সবাই গাজা নিয়ে কথা বলছে, - TopicsExpress



          

সবাই গাজা নিয়ে কথা বলছে, গাজাবাসিদের জন্য সহানুভুতি জানাচ্ছে, অথচ বেশিরভাগরই গাজা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই। তাই এ ব্যাপারে সবার conception clear করা উচিত। বিশাল এলাকা নিয়ে আগে ফিলিস্তিন ছিল। পরে ১৯৪৭ সালে ইহুদীরা উড়ে এসে জুড়ে বসে ফিলিস্তিনকে ভেঙ্গে মাঝখানে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। ফলে ফিলিস্তিনের দুইটা অংশ হয়ে যায়- একটা হল ওয়েস্ট ব্যাংক, আরেকটা হল গাজা স্ট্রিপ। ফিলিস্তিনের ভৌগলিক অবস্থান ব্যাপারটা ঠিক দেশ ভাগ হওয়ার আগে পাকিস্তানের মত। পূর্ব পাকিস্তান (বাংলাদেশ) ধরুন গাজা, পশ্চিম পাকিস্তান ধরুন ওয়েস্ট ব্যাংক, আর ভারত ধরুন ইজরাইল। ছবিতে লাল চিহ্ন এলাকা ফিলিস্তিন, মাঝখানে ইজরাইল, তীর চিহ্নিত এলাকা গাজা। গাজার আয়তন মাত্র ৩৬০ বর্গ কি.মি, যেখানে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আয়তন ২৭৬ বর্গ কি.মি। গাজা থেকে ওয়েস্ট ব্যাংক যেতে হলে ইসরাইল অতিক্রম করে যেতে হয়। পবিত্র শহর জেরুজালেমকে দুই ভাগ করে, মুসলিমদের প্রথম কেবলা পবিত্র আল আকসা মসজিদসহ বেশিরভাগ এলাকা ইজরাইলের ভেতরে নিয়ে নেয়। ফিলিস্তিনে দুইটা রাজনৈতিক দল আছে। হামাস ও ফাতাহ। হামাস হল ইসলামপন্থী দল ও সবচেয়ে জনপ্রিয়। আর ফাতাহ হল সেকুলারপন্থি দল। হামাস মুলত গাজার, আর ফাতাহ ওয়েস্ট ব্যাংকের। নির্বাচনে হামাস জয়ী হলেও বর্তমানে ফিলিস্তিনে সরকারি ক্ষমতা ফাতাহর হাতেই রয়েছে। ফাতাহ এমন একটা দল যাকে ইজরাইলও বাৎসরিক অনুদান ও সাহায্য দেয়। গাজাবাসির জন্য সাহায্য করতে হলে অর্থ যেতে হবে হামাসের কাছে। কিন্তু সরকারি বা অন্যান্যভাবে ফিলিস্তিনের জন্য যে অনুদান তোলা হচ্ছে, সেটা ফিলিস্তিন দুতাবাস হয়ে সরাসরি চলে যাবে ফাতাহ সরকারের কাছে, যেগুলো গাজার লোকদের কোনই উপকারে আসবে না। বরং শুধু ওয়েস্ট ব্যাংকের উন্নয়নে ফাতাহ সরকার সেগুলো ব্যয় করবে। গাজা এলাকা পুরোটাই অবরুদ্ধ চারিদিক থেকে। প্রায় তিন দিকেই ইজরাইল। একদিকে ভুমধ্যসাগর আছে, কিন্তু সেই জলভাগও ইজরাইল গানশিপ দিয়ে সর্বদা পাহারা দিয়ে রাখে। গাজার একটু অংশ মিশরের সাথে সংযুক্ত রাফা সিমান্তে। গত মুরসি সরকারের সময় মিসরের ঐ বর্ডার গাজাবাসির জন্য খোলা থাকলেও, বর্তমান সিসি মিসরের ক্ষমতায় আসার পর সেই বর্ডারও সিলগালা করে দেয়। ফলে চারিদিক থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পরে গাজাবাসিরা। ইজরাইলের করুণার উপর গাজাবাসির জীবন ধারন অনেকটা নির্ভরশীল। বলতে গেলে হামাস যোদ্ধাদের কারণেই ফিলিস্তিনিদের তাদের হারিয়ে যাওয়া স্বাধীনতা ফিরে আনার স্বপ্ন এখনো জেগে আছে। তাই, পশ্চিমা মিডিয়া সেই হামাস সম্পর্কে সর্বদা নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করে সারা বিশ্বের কাছে তাদেরকে সন্ত্রাসী, উগ্রপন্থি হিসেবে উপস্থাপন করতে ব্যস্ত।
Posted on: Wed, 06 Aug 2014 16:55:33 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015