সাকা চৌধুরীর রায় - TopicsExpress



          

সাকা চৌধুরীর রায় প্রকাশের আগেই কপি ফাঁস, লিখেছে আইন মন্ত্রনালয় ঢাকাঃ বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার রায় লেখা হয়েছে আইন মন্ত্রনালয়ে। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল-১ থেকে যে রায় দেয়ার কথা রয়েছে সেই রায়ের কপি পাওয়া গেছে ভারপ্রাপ্ত আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোহাম্মদ জহিরুল হকের অফিসের একটি কম্পিউটারে। এতে আরো যে বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া গেছে তা হল- বিচার শেষ হবার আগেই রায় লেখা শুরু হয়েছে। ফাইলের তথ্যে দেখা যায় ২৩ মে রায় লেখা শুরু হয়েছে, যখন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরম্নদ্ধে প্রসিকিউশন স্বাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছিল। এ তথ্যগুলো পাওয়া যায় বেলজিয়াম ভিত্তিক ওয়েবসাইট tribunalleaks.be/ । যেখানে রায়ের খসড়া এবং ফাইনাল কপি আপলোড করা হয়। ১৯৭১ সালের মানবতা বিরোধী মোট ২৩ টি অভিযোগে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছিল। সেখান থেকে মোট ১৭টি অভিযোগের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইবুনালে সাক্ষী হাজির করে। যেহেতু রাষ্ট্রপক্ষ ১৭টি অভিযোগের পক্ষে সাক্ষী হাজির করেছে, তাই এ ১৭টি অভিযোগের বিষয়ে রায় লেখা হয়েছে মর্মে দেখা যায় আইন মন্ত্রনালয় থেকে পাওয়া রায়ের কপিতে। আইন মন্ত্রনালয় থেকে পাওয়া রায়ের কপিতে দেখা যায়- ১৭টি অভিযোগের মধ্যে মোট ৯টি অভিযোগে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আটটি অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়েছে। ২৩টি অভিযোগের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ছয়টি অভিযোগের পক্ষে কোন সাক্ষী হাজির করেনি। সে ছয়টি অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমানে ব্যর্থ হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৭টি অভিযোগের মধ্যে যে ৯টি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সেগুলো হলঃ ২ নং অভিযোগঃ মধ্য গহিরায় গণহত্যা। ৩নং অভিযোগঃ নূতন চন্দ্র হিংস হত্যা। ৪নং অভিযোগঃ জগৎমলল পাড়া গণহত্যা। ৫ নং অভিযোগঃ সুলতানপুরে নেপাল চন্দ্র ও অপর তিনজনকে হত্যা। ৬ নং অভিযোগঃ ৬৯ পাড়া গণহত্যা। ৭ নং অভিযোগঃ সতিশ চন্দ্র পালিত হত্যা। ৮ নং অভিযোগঃ মোজাফফর ও তার ছেলে শেখ আলমগীর হত্যা। ১৭ নং অভিযোগঃ নিজাম উদ্দিন আহম্মদকে অপহরণ ও নির্যাতন। ১৮ নং অভিযোগঃ সালেহউদ্দিন আহমদকে অপহরণ ও নির্যাতন। ১৭টি অভিযোগের মধ্যে যে ৮টি অভিযোগ থেকে সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে খালাস দেয়া হয়েছে সেগুলো হলোঃ ১ নং অভিযোগঃ গুডস হিলে সাতজনকে অপহরণ করে ও নির্যাতন করে। ১০ নং অভিযোগঃ মানিক ধরের বাড়ি লুট। ১১ নং অভিযোগঃ বোয়াল খালী গণহত্যা। ১২ নং অভিযোগঃ বিজয় কৃঞ্চ ও দুইজনকে হত্যা। ১৪ নং অভিযোগঃ হানিফ হত্যা। ১৯ নং অভিযোগঃ মাহবুব আলম হত্যা। ২০ নং অভিযোগঃ এখলাস হত্যা। ২৩ নং অভিযোগঃ সলিমুল্লাহর উপর নির্যাতন। যে ৬টি অভিযোগের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হাজির করেননি সেগুলো হলোঃ ৯, ১৩, ১৫, ১৬, ২১ এবং ২২। রায়- এ লেখা হয়েছে এ ৬টি অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। যেখানে পাওয়া গেল ফাইলটিঃ আইন মন্ত্রণালয়ের ষষ্ঠ তলার একটি কম্পিউটারের ডি-ড্রাইভে “Local Disk (DHappy” এই রায়ের কপি পাওয়া যায়। কম্পিউটারের প্রত্যেকটি ফাইল বা ডকুমেন্টের উৎস নির্ণয়ক তথ্য ঐ ফাইল/ডকুমেন্টে সংরক্ষিত থাকে। এই তথ্য ঐ ফাইল বা ডকুমেন্টের প্রপারেটিস অপশনে গেলে পাওয়া যায়। এই রায়ের কপিটি যে ফাইল পাওয়া গেছে তার প্রপারটিস পরীক্ষা করে নিম্নোক্ত তথ্য পাওয়া যায়। “ডি ড্রাইভ” এর “আলম” নামক ফোল্ডারের সাব ফোল্ডার “ডিফারেন্ট কোর্টস এন্ড পোস্ট ক্রিয়েশন” এর মধ্যে আরেকটি সাব ফোল্ডার “চীফ প্রসিকিউটর- ওয়ার ট্রাইবুনালস” এর মধ্যে রাখা রায়ের খসড়া কপিটির নাম ছিল “সাকা ফাইনাল- ১”। ইংরেজিতে উক্ত ফাইল পাথটি হলো- D:AlamDIFFERENT COURTS n POST CREATIONWar Crimes TribunalChief Prosecutor – War Tribunalsaka final – 1.doc. `ICT BD Case No. 02 of 2011 (Delivery of Judgment) (Final)’ আলম নামের যে ব্যক্তির ফোল্ডারে ফাইলটি পাওয়া গেছে সেই আলম হলেন আইন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক এর কম্পিউটার অপারেটর।
Posted on: Tue, 01 Oct 2013 04:17:46 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015