৩৪তম বিসিএসের মৌখিক - TopicsExpress



          

৩৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ২৬ জানুয়ারি থেকে। স্বাভাবিকভাবে এ পরীক্ষা নিয়ে প্রার্থীরা চিন্তায় আছেন। তাঁদের চিন্তা দূর করতে পরামর্শ দিয়েছেন সুশান্ত পাল (৩০তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকারী) অভিজ্ঞতা বলে, মৌখিক পরীক্ষায় ভালো করার অন্তত ১০০ কৌশল আছে যেগুলোর একটাও কাজ করে না! সিভিল সার্ভিসের অন্দরমহল থেকে আমি আপনাদের স্বপ্নে- দেখা জীবনটাকে বাস্তব করতে কিছু পথ সন্ধান দেওয়ার চেষ্টা করছি যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে। ১ মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডে ইতিবাচক আচরণ, শারীরিক ভাষা, মানসিক পোক্ততা, চিন্তার গভীরতা, ভদ্রস্থ উপস্থিতি, সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান, ইংরেজির দক্ষতা, ঠান্ডা মেজাজ, পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দক্ষতা, বিশ্লেষণী দক্ষতা—এই ব্যাপারগুলো দেখা হয়। ২ আপনি কী জানেন, তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, আপনার জানা- বোঝা সম্পর্কে আমার ধারণা কী হলো, সেটি। সাধারণত একজন প্রার্থীকে দেখার প্রথম ২০ সেকেন্ডের মধ্যে তাঁর সম্পর্কে যে ধারণা জন্মায়, সেটা প্রশ্নের ধরনও ঠিক করে দেয়। এটাকে কাজে লাগান। ৩ বিচলতা বা নার্ভাসনেস কাটানোর কিছুটা দায়িত্ব পরিস্থিতির ওপর ছেড়ে দিন ৷ অনেক সময়ই নার্ভাসনেস ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করে। ৪ চোখের দৃষ্টি বা আই কন্টাক্ট ঠিক রাখুন ৷ বোর্ডের স্যারদের তাৎক্ষণিক মনোভাব জানতে এটা জরুরি। ৫ ঢোকার সময় হাসিমুখে সালাম এবং বের হয়ে যাওয়ার সময় হাসিমুখে ধন্যবাদ ও সালাম দিতে ভুলে যাবেন না। আপনার সঙ্গে দেখা হওয়ার সময় এবং আপনি বিদায় নেওয়ার সময় আপনার সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়। ৬ দুই ধরনের প্রশ্ন থাকে। তথ্যগত বা ইনফরম্যাটিভ এবং নন- ইনফরম্যাটিভ। সাধারণত দ্বিতীয় ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার স্টাইলের ওপর স্যারদের বেশি দৃষ্টি থাকে। ৭ মৌখিক পরীক্ষায় কোনো আলাদা আলাদা নম্বর হয় না; বরং সব মিলিয়ে পারফরম্যান্সের ওপর নম্বর দেওয়া হয়। ৮ সিভিল সার্ভিস, আপনার সাবজেক্ট, ক্যাডারের প্রথম ও দ্বিতীয় পছন্দ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখুন৷ আপনি কেন চাকরিটা চাচ্ছেন, সেটার উত্তর তৈরি রাখবেন। ঠিক উত্তর দেওয়ার চেয়েও উত্তর ঠিকভাবে দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ৯ নিজেকে উৎসাহী শ্রোতা হিস চেহারায় একটা ভদ্র ভদ্র টাইপের ভাব ফুটিয়ে তুলুন, যাতে আপনাকে বকা দিতেই কষ্ট লাগে। ১০ শতভাগ শিখেছি ভেবে তার ৬০ ভাগ ভুলে গিয়ে বাকি ৪০ ভাগকে ঠিকমতো কাজে লাগা আর্ট। ১১ আপনার পরীক্ষার তারিখের আগের এক সপ্তাহের কয়েকটা দৈনিক পত্রিকায় নিয়মিত চোখ রাখুন। সাম্প্রতিক বিষয়, মুক্তিযুদ্ধ, নিজের সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখুন। ১২ মাঝেমধ্যে টেড টকস্, সিএনএন, আল-জাজিরা, বিটিভির রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদ শুনতে পারেন। ইউটিউবসহ অনেক সাইটে দেওয়া জব ইন্টারভিউগুলো, সাবটাইটেল অন করে আমেরিকান অ্যাক্সেন্টের মুভিগুলো দেখতে পারেন। কোনো বন্ধুর সঙ্গে মাঝেমধ্যে ইংলিশে কথ করতে পারেন। তবে ভুলেও এমন কোনো পণ্ডিতের সঙ্গে এই কাজটা করবেন না, যে শুধু ভুলই ধরিয়ে দেয়। লোকে ইংরেজি না পারার কারণে যতটা ভুল করে তার চেয়ে বেশি ভুল করে ইংরেজিতে কথা বলতে পারেনা , এই ভয়ে। যতটুকু সম্ভব কথায় আঞ্চলিকতা পরিহার করুন। ১৩ আপনি কী বলতে চাচ্ছেন, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তাঁরা যা শুনতে চাচ্ছেন, আপনি সেটা বলতে পারলেন কি না। আপনি কী বললেন, সেটা নয়, আপনি সেই কথাটা কীভাবে বললেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সুভাষণ বা ইউফেমিজম শিখুন ৷ নিজের পরিবার, আগের চাকরি, ক্যারিয়ার প্রসপেক্ট, বাংলাদেশ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ইতিবাচকভাবে বলার চেষ্টা করুন। কথা বলার সময় হাত- ঘাড়-চোখ দৃষ্টিকটুভাবে নাড়াবেন না। ১৪ স্বাভাবিক থাকুন। নিজের মতো থাকুন। যা সঞ্চয় করবেন, তার চেয়ে বেশি কাজে লাগবে যা কী জানেন না, সেটা নিয়ে অত ভাববেন না৷ হয়তো আপনাকে ওটা জিজ্ঞেসই করা হবে না৷ প্রস্তুতির চেয়ে আপনি কতটা প্রস্তুত সেটা বেশি জরুরি। ১৫ মাঝেমধ্যে স্মার্টনেস না দেখানোটাই স্মার্টনেস৷ বোর্ডে কোনো বিষয় নিয়েই তর্ক করবেন না। বস ইজ অলওয়েজ রাইট। আপনি কোনোভাবেই আপনার বসের চেয়ে স্মার্ট নন। ১৬ যাঁরা মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে থাকেন, তাঁরা সত্যিই অনেক বেশি অভিজ্ঞ আর দক্ষ। তাঁরা খুব ভালো করেই বোঝেন আপনি কী বলছেন, কী লুকাচ্ছেন। চিটিং ইজ অ্যান আর্ট। অ্যা ক্লেভার ম্যান নৌজ হাউ টু চিট, অ্যান ইন্টেলিজেন্ট ম্যান নৌজ হাউ টু মেইক আদার্স লেট হিম চিট। ১৭ যদি কোনো প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার মাঝখানে অন্য কেউ প্রশ্ন করেন, তাহলে যিনি প্রথমে প্রশ্ন করেছেন, তাঁর অনুমতি নিয়ে পরের প্রশ্নটার উত্তর দিতে হবে। বুদ্ধিমানেরা তর্ক করেন, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যান ৷ সাফল্য কখনোই ডিজার্ভ করা যায় না, তাঁকে আর্ন করতে হয় ৷ গুড লাক!
Posted on: Sat, 17 Jan 2015 07:12:23 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015