkQpDAYASITCPPl-Iy9w8ECFcI9jgodtqIApjIHcmVsYXRlZEiS6-LVpZf17Sc%3D) তাহলে দেখা যাবে সেখানে বঙ্গবন্ধু ২৬শে মাচর্ের আগেই নিজেকে নৈতিকভাবে ও আইনগতভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এখন এই ভিডিও যদি তারেক বিকৃতভাবে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য অল্প দুটি কথা ব্যবহার করে সম্পূনর্ ভিডিও প্রদশর্ন করলে তারেক কি সত্যটা মেনে নেবে? আসলে তারেক মনে হয় ভূলে গেছে ধানের শীষ ভাতের ব্যবস্থা করবে কিন্তু নৌকা তো পানিতে ডুবে যাবে তখন সবাই মারা যাবে। এই বলে ভোট চাওয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে অনেক আগে। আসলে জানবেই বা ক্যামনে চিকিৎসার নাম দিয়ে চোরের মত দেশের বাইরে আছে ৫ বছরও অধিক সময় ধরে। বঙ্গবন্ধু কখনই যুদ্ধ চাননি চেয়েছিলেন দেশের মানষের অধিকার। কোন যুদ্ধ ছাড়া যদি নিজেদের অধিকার আদায় করা যায় তাহলে যুদ্ধের কিংবা স্বাধীনতার কি প্রয়োজন? বঙ্গবন্ধু কথাটি বলেছিলেন ঐ ক্ষেত্রে। কিন্তু পাকিস্তানীরা যখন আমাদের উপর জোর করে যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল তখনি বঙ্গবন্ধু যুদ্ধের আহবান জানিয়েছিল। ৬। তাজউদ্দীন আহমেদের দেওয়া স্বাধীনতার বিষয়ে লেখাটি না পড়ার কারনে তারেকের মতে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতা চান নি! -তাজউদ্দীনের দেওয়া এই লেখায়ও কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। খাম্বা তারেক কি ব্যাপারটা খেয়াল করেন নাই? তারকের মাথায় যদি এতটুকু জ্ঞান থাকত তাহলে এর মাধ্যমেই বুঝতে পারত মুজিব ও জিয়ার মধ্যে পাথর্ক্য কোথায়। কারন একজন রাষ্ট্রনায়ক কখনই তার অনুসারীর কথায় এমন কোন কাজ করবেন না যা তার দেশের জন্য ক্ষতি হবে। কারন ঐ সময় এর পরের দিন কি হবে তা বঙ্গবন্ধু নিজেও জানত না। যদি এর পরের দিন পাকিস্তানীরা দাবি মেনে নিয়ে বাঙ্গালীদের অধিকার ফিরিয়ে দিত তাহলে মুজিব সকলের কাছেই দেশোদ্রোহী হতেন এবং দেশের মানুষ বলত মুজিব তাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নিজের হাতে লিখিত ঘোষনাপত্র কিন্তু পরবতর্ীতে ঠিকই স্বাধীনতার ঘোষনা হিসেবে বিভিন্নভাবে প্রচারিত হয়েছিল। তাহলে ঐ দিন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষনাটি রেকডর্ না করায় কি স্বাধীনতার ঘোষনায় কোন সমস্যা হয়েছিল? ৭। পাকিস্তানী পাসপোটর্ নিয়ে দেশে আসায় তারেকের কাছে দৃষ্টিকটু! -বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেওয়ার সময় তার কাছে আন্তজর্াতিকভাবে স্বীকৃত পাসপোটর্ ছিল পাকিস্তানের। ঐ পাসপোটর্টি কিন্তু তখনও অবৈধ হয় নাই দেশীয়ভাবে কিংবা আন্তজর্াতিকভাবে। কারন ঐ পাসপোটর্ অবৈধ হতে অনেক আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপার আছে যার কিছুই তখন হয় নাই যার কারনে ঐ স্বীকৃত পাসপোটর্ নিয়ে বঙ্গবন্ধু দেশে আসায় কি হিসেবে অপরাধ ধরতেছে তা আমার বোধগম্য নয়। এখন যদি উল্টা একটা প্রশ্ন আমি করি? তার মা খালেদা দীঘর্ নয় মাস পাকিস্তানী হানাদার জাঞ্জুয়ার বিছানায় আরামে আয়েশে দিন অতিবাহিত করেছেন সেটার কি হবে? আমরা এই ব্যাপারে তারেকের বক্তব্য শোনতে চায়! ৮। তারেকের মতে বাংলাদেশে সবর্প্রথম রাজাকারদের পূনবর্াসন করেছে আওয়ামীলীগ! -১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সবর্প্রথম যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করেছিলেন এবং অনেক যুদ্ধাপরাধীদের তিনি সাজাও দিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মৃতু্যর পর ধীরে ধীরে দৃশ্যপট পাল্টাতে থাকে এবং রাজাকাররা দেশে পূনবর্াসিত হতে থাকে। পূনবর্াসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল খুনি জিয়ার শাসন আমলে। তার মাধ্যমেই প্রথম গোলাম আজম গং বাংলাদেশের পাসপোটর্ পায় এবং দেশে এসে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ পায়। কিসের উপর ভিত্তি করে তারেক এই কথা বলল জানি না তবে আমি নিশ্চিত এই কথা শুনলে খুনি জিয়া হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাবে। লিখিতভাবে বিতকর্ের সম্পূনর্ ভাষন ও এর উত্তরঃ বিতকর্ঃ This is Swadhin Bangla Betar Kendra. I, Major Ziaur Rahman, at the direction of Bangobondhu Mujibur Rahman, hereby declare that Independent Peoples Republic of Bangladesh has been established. At his direction, I have taken the command as the temporary Head of the Republic. In the name of Sheikh Mujibur Rahman, I call upon all Bengalees to rise against the attack by the West Pakistani Army. We shall fight to the last to free our motherland. Victory is, by the Grace of Allah, ours. Joy Bangla.