সময় ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ আবিদের ফোনে রিং হচ্ছে, spoken caller free apps টা থাকায় জোরে জোরেই এক ফিমেল ভয়েস-এ বলা হচ্ছে call from sayeem....... . . . যাক ঘুম ঘুম চোখে ফোন রিসিভ করেই - । । আবিদ: হুম, ক।।।। । সায়েম: দোস্ত, কই তুই??? । আবিদ: জাহান্নামে।।। । সায়েম: ধুর ****। উঠ্ হালা ঘুম থেইকা।।। । আবিদ: কী হইছে কইবার পাস না??? । সায়েম: তাড়াতাড়ি আমার বাসায় আয়।। । আবিদ: পাইতাম নাহ।।। (টুট টুট টুট....) আবিদ যথারীতি ফোন রেখে ঘুম!!!! । । । । কিছুক্ষণ পর,,,,, আবার সেই ফিমেল ভয়েস!!!! call from BB!!!!! মেজাজ পুরাই 49!!!! । আবিদ: অই,**** এর ঘরের****!!! আমারে কি তোরা ঘুমাইবার দিবি না!!!! । BB: দোস্ত, ১৫ মিনিটের মধ্যে পার্কে আয়।। । আবিদ: পারুম নাহ, ঘুমাইতাছি।। । BB: আরে বেটা সবাই আইছে। আয় তাড়াতাড়ি।। (যাক, একটু পর ফ্রেশ হয়ে রওনা দিল আবিদ) । । । OMD!!!!! পার্কে গিয়া আবিদের চোখ চড়াক গাছ!!!!! এইডা কি দেখতাছি!!!! বান্দরের(বাঁধনের) হাতে একখান officers choice!!! kmne ki!!!! তাও ঐটা আবিদের জন্য, যে কি না জীবনে ২টাকা খরচ করে নাই তান হাতে officers choice!!!! ঐদিকে সুব্রত গলায় holksten ঢালতাছে।।।।আবিদ আসতেই, দোস্ত খাইবি নাকি? এই নে..... । । । আড্ডায় বসতেই পিছন থেইকা শান্ত আর শাকিল কইতাছে, দোস্ত পার্টি দে।।।।।। । । আবিদ: কিসের পার্টি???? । সাকিব: মামা, চান্স পাইছ আর পার্টি দিবা না??? । আবিদ: চান্স??? আমি??? । অনিক: দোস্ত, ভাব লইস না!!! । সুব্রত: অই, তুই তো BMC তে চান্স পাইছস।। । আবিদ: কি!!!!!!! BMC!!! অই BMC এর ফুল মিনিং কী, ক।।। । সুব্রত: Bangladesh Medical College... । আবিদ: হালা মদনা, চুপ থাক।।। । BB: ও সরি, DMC..... । আবিদ: সকাল সকাল ঘুম ভাংগাইয়া পার্কে নিয়া আইছস ক্যা, হেইডা ক আগে।। । সায়েম: তুই মেডিকেলে চান্স পাইছস এর লাইগা পার্টি দিবি।।। না কি কস তোরা?? । সবাই: হ হ হ..... । আবিদ: আমি!! মেডিকেল!!! তোরা জানস না হারামি, আমার চির শত্রু মেডিকেল!!!আর আমি মেডিকেলে admission test দিলাম কবে??? । । । এমন সময় আবার সেই ফিমেল ভয়েস!!! call from unknown!!!! । । আবিদ: হ্যালো, কে বলছেন??? । unknown: আমরা অমুক মেডিকেল ভর্তি কোচিং থেকে বলছি, আমাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আগামি শুক্রবার।।। u r cordially invited......ওরে কেউ আম্রে মাইরালা।।।। (কথা শেষ হতে না হতেই আবিদ senseless!!! সঙ্গে সঙ্গে তাকে CMH এ নিয়ে যাওয়া হয়।।।) যাক আধাঘন্টা পরই জ্ঞান ফিরে আবিদের, সুস্থ অবস্থায়ই বাসায় ফিরে আসে সে।।। । । । এই আমাদের দেশ, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা।। যেখানে পরীক্ষা না দিয়ে জিপিএ-5 পাওয়া যায়। আবিদের ক্ষেত্রে যা হয়েছে, যে ছেলেটি পরীক্ষা না দিয়েও জিপিএ-5 পেয়েছে হয়ত সেও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিল।পড়াটাই স্বাভাবিক। আসলে আমাদের দেশে সবই সম্ভব।।। । । এমন দিন আসতে খুব বেশি দেরী নাই যখন শিক্ষার্থীরা admission test না দিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চান্স পেয়ে যাবে।।।। উপরোক্ত ঘটনাটি তারই সাক্ষ্য বহন করে।।।।।।
Posted on: Wed, 07 Jan 2015 06:54:23 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015