সকাল ১১:৪৭ এ ঘুম ভাঙল। আরও - TopicsExpress



          

সকাল ১১:৪৭ এ ঘুম ভাঙল। আরও দেরিতে ভাঙতে পারত। উঠে দেখি ম্যাডাম পাশে এখনও শুয়েই রয়েছে। শুনেছি ঘুমন্ত অবস্থায়ও যে নারী দেখতে সুন্দরী, সেই প্রকৃত সুন্দরী। আহ্, আমি বোধহয় যোগ্যতার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি। তাকে জাগাতে মোটেও ইচ্ছে করছে না। ইচ্ছে করছে তাকে দেখেই দিন পার করে দেই। কিন্তু অতিরিক্ত ঘুম আবার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না। তাই ইচ্ছার বিরুদ্ধেই ডাকার জন্য উদ্যোগ নিলাম। কিন্তু এক অদ্ভুত শক্তি যেন আমায় অবশ করে দিচ্ছে! ঘুমন্ত সৌন্দর্যের শক্তি কি এতই প্রকট? সে জেগে থাকলেও তার প্রতি দুর্বলতা কাজ করে, ঘুমিয়ে থাকলে আরও বেশি দুর্বলতা কাজ করছে। অপরিচিতা কি এবার অপরাজিতা এ রূপ নিচ্ছে? - অবশেষে চোখ বন্ধ করে ডাকাডাকি করার চেষ্টা করলাম। কোন কাজ হল না। শুরু করলাম গুতাগুতি। চৈতন্য উদয় হইল। ঘুম ঘুম চোখেই বলিলেন... -শুভ সকাল -সকাল আর নাই দুপুর হয়ে গেছে। -ও আচ্ছা। -উঠবা না? -উঠি..... -কি ব্যাপার উঠতেছ না কেন? -আরেকটু... . এইবার শুরু করলাম শুরু করলাম শুরশুরানি। পেরথমে কোমরেই দিলাম, তিনি হাসিলেন। এরপর আরও জোড়ে দিলাম। হাসিতে হাসিতে এক লাফে উঠিয়া গেলেন। উঠিয়া বিছানার এক কোনে দুহাত রেখে ফ্লোরে বসে আমার চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে রইলেন। আমিও তার কাছে গেলাম। বললাম.... . -জানো, তুমি ঘুমিয়ে থাকলে তোমায় অনেক সুন্দর দেখায়? -তাই নাকি? -হ্যাঁ, একদম সত্যি বলছি -তুমি জানো, তোমাকে ঘুমন্ত অবস্থায় কেমন লাগে? -কেমন লাগে? -মানুষের অ্যানালগ ভার্সনের ন্যায় -মানে? -হনুমান -কি বললা? -চিন্তা কইরেন না আপনি অনেক কিউট হনুমান এই বলে সে উঠে গেল হাত-মুখ ধুতে। কিছুক্ষণ পর এসে বলল হাত-মুখ ধুয়ে নিতে। আমি বিষন্ন মুখে গেলাম। ফ্রেশ হওয়া শেষ হতেই হঠাৎ করে আমাকে জড়িয়ে ধরল। উদ্দেশ্য বুঝলাম। আমার অভিমান ভাঙিয়া গেল সেকেন্ডের মধ্যে। টেবিলে সব রেডি কিন্তু খোকার মত বায়না ধরলাম যে আমাকে খাইয়ে দিতে হবে। সে হাসিমুখেই আমার বায়না রক্ষা করল। অফিসের জন্য রেডি হচ্ছিলাম। এমন সময় সে আসল। আমি মাত্র প্যান্ট আর গেঞ্জি পড়েছি। সে অতি যত্নের সাথে শার্ট আর ব্লেজার পড়িয়ে দিল। আমার সেই মুহূর্তের অনুভূতিগুলো ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। এমন কেয়ারিং স্ত্রী কয়জনেই বা পায়? আর আমার মত আহাম্মকের জন্য ওর মত সঙ্গী আসলে স্রষ্টার উপহার ছাড়া কিছুই নয়। কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরলাম তার কথার শব্দে.... . -শুনেন, অফিসে যাওয়ার আগে কলিগদের জন্য কিছু নিয়ে যাবেন। আহাম্মকের মত খালি হাতে যাবেন না। গতকাল রাতে এমনিতেও আহাম্মকের মতই কাজ করেছেন। সুতরাং আজকে সচেতন মানুষের মত কাজ করবেন। -জো হুকুম। আচ্ছা তুমি কি লিপস্টিক দিয়েছ? -না তো, আমি কখনই লিপস্টিক দেই না, সাইন্টিস্টদের মতে....... -এতে বুদ্ধি কমে তাইতো? -হ্যাঁ -তাও মনে হচ্ছে তুমি হয়ত দিয়েছ। দাঁড়াও আমি চেক করি। -আরে তোমার দেরি হচ্ছে তো -আরে ধুর, কিচ্ছু হবে না। তুমি চোখ বন্ধ কর আমি দেখি। -(বিরক্তিভাব নিয়ে) করলাম এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। সুযোগের সদ্ব্যবহারও করলাম। তিনি মুচকি হাসি নিয়ে চোখ খুলে বললেন... -এটা আপনার লিপস্টিক চেক করার সিস্টেম? ডাইরেক্ট বললেইতো হত যে কিস করব। -ইয়ে মানে, একটু লজ্জা লাগতেছিল আরকি। -বউয়ের কাছে লজ্জা! যান অফিসে যান। পরে চাকরি গেলে সমস্যা। -ঠিক আছে। . বাইরে বের হয়ে মিষ্টি কিনিয়াই রওয়ানা হইলাম অফিসের জন্য..........পূর্বের পার্টগুলো না পড়ে থাকলে (alex.mercer.169) - To Be Continued...... -
Posted on: Thu, 25 Dec 2014 12:20:00 +0000

Trending Topics




© 2015