[42] এই লেখাটি উকিপিডিয়া থেকে নেওয়া হয়েছে। এই ভাষনটি আবার উকিপিডিয়া নিয়েছে জয়ীতা সেনগুপ্তের লিখিত বইয়ের রেফারেন্স থেকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে জয়ীতা সেনগুপ্তটা কে? উনি কি ইতিহাস রচনা করেন নাকি ইতিহাস বর্ননা করেন? উনি কি ইতিহাসের সঠিক রুপটা তুলে ধরেন নাকি ইতিহাসটাকে বীকৃত করে তুলে ধরেন নাকি ভুলবশঃত শব্দচয়নে সমস্যা হওয়ার জন্য এই বিতর্কটা হয়েছে? আমি যখন কোন একটি ব্যক্তি সম্পর্কে লিখতে যাব তখন ঐ ব্যক্তির সম্বন্ধে জানতে ওর সবচাইতে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম কিংবা ওর নিজের মুখ থেকে শোনা কথাগুলো, ওর চাল চলন, আচার ব্যবহার ও চরিত্র এই বিষয়গুলোই কি যথেষ্ট নয় একটা ব্যক্তি সম্পর্কে জানার জন্য? এখন যদি সে মারা যাবার অনেক বছর পর কেউ তার জীবনী বর্ননা করতে গিয়ে তার নিকট লোকেরা তার সম্বন্ধে ভূল ব্যাখ্যা করে তাহলে কি তার ঐ ভূল ব্যাখ্যাটাকেই মেনে নিতে হবে? নাকি উনার বিশ্বাসযোগ্য মানুষে বলেছেন বলে আমার বিশ্বাসটাও পরিবর্তন করে ফেলতে হবে! যাক পরিবর্তন করলাম সবাই যখন বলছে। কিন্তু যে ঘটনা, চরিত্র ও কার্যকলাপ অতীতে ঘটে গেছে তা পরিবর্তন করার ক্ষমতা আদৌ কি মনুষ্য জাতীর আছে? যদি থাকে তাহলে তাকে কবর থেকে তুলে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সবগুলো জোড়া লাগিয়ে তাকে নতুন জীবন দান করে তার মাধ্যমে বর্তমান লেখকের লিখিত সমস্ত চরিত্র মঞ্চস্থ করতে হবে যে কোন কিছুর বিনিময়ে। তার জন্য যদি থাকে জুতা পেটা করানোর দরকার হয় তাহলে তাকে তা করিয়ে হলেও সব কিছু বলাতে হবে ও করাতে হবে। যদি বলানো যায় তাইলে বিশ্বাস করা যায়। জিয়াউর রহমানের ভাষনটি প্রধানত ছিল বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ভাষন কথাটি সত্য। কিন্তু যখন নিজেকে প্রধান বলে ভাষনটি প্রচার করা হয় তাহলে সেটা হচ্ছে একশত ভাগ মিথ্যা কথা আর এই মিথ্যাটাকে সত্যে রূপান্তরিত করতে গেলে আমার দেওয়া এই থেরাপীটা ব্যবহার করতে হবে অর্থ্যাৎ জিয়াকে জুতা পেটা করতে হবে। আর জিয়ার জন্য হয়ত জুতা পিঠায় কাজ হবে না কারন জিয়া এতবড় বেয়াদবী তো বঙ্গবন্ধুর সাথে করতে পারবে না। তাকে হুমায়ূন আহমেদের গু থেরাপী (ভোবাকে কথা বলানোর জন্য একটি উপন্যাসে ব্যবহার করেছিলেন) ব্যবহার করতে হবে। আশা করি এই থেরাপীতে কাজ হবে। প্রমানঃ I m major ziar Rahman On behalf of our great national leader, the supreme commander of bangladesh sheikh mujibur rahman do hereby proclaim the independence of bangladesh. It is further proclaimed that sheikh mujibur rahman is the sole leader of the elected representatives of 75 million people of bangladesh. I therefore appeal on behalf of our great leader sheikh mujibur rahman to the goverment of all the democratic countries of the world specially the big world part and neighboring countries to take effective steps to stop immediately the awful genocide that has been carried on by the army of occupation from pakistan. The legally elected representatives of the majority of the people as repressionist, it is cruel joke and contradiction in terms which should be fool none. the guiding principle of a new step will be first neutrality, second peace and third friendship to all and anomity to none. may allah help us. joy bangla. মনে হয় চুলকানি শুরু হয়ে গেছে। কেননা রোগের ঔষধ ঠিক মতই পড়েছে। মনে হয় বানান ভুল, কমা পড়ে নাই, দাড়ি