“Every man having been born free and master of himself, no one else may under any pretext whatever subject him without his consent. To assert that the son of a slave is born a slave is to assert that he is not born a man.” ― Jean-Jacques Rousseau, The Social Contract মে দিবসের নিবেদনঃ মে দিবস প্রাচ্য দিবা ==== গলেপচে লেপ্টে মেশিনে পোশাকে ঘাম রক্তপুঁজ ভাঙ্গা কংকাল- মে দিবস আজ! মহানেরা উচ্চস্বর অধিকার বর্ণনা উজ্জ্বলতর অক্লান্ত; শ্রমজীবীদের অধিকার বাস্তবায়নে সবাই আন্তরিক- নেতা শিল্পমালিক সমিতি। সবার খাটখাটুনি শ্রম কি না, কে না বলার আছে; বোঝা যাচ্ছে না! চাপাপড়াদের ভাগ্যবান বলছে বেঁচে যাওয়া অনেকেই; স্বীকৃত কারখানাগুলোতে চলবে কি তবু অস্বীকৃত ঘাম-রক্ত-পুঁজ? মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নদর্শন-উদ্বুদ্ধ কারো কারো আন্তরিক প্রচেষ্টাও কি ব্যর্থ হবে ভাঙতে এ পুঁজির গোলকধাঁধা! সব শ্রমজীবী কোনোদিন কী বলবে না গৌরবে- আজ মে দিবস! আমরা উত্তরাধিকার মৃত্যুর বিনিময়ে যাঁরা এনেছিলো অধিকার জীবন-জীবীকার! ------ বেহাত প্রাচ্য দিবা ==== হে যুবক, যাচ্ছো কি কোথাও তুমি কর্ম প্রয়াসে? বিভ্রান্ত দৃষ্টি তোমার হতাশ সময়, তবু করো অহর্নিশ স্বপ্ন আবাদ! যে জমিতে বুনেছিলে স্বপ্নের বীজ, আদা-জল পানে ছিলো নিত্য ব্যস্ত মন; বিন্দু বিন্দু রস শুষে বৃক্ষ যেমন, পরিণত করে থাকে মহি-রূহে নিজ! তুমিও করো যে চাষ পানিপথ ‘পর, মাৎস্যন্যায় মূল্যবোধ যেথায় বিকাশ! তোমার শস্যক্ষেত্র পূর্ণতার সীমা, লুটে নেয় বর্গী-দল নিভৃত ত্রাসে! শিকস্তি-কালে শুধু ভাঙ্গে নদী-পার; পয়স্তি ওপারে-যে শোষক-দখল-বাজ!! ---------- কসাই প্রাচ্য দিবা ==== পাখিরা আজ গানে মেতেছে খুবই! কাকেরা খুশি পর্যাপ্ত খাবারে; আব্বু,মানুষ জবাই করলেও কি এভাবেই মরবে? এসব বলে না,আব্বু;মানুষ খোদার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি,কখনো মানুষ মারার কথা চিন্তাও করো না; গুণা হবে। আরো তিনটা জবাই দিতে হবে; বাচ্চারা এমন সব বলে,জীবনে এতো জবাই দিলাম;কিন্তু বাচ্চাদের কথাগুলো কেমন যেনো! মানুষ মানুষকে কীভাবে মারার কথা ভাবে! এতো লোকের পশু কোরবানী দিই, নিজে কি কোনোদিন কোরবানী দিতে পারবো না? পাখিরা এখনো কিচিরমিচির করছে! হ্যালো,স্লামালিকুম ...আপনাকে বললাম না,আমি কসাই;খুনি নই! (কেউ কেউ মানুষ আর পশুর তফাতও বোঝে না!) পাখিরা গান থামিয়ে চলে গেছে! ------ লোহারু প্রাচ্য দিবা ==== যেটা জ্বলছে ওই নিচে হাপরের, তাকাও ত্বরিত তাকে আর বাম হাতে অলস টান দিয়েছো দুয়েক; ফোঁস ফোঁস বায়ু-বেগে জ্বলে উজ্জ্বল, জ্বলে কি সে স্ফুলিঙ্গে স্মৃতিরা আজো? যেসব লোহারা থাকে মরচে ধরা, অথচ কঠিন দৃঢ় তবু ভেতরে- ঢুকিয়ে আগুনে কয়লার, তাপে তাপে করে তারে রাঙ্গা নমনীয়- চেপে ধরে নেহাই-এ হাতুড়ি পেটাও, গ্রন্থিল পেশীগুলো ঘর্মাক্ত পিচ্ছিল; শক্তি হেনে হেনে