►►►►►►► সরি ◄◄◄◄◄◄◄ - TopicsExpress



          

►►►►►►► সরি ◄◄◄◄◄◄◄ - হ্যালো শাহেদ , তুমি কোথায় ? ফোন ধরতেছ না কেন? -আমি মাত্র ঘুম থেকে উঠলাম । -মানে! এখন কয়টা বাজে দেখছ? আমাদের ১১ টায় আমাদের দেখা করার কথা । এখন বাজে ১২টা । আমি ১ ঘণ্টা ধরে একা একা বসে আছি । আর তুমি এখন মাত্র ঘুম থেকে উঠছ ! -আমি ১০ মিনিটের মধ্যে আসতেছি । -তুমি কি আমার সাথে ফাজলামি করতেছ ? তোমার বাসা থেকে আসতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট লাগে । - না না, আমি তোমার জন্য উড়ে উড়ে ১০ মিনিটের মধ্যে চলে আসব । রাগ করো না জান । -ঢং রাখ তো ! প্রত্যেকটা বার তোমার সাথে দেখা করার সময় আমাকে অনেকক্ষণ একা একা বসে থাকতে হয় । তুমি কি কোনদিনই ঠিক হবা না? -এই শেষ । এরপর থেকে আর এক মিনিটও দেরী করব না । এইবারের মতো মাফ করে দাও । -আচ্ছা , ঠিক আছে । তুমি তাড়াতাড়ি আস । বাই । ফোন রেখে দিল রিয়া । আজকে তাদের রিলেশনের প্রথম বর্ষপূর্তি । শাহেদের জন্য আনা গিফটের প্যাকেট হাতে নিয়ে লেকের পাড়ের বেঞ্চিতে বসে আছে রিয়া । মনে মনে ভাবছে আজকে শাহেদ আসলে তাকে ইচ্ছামতো ঝাড়ি দিবে । যদিও রিয়া কখনই সেটা পারেনি । শাহেদকে দেখলেই তার রাগ পানি হয়ে যায় । ছেলেটাকে যে কেন এত বেশী ভালবাসে সেটা সে নিজেও জানে না । ৩০ মিনিট পর আবার শাহেদের নাম্বারে ডায়াল করলো রিয়া । কিন্তু শাহেদের ফোন বন্ধ পেল রিয়া । পরবর্তী ১ ঘণ্টা চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে বিরতিহীনভাবে শাহেদের নাম্বারে ডায়াল করেও ফোন খোলা পেল না রিয়া । কষ্টে অভিমানে রিয়ার চোখে পানি চলে এল । হাতের গিফটের প্যাকেটটা লেকের পানিতে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে উঠে দাঁড়ালো রিয়া । বাসায় এসে কাউকে কিছু না বলে নিজের রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দিল । বিছানায় শুয়ে অঝোরে কাঁদতে লাগল রিয়া । ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে সুইচড অফ করে টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দিল । ড্রয়ারে মেডিসিনের বাক্সটা চোখে পড়তে সেটা টেনে নিল । ভিতর থেকে ঘুমের ট্যাবলেটটা বের করে ৪ টা ট্যাবলেট খেল । ৩০ মিনিটের মাঝেই রিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো । রাত ৩ তার দিকে হটাৎ করে রিয়ার ঘুম ভেঙ্গে গেল । বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে । জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখল কে যেন বৃষ্টির মাঝে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । ভালো করে খেয়াল করে দেখল শাহেদ দাঁড়িয়ে আছে । হাতের প্ল্যাকার্ডে বড় করে “SORRY” লেখা । ওকে এই অবস্থায় দেখেই তার সব রাগ পানি হয়ে গেল । তাড়াতাড়ি ড্রয়ার থেকে মোবাইল বের করে সেটা অন করলো । অন করার সাথে সাথে একসঙ্গে প্রায় ১০ টার মতো মেসেজ আসল । প্রথম মেসেজটা পাঠিয়েছে তার বেস্ট ফ্রেন্ড সীমা । মেসেজটা পড়ে সে পাথর হয়ে গেল । মুখ থেকে অস্ফুট একটা শব্দ বের হল । সে বিশ্বাস করতে পারল না। আবার বাইরে তাকাল । দেখল যেখানে শাহেদ দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে কেউ নেই । আবার মেসেজটা পড়ল, “শাহেদ আজকে দুপুর ১২.৩০ এর দিকে রিক্সা এক্সিডেন্টে মারা গেছে” ।
Posted on: Wed, 12 Nov 2014 02:55:30 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015