পরে নাই, উচ্চারন সমস্যা আরো অনেক কথা বলার জন্য মুখ নড়তেছে। সমস্যা নাই আমি না হয় ভুল লিখছি দয়া করে আপনাদের মহান স্বাধীনতার ঘোষক খুনি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনাপত্রটা কিভাবে পাঠ করেছে এবং কি বলে নিজেই শুনুন। নিচে লিংক দেওয়া হল- youtube/watch?v=y-SuMW0RsOY। দয়া করে দেখে নিবেন! ঘোষনার সূত্রপাতঃ ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী যখন পৈশাচিক কর্মকাণ্ড শুরু করে, বঙ্গবন্ধু তখনই স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। ২৫ শে মার্চ রাত ১২ টার পর পরই অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে বন্ধী হবার পূর্বেই বঙ্গবন্ধু টি এন্ড টি ও ই পি আর (বর্তমানে বি ডি আর)- এর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে স্বাধীনতার ঘোষণা পৌঁছে দেন। --(বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল পত্র, ১৫শ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৬) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরীকে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত স্বাধীনতার বার্তাটি সে রাতেই পৌঁছে দেয় চট্টগ্রাম ওয়্যারলেস বিভাগ। তিনি এবং চট্টগ্রামের জেলা আওয়ামীলীগের তৎকালীন সভাপতি জনাব এম এ হান্নান এ স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তার বঙ্গানুবাদ করেন। সে রাতেই তা সাইকোস্টাইল করে চট্টগ্রাম শহরে জনগনের মধ্যে বিলি করে দেয়া হয় এবং মাইক যোগে তা প্রচারিত হয়। ১৯৭১ সালে ঢাকায় নিয়োজিত পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর জনসংযোগ অফিসার কর্নেল সিদ্দিক মালিকের মতে, বঙ্গবন্ধু ওয়্যারলেস যোগে দেশবাসীর কাছে স্বাধীনতার ঘোষণা পৌঁছে দেয়ার পরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। তিনি চাইলেই খুব সহজেই পালিয়ে যেতে পারতেন কিন্তু সমগ্র জাতির স্বার্থে তিনি কাপুরুষের মতো পালিয়ে যান নি; যেমনটা কামাল হোসেন এবং তাজউদ্দীন বঙ্গবন্ধুর আদেশে পালিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ চট্টগ্রাম বেতারের বেলাল মোহাম্মদ, সুলতান আলী ও অন্যান্যর সাথে চট্টগ্রাম আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ আলোচনার পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা প্রচারের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। ২৬শে মার্চ দুপুর প্রায় ২ টা ৩০ মিনিটের সময় জনাব এম এ হান্নান চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে (আগ্রাবাদ) সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোসনাপত্র পাঠ করেন। এ সময় তার পাশে ছিলেন আওয়ামীলীগ দলীয় তৎকালীন জাতীয় পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সার, প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য মোশারফ হোসেন এবং আওয়ামীলীগ নেতা ডাঃ আবু জাফর, আব্দুল মান্নান প্রমুখ। কিন্তু আগ্রাবাদে অবস্থিত বেতারকেন্দ্র চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করা যুদ্ধ জাহাজের শেলিং আওতার মধ্যে থাকায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র কালুরঘাট ট্রান্সমিটার সেন্টারে স্থাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। ২৬শে মার্চ ৭ টা ৪০ মিনিট থেকে চট্টগ্রাম বেতারের কালুরঘাট ট্রান্সমিটিং সেন্টার থেকে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্ম তৎপরতা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এবং বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা সম্পর্কিত ঘোষণার বাংলা অনুবাদ উপস্থাপন করেন আবুল কাশেম সন্দীপ। এরপর মূল ইংরেজি ভার্শন পাঠ করেন ওয়াপদার তৎকালীন প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম। এরপর জনাব এম এ হান্নান এ বেতার কেন্দ্র থেকেই ২য় বারের মতো স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। (বেলাল মোহাম্মদ- স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পৃষ্ঠা ৩৩) কিন্তু আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা একজন সামরিক অফিসার দ্বারা পাঠ করানোর গুরুত্ব অনুধাবন করেন। নিকটস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে পদমর্যাদায় জিয়াউর রহমান সিনিয়র হওয়ায় তাকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। ১৯৭১ সালের ২৭ শে মার্চ সন্ধ্যাবেলা কালুর ঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করেন। (বেলাল মোহাম্মদ- স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পৃষ্ঠা ২১)। ২৮ শে মার্চ এবং ৩০ শে মার্চ আবারো তিনি একই বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। তার পাঠ করা ঘোষণা পত্রটি ছিল নিম্নরূপঃ আমাদের মহান নেতা বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের আমরা এতদ্বারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করিতেছি এবং ঘোষণা করিতেছি যে, শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃতে ইতিমধ্যেই সরকার গঠিত হইয়াছে। এতদ্বারা আরও আরও ঘোষণা করা হইতেছে যে, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের একমাত্র নেতা এবং তাহার নেতৃত্বাধীন সরকারই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের একমাত্র বৈধ সরকার, যাহা আইনসম্মত এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে গঠিত হইয়াছে এবং যাহা পৃথিবীর সব সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। অতএব, আমি আমাদের মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে পৃথিবীর সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিশেষ করিয়া বৃহৎ শক্তিবর্গ এবং প্রতিবেশী দেশ সমুহের কাছে বাংলাদেশের বৈধ সরকারকে স্বীকৃতি দান এবং পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যাকে অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন জানাইতেছি। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের বৈধ ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিবর্গকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা একটি নির্মম পরিহাস এবং সত্তের বরখেলাপ মাত্র, যাহার দ্বারা কাহারও বিভ্রান্ত হওয়া উচিত নয়। নতুন রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি হইবেঃ প্রথম নিরপেক্ষতা, দ্বিতীয় শান্তি এবং তৃতীয় সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কাহারও সাথে শত্রুতা নয়। জয় বাংলা। (মেজর জেনারেল এম এস এ ভূঁইয়া- মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস পৃষ্ঠা ৪৩) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার ২৬শে মার্চ দিনটিই বাঙালী জাতির জীবনে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পরিচিত; জিয়াউর রহমানের বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা পাঠের ২৭শে মার্চ, ২৮শে মার্চ এবং ৩০শে মার্চ নয়। এত প্রমানের পরও কেউ যদি কোন চটি বইয়ের রেফারেন্স টেনে বলে খুনি জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক ও প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান তাহলে কিছুই বলার নাই। কারন টিনের চশমা পড়লে তো জোড় করে দেখানো যাবে না। জিয়া যদি স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েও থাকেন তাহলে তিনি রাষ্ট্রোদ্রোহীতার সামিল এমন অপরাধ করেছেন! কারন একজন রাষ্ট্রীয় প্রধানের পক্ষে ভাষন দিতে গিয়ে একজন জেড ফোসর্ের কমান্ডার হয়ে কি করে নিজেকে রাষ্ট্রীয় প্রধান দাবি করেন তা কিছুতেই মিলাতে পারি না। যদি কেউ চ্যালেঞ্জ দিয়ে এর পক্ষে আদালতে মামলা করে তাহলে তার আগে জিয়ার লাশ খবর থেকে তুলে তার বিচার করতে হবে নিজেকে রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে দাবি করার অপরাধে। এবং এই জন্য তাকে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক মামলায় সাজা প্রধান করতে হবে! আশা করি সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। সবশেষে পত্রিকার কিছু ছবি দিলাম যেগুলো ১৯৭১ সালে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনাটি প্রকাশ করা হয়েছে! ইমামুল।
Posted on: Fri, 24 Oct 2014 15:17:07 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015