পাতও লোহার- গড়ে দাও আকৃতি, তীক্ষ্ণ হাতিয়ার! তখনো কি পড়ে মনে সে সব রঙিন দিনগুলো, সুদূর অতীতে- শৈশবে, সেই যে গিয়েছিলে দূর গাঁয়ের পাঠশালে আরো কয় সহপাঠী মিলে- কতো যে মধুর স্মৃতি পথে যাওয়া-আসার! হঠাত্ই একদিন, ঢোকালো তোমায়- আগুন-লোহা-হাপর-নেহাই আর বিশাল হাতুড়ির, উত্তপ্ত যুদ্ধক্ষেত্র পেশীর বড়াই! প্রথমে এটা-সেটা এগিয়ে দেয়া, দড়িটা হাপরের টানতে আগ্রহেই; অসহ্য লাগলো তোমার সেই কৈশোরেই- যেদিন পেটালে ওই বড়ো হাতুড়ি তুলে নেহাই-এ চেপে ধরা উত্তপ্ত লোহাতেই। ভাবো কখনো- কতো লোহা দিয়েছো আকার নিজের ইচ্ছামতো, আগুন-পেশী-হাতুড়ির শ্রম প্রয়াসে; জীবনের ধারা তবু আগেরই মতো, নিরন্তর অবিকৃত যতোই পেটাও! ইদানীং কিছুই আর চরম আগুনেও, হয় না নরম যাতে হাতুড়ি আঘাতে- গড়তে চাইবে তুমি মনেরই মতো! শুধুই পেশীগুলো হয়ে যায় ক্লান্ত শিথিল, পুরুষে পুরুষে হয়েছে যেমন- কী যে মানে তার, ভেবে উদ্ভ্রান্ত? ------ নভোচারী প্রাচ্য দিবা ==== এবার ডান পা এদিকে- আরে এদিকে ঢুকিয়ে দিন, দু’পায়ে ঠেস দিয়ে মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন; আগের সেশন-এ কীভাবে ওজনহীন অবস্থায় সাবধানে নড়াচড়া করতে হয়, শিখেছেন না? এবার শিখবেন ওজনসহ নভোযানে কী করে নড়াচড়া না করে সোজা হয়ে বসে থাকতে হয়- গরগর করে বলে ফেললো লেগুনা চালক। যাত্রীর হা করা চাহনি দেখে- ফিজিক্স-এ অনার্স করে আত্ম-কর্ম সংস্থান! ‘ভালো’- সেই যে তিনি সটান সোজা হলেন; তারপর আকাশে না পাতালে যাচ্ছেন ঠিক বোঝা গেলো না!! ----------- সন্ত্রাসবাদী প্রাচ্য দিবা ==== জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর বিপুল করতালি ও জয়ধ্বণির শেষে মূখ্যমন্ত্রী জনতাকে আর কোন সমস্যা থাকলে নির্ভয়ে জানাতে বললেন। একজন তাঁর এ মনোভাবের অকুন্ঠ প্রশংসা করে কৃতজ্ঞতার সাথে জানালেন যে, তাঁদের কোনই সমস্যা নেই। আপনার পদধূলি পেয়ে এ মাটি ধন্য হয়েছে আবারো! [আগামী নির্বাচনের আগে আর তো আসবেন বলে মনে হয় না।] জোর করতালির পর মন্ত্রী বললেন, এটা ঠিক নয়, আপনারা নির্ভয়ে সমস্যার কথা বলুন। একজন শ্রমিক দাঁড়িয়ে বললেন, দিদিমণি, আমাদের কারখানা আপনি খুলে দেয়ায় এখন আমরা ভালো আছি! (অবশ্য আপনার পান্ডারাই হাঙ্গামা বাঁধিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিলো) আবার তুমুল হর্ষধ্বণির মধ্যে মন্ত্রী অসহিষ্ণু হয়ে বললেন, আমি সমস্যার কথা জানতে চাইছি! আপনারা আমাকে না জানালে কীভাবে সমাধান দেবো বলুন? এক উসকোখুসকো খিটখিটে লোক দাঁড়িয়ে চিৎকার করে – আমি এ জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনার নির্বাচনী জনসভায় বলেছিলাম- আমাদের চাষের জমিতে কোন সেচের ব্যবস্থা না থাকায় গত কয়েক মৌসুমে খরায় ফসল পুড়ে ছেলেপুলে নিয়ে উপোষ করতে হচ্ছে আমাদের! আপনি ছয়মাসেই সেচের ব্যবস্থা করে দেবেন বলেছিলেন। আপনাদের বলে কি হবে? এখান থেকে