দাজ্জাল - গবেষণা মূলক - TopicsExpress



          

দাজ্জাল - গবেষণা মূলক পর্যালোচনা - আধুনিক প্রযুক্তি পেপার খুললেই NSA –এর খবর। NSA আড়িপেতে জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেলের কথা শুনেছে, নয়তো আজ Edward Snowden ফাঁস করে দিয়েছে NSA’এর নতুন কোনো গোপন তত্ত্ব। এই জাতীয় খবর। সবাই জানে, NSA আপনার, আমার, সবাই কথা শোনে। আমরা যখন মোবাইলে কথা বলি বা যখন ইন্টারনেটে কোনো কাজকাম করি, বা মেইল আদানপ্রদান করি। এমন কী গুগুলে যখন সার্চ মারি। সবই NSA শোনে, বা দ্যাখে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কীভাবে? ধরুন, মালয়েশিয়া’তে অবস্থানরত কোনো এক বন্ধুর কাছে একটা মেইল করলাম। বুয়েটের ক্যাফেতে (Wi-Fi zone) বসে send করার সাথে সাথে আমার মেসেজটা আরো শতশত ম্যাসেজের সাথে মিলে wireless network এ মিশে যাবে। তারপর কমিউনিকেশন সেন্টার ঘুরে অবশেষে যাবে কক্সবাজার। কক্সবাজার থেকে আমার মেসেজ চলে যাবে সাগর তলের সাবমেরিন ক্যাবলের অপটিক্যাল ফাইবার লাইনে। এরপর বিলিয়ন বিলিয়ন ম্যাসেজের সাথে মিশে, জড়াজড়ি করে (ছিঃ ছিঃ) আলোর বেগে দৌড়ে আমার ম্যাসেজ যাবে ইন্ডিয়ার চেন্নাই শহরে। সেখান থেকে আবার দৌড়ে পৌঁছাবে মালয়েশিয়া। প্রথম ছবির redline দেখুন। সমস্যা হল, যতগুলো স্টেশন আছে, যেমন আমার ম্যাসেজের ক্ষেত্রে ভারতের চেন্নাই আর মালয়েশিয়ার Mersing স্টেশন, সবগুলো থেকে মেসেজ বা ফাইলগুলোর ডুপ্লিকেট বানানো হয়। অর্থাৎ কপি করা হয়। আর এই অন্যায় কাজটি করে NSA. (কীভাবে করে, তা তারাই জানে) এরপর আলোর বেগে মিশে যায় ২ নম্বর ছবির বিশাল সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্কে। যাই হোক, অতঃপর সেকেন্ডের ৫০০ ভাগের একভাগ সময়ে আমার ম্যাসেজের একটা কপি চলে আসে California শহরের Morro Bay beach (ছবি-৩)এর তল দিয়ে san Luis Obispo কমিউনিকেশন সেন্টারে। সৈকতে নরনারীরা যখন অর্ধনগ্ন হয়ে লাফালাফি করে, তখন তাদের পায়ের নিচ দিয়ে ৯০% এশিয়ার কমিউনিকেশন (বৈধ-অবৈধ ট্রিলয়ন ট্রিলিয়ন মেসেজ, ফাইল) আমেরিকায় ঢোকে। এরপর তা চলে যায় San Francisco শহরের 6/11 Folsom street এর ৭ তলা AT&T এর switching center এ। এখানে মার্কিনীদের domestic communication router ও আছে। এখানে আরেক দফা কপি করা হয়। এবার দেশী বিদেশী, আপনার আমার, সবার ম্যাসেজ বা ফাইল ( হাঁসি, কান্না, hopes and dreams, ব্যাংক বিমার খবর, প্রেম ভালবাসার কবিতা, যা আছে সব) চলে যায় NSA এর হাতে। এখান থেকেই কপি করা ফাইল পাঠিয়ে দেয়া হয় মার্কিন মুল্লুকের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা NSA এর সুপার কম্পিউটারে। প্রতিটি সুপার কম্পিউটার সেকেন্ডে 1 yotta bytes ( ১ এর পরে ২৪টা শূন্য) পরিমাণ ডাটা প্রসেস করতে পারে। এবার ধরুন, আমি আমার মেইলে কিছু ক্লিপ ওয়ার্ড লিখেছিলাম, যেমন biological weapon, WMD বা bin laden.. এই রকম অজস্র পূর্ব নির্ধারিত ক্লিপ ওয়ার্ড (সেটা হতে পারে ভিন্ন ভাষায়, encrypted বা decrypted) কোনো একটার সাথে যদি মিল খায়, তাহলে তা চলে আসে NSA headquarter এ। এরপর সেখানকার সুপার কম্পিউটার ওটা analysis করে। ৫০ হাজার মেধাবী cryptologist, গণিতবিদ বা আর্মি অফিসারগণ সেটা analysis করে। প্রতিদিন ৮০০ টন ঠাণ্ডা পানি লাগে ১০ হাজার square ফিট জায়গা জুড়ে বিস্তৃত NSA এর সুপার কম্পিউটার(Thinking Machine) এর প্রসেসর ঠিক রাখতে। ট্রিলিয়ন ডলারের NSA এর জন্ম হয়েছিলো Cold war এ রুশবাহিনীর কমিউনিকেশন পড়তে। যাই হোক, NSA শুধু একা না, ঠিক এইসব কাজ একইভাবে করে ব্রিটেনের GCHQ আর রাশিয়ার FAPSI আর FSO … স্যাটেলাইট ফোনকল সহ সর্বরকমের যোগাযোগ মাধ্যমে আড়িপাতা হয়।
Posted on: Sun, 18 Jan 2015 18:13:48 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015