গিয়েই ভুলে যাবেন! নেত্রী পুলিশকে আদেশ দিলেন- এ লোকটা মাওবাদী, একে গ্রেফতার করো! সেই কৃষক সন্ত্রাস দমন সেল-এর কঠোর নির্যাতনে শিকারোক্তি দিলো যে, সে একজন মাওবাদী! কিন্তু কে যে তার নেতা,দলে আর কে কে আছে বলতে পারলো না! জ্ঞান হারানোর আগে শুধু বললো- আমার দলে কে কে যোগ দেবে, আগে থেকে কিভাবে বলবো?? ------------- ভাঁজ প্রাচ্য দিবা ==== করছো পরিপাটি চেপে চেপে তপ্ত লোহা-পাত, যে রঙিন স্বপ্নকে ভাঁজ সযতনে; জীবনের ক্ষণগুলো হবে স্মরণীয় যুবকের কোন, শিহরিত হতে তুমি সেই অতীতে- যুগল জীবনের প্রথম রাতে, যে পোশাকে প্রিয়তমার প্রথম আলিঙ্গন, থাকবে তাতে তোমারও মায়ার পরশ! আজ দু’টি ঘোলা চোখে স্বপ্নেরা মৃত, কতো আসবে কতো শ্রমে- দমে জট পাকায়! যদিও উষ্ণতায় যাও নেয়ে ঘেমে, আর টানবে কতো এ জীবনের ঘানি? পরিপাটি তবু হয় আজো সিনথেটিক, শ্রমের কষ্টগুলো ভারি অসহায়! বিফল হয়েছে সব ভাঁজ প্রচেষ্টা, যতোবারই চেয়েছো গড়তে জীবন-সংসার; আরদিক গিয়েছে কুঁকড়ে; যখন একদিক নিপাট! তবু আজো লোহাটা গরম দ্রুতই বিদ্যুৎ, কয়লা হয়ে কি বিদায় সোনালি অতীত? যতোই বাড়তি আজ করো পোশাক ভাঁজ; জীবনের চাওয়া গ্রাসে স্বপ্নের আগ-পাছ!! ------------ কূঁজ প্রাচ্য দিবা ==== পিঠে হয়েছে কূঁজ; তবু বয়ে যান খবরের বোঝা- মোঘল দাড়ি; কোথাও না থেমে বাজারের দোকানে পত্রিকার হকারি। নিজেই দিয়েছেন জন্ম খবর বি বি সি,আকাশবাণী; এক অপারেশনে বহু হানাদার হানি। আজ জ্বলন্ত চোখে পড়েছে গভীর ছানি!তবু কণ্ঠে আজো বজ্রনিণাদ দূর আকাশে যেনো; কালো মেঘে আজো পড়ে যায় ঢাকা আরেক একাত্তর কেনো? ভাবেন,এমন লড়াই জিতে;যদিও দেশটা স্বাধীন হলো- সারা বিশ্বেই,দেশে দেশে আজো রয়েছে সংগ্রাম জারি; ক্ষুধা,দারিদ্র,শোষণ-নিপীড়ন মানুষের আহাজারি; তবে কি সম্মুখ যুদ্ধে জনতা যে অধিকার নেয় ছিনে; গোপনে তা কি চুরি করে কেউ,ধোঁকা দিয়ে জনগণে? তাই তো মানুষ যুগে যুগে হারিয়ে সব অধিকার; বুকের রক্ত ঢেলে দেয় পথে- তা পেতে বারংবার! নিজেই যিনি ছিলেন স্রষ্টা উদ্দীপনার খবর; বয়ে বেড়ান আজো যতো খবরাখবর এ সায়াহ্নপর! --------- মাডি প্রাচ্য দিবা ==== হাঁডে গুড়গুড় ছাঁডে মাডি, ছ চৌখ তিন ফোগডি- আঁ-র জেবন তোরার লগে বান্দা, ওরে লালি,তোর এক চৌখ কিল্লাই আন্ধা! এইবার ফইল্ব হোনা,বুঝা যার কাতে; ঘরর গুনঅ থাইকব হেডেভাতে; ---- ------- কীয়া কন মাজন, এত টেঁইয়া অইল কন হিসাবে! আঁর ত নাই জবিন আর,লইবেন বুঝি ভিডাগানঅ আন্নে? ---- হাঁডে গুড়গুড় ছাঁডে মাডি, দুই চৌখ এক ফোগডি!- আঁর বৌগানঅ নিলি কাড়ি, তোর জবিনেত্তেই ত খাডি মরি! ---- ------ হাঁডে না গুড়গুড় ছাঁডে না মাডি, আন্ধা দুই চৌখ নেংডা ফোগডি! দীনদুঃখী আন্ধাগারে ইগগা টেঁয়া দেন, দুন্যাইত এক টেঁয়া দিলে আখিরাইত লাখ পাইবেন। ---- ----- হাঁডে না গুড়গুড় ছাঁডে মাডি, ছগির বক্স হুতি থায়,সাড়অ তিন হাত খাঁডি! ------ চাষা প্রাচ্য দিবা ==== ওহে জ্ঞানী-গুণী,বিশ্বনেতা,ঋষি,খাদক(আমি নিজেও) বাছা; চাষা যদি গাছ হয় আমরা পরগাছা। ------- শ্রমজীবী প্রাচ্য দিবা ==== চাষি ভাই সব রকম ফসলই ফলান, রিক্সাচালক আমাদের গন্তব্যে নিয়ে যান; কুমোরেরা হাঁড়িপাতিল বানায় মাটি দিয়ে, তাঁতি ভাই বুনেন কাপড় তুলা, রেশম নিয়ে। জেলে ভাই ধরে মাছ দিয়ে জাল, চাই, মুচি ভাই করে দেন ছেঁড়া জুতা সেলাই; মেথর ভাই করেন সাফ যতো আবর্জনা, ধোপা ভাই পরিপাটি করেন পোশাকখানা। গৃহকর্মী সব কাজে করে কতো সাহায্য, নাপিত ভাইয়ের যত্নে আমরা শুচি হই আজো; মাঝি ভাই করেন মোদের নদী পারাপার, শ্রমিক মজুরের শ্রমেই চলে জীবন-সংসার। যাদের রক্ত-ঘামে আজ এ সভ্যতা গড়া, তাদের কেনো ঘৃণা করে এখনো অন্যরা! যাদের শ্রমে জীবন হয় সহজ-নির্মল, বাবু-সাহেব ছেড়ে নমি তাদের পদতল। ------- মানুষের না হারার! প্রাচ্য দিবা ==== আমি আজো আছি- আজো আছি দাঁড়িয়ে সেখানেই; বহুপথ মিলেছিলো মহাসড়কে মুক্তির! দ্রোহ-কণ্ঠ নতুন পথিক তরুণরা; স্বপ্নকাজল আঁকা মুক্তির সূতিকাগার উদ্ভিন্ন তরুণীরা; আগুন ঝরানো তুখোড় বাগ্মী বিদ্রোহী যুবকেরা; দুঃস্বপ্ন ভাঙ্গা রক্তাভ চোখ প্রৌঢ়রা; উনুনপোড়া মমতাময়ী চিরায়ত মা কোমরে আঁচল গোজা! লাঙ্গল কাঁধে দোফসলী হারানো হাড়জিরজিরে ভূমিহীনরা; লকআউট কারখানার রক্তশূন্য বিভ্রান্ত শ্রমিকরা; ভেঙ্গে দেয়া পতিতালয়ের রোজগারহীন কথিত বেশ্যারা! হয়েছিলো জমায়েত একদিন বহু বহু ধাতব নল বুকে তাক করা! পড়ে গেছে ঝরে গেছে ওদের অস্তিত্ব কতো কতো অজানা গণকবর পৃথিবীর ইতিহাস পথহারা! আমি আজো আছি; আমি আজো হাঁটি সেই রাজপথে- যেখানে নতুন পিচ-এ মুক্তির সূর্য চকচকে আঁধারে হারিয়েছে গনগনে আদর্শ লাল সব রঙচঙে বিশ্বাসে অথবা দূর যাত্রায় পথ ভোলা ঝাঁকের পাখিরা; তবু আমি আছি; আজো ডেকে ডেকে দিগভ্রান্ত পথিকে যারা- হারিয়েছে আসল সব নকল মোহময়তায়; ছেড়েছে রাজপথ চোরাগলির রঙ্গিন নেশায়; ভুলেছে রক্ত শপথ জীবনের কষাঘাতে কষাঘাতে; সহযাত্রী সব কে কোথায়? সংশপ্তক হবে না কি কেউ দীর্ঘ তমসা রাতে! আমি আজো আছি; আছি আমি, যদিও করিনি কিছুই! দেইনি স্লোগান একবারও আর; লিখিনি কোনো গান ঘুম ভাঙ্গাবার; কবিতা একটাও রুখে দাঁড়াবার; লড়িনি একবারও জেতার বা হারার; তবু ভাঙ্গিনি শপথ সুচাগ্র না ছাড়ার; তাইতো আজো স্বপ্ন দুচোখে- আছি দাঁড়িয়ে ঠায়; সাক্ষী না হারার! আমি আজো আছি; যদিও দেখেছি চেয়ে চেয়ে মহাঘুর্নি নিয়েছে উড়িয়ে প্রাসাদ সব মুক্তির হাহাকার! মানুষেরা সব চিনেছে নিজেদের সাম্প্রদায়িক পরিচিতি আবার! ধর্মযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে; ভুলে নিজেরই মানবাধিকার! আমি আজো আছি; আমি থাকবো একাকী; হয়ে সাক্ষী কখনো না হারার! তবু চলে গেলে কভু তোমরা নিও তুলে হাতে মানুষের এ পতাকা লিখো নতুন কবিতা মানুষের না হারার! -------
Posted on: Thu, 01 May 2014 07:19:06 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015