¤ প্রকৃত মুমিন সেই যার - TopicsExpress



          

¤ প্রকৃত মুমিন সেই যার মধ্যে নিম্নের সাতটি গুণ আছেঃ Search of The Greatest Truth - মহাসত্যের সন্ধানে: প্রথম গুণঃ নামাযে খুশু তথা বিনয়-নম্র হওয়া। খুশুর আভিধানিক অর্থঃ স্থিরতা। পরিভাষায় এর অর্থঃ অন্তরে স্থিরতা থাকা। অর্থাত্‍ আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন কিছুর কল্পনাকে অন্তরে ইচ্ছাকৃতভাবে উপস্থিত না করা। এবং অনর্থক নড়া চড়া না করা। দ্বিতীয় গুণঃ অনর্থক বিষয়াদি থেকে বিরত থাকা। অর্থাত্‍ এমন কোন কথা বা কাজ যাতে ধর্মীয় কোন উপকার নেই। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন- মানুষ যখন অনর্থক বিষয়াদি ত্যাগ করবে তখন তার ইসলাম সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়। তৃতীয় গুণঃ যাকাত আদায় করা। যাকাত এর আভিধানিক অর্থঃ পবিত্র করা। পরিভাষায় যাকাত বলা হয় মোট অর্থ সম্পদের একটি বিশেষ অংশ কিছু শর্তসহ দান করাকে যাকাত বলে। চতুর্থ গুণঃ যৌনাঙ্গকে হারাম থেকে হেফাজত করা। অর্থাত্‍ স্ত্রী ও শরীয়তসম্মত দাসীদের ছাড়া সব পর নারী থেকে যৌনাঙ্গকে সংযত রাখা এবং এই দুই শ্রেণীর সাথে শরীয়তের বিধি মোতাবেক কাম প্রবৃত্তি চরিতার্থ করা ছাড়া অন্য কারো সাথে কোন অবৈধ পন্থায় কামনা বাসনা পূর্ণ করতে প্রবৃত্ত হয় না। পঞ্চম গুণঃ আমানত প্রত্যার্পন করা। আমানত শব্দের আভিধানিক অর্থে এমন প্রত্যেকটি বিষয় শামিল, যার দায়িত্ব কোনো ব্যক্তি বহন করে এবং সে বিষয়ে কোন ব্যক্তির ওপর আস্থা স্থাপন ও ভরসা করা হয়। এখানে আমানত দ্বারা হুকুকুল্লাহ ও হুকুকুল ইবাদ উভয়টায় শামিল। হুকুকুল্লাহ তথাঃ শরীয়ত আরোপিত সকল ফরজ ও ওয়াজিব পালন করা এবং যাবতীয় হারাম ও মাকরুহ থেকে আত্মরক্ষা। হুকুকুল ইবাদ তথাঃ আর্থিক আমানতও যে অন্তর্ভুক্ত তা সুবিধিত, অর্থাত্‍ কেউ কারো কাছে টাকা পয়সা গচ্ছিত রাখলে তা তার আমানত প্রত্যার্পণ করা পর্যন্ত এর হেফাজত করা তার দায়িত্ব, এ ছাড়া কেউ কোন গোপন কথা কারো কাছে বললে তাও তার আমানত। ষষ্ঠ গুণঃ অক্ষীকার পূর্ণ করা। প্রথমতঃ দ্বিপক্ষীয় এমন কোন চুক্তি যা উভয় পক্ষ পরস্পরের জন্য অপরিহার্য করে নেয়। এরুপ চুক্তি পূর্ণ করা ফরজ এবং খেলাফ করা বিশ্বাস ঘাতকতা, প্রতারণ করা হারাম। দ্বিতীয় প্রকার অঙ্গীকারকে ওয়াদা বলা হয়। অর্থাত্‍ একতরফা ভাবে একজন অন্যজনকে কিছু দেয়ার অথবা অন্য জনের কোন কাজ করে দেয়ার ওয়াদা করা। এরুপ ওয়াদা পূর্ণ করাও শরীয়তের আইনে জরুরী ও ওয়াজিব। উভয় প্রকার অঙ্গীকারের মধ্যে পার্থক্য হলোঃ প্রথম প্রকার অঙ্গীকার পূর্ণ করার জন্য প্রতিপক্ষ আদালতের মাধ্যমেও বাধ্য করতে পারে। কিন্তু এক তরফা ওয়াদা পূর্ণ করার জন্য আদালতের মাধ্যমে বাধ্য করা যায় না। সপ্তম গুণঃ নামাযে যত্নবান হওয়া। অর্থাত্‍ নামাযের পাবন্দী করা এবং প্রত্যেক নামায মোস্তাহাব ওয়াক্তে আদায় করা। যে ব্যক্তি এসব গুণে গুণান্বিত হয়ে যায় এবং এতে অটল থাকে সে কামেল মুমিন এবং ইহকালে ও পরকালে সাফল্যের হক্বদার। এখানে সবচেয়ে বেশী যে বিষয়টা প্রণিধানযোগ্য তা হলো, এই সাতটি গুণের কথা আরম্ভ করা হয়েছে নামায দ্বারা এবং শেষও করা হয়েছে নামায দ্বারা। আর এটা একথারই ইঙ্গিত বহন করে যে, যে ব্যক্তি নিয়মনীতি সহকারে নামাযের পাবন্দী করবে অবশিষ্ট গুণগুলো আপনা-আপনি তার অন্তরে সৃষ্টি হতে থাকবে। আর উল্লেখিত গুণে গুণান্বিত লোকদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী বলা হয়েছে। (সূরা আল মুমিনূন এর প্রথম কিছু আয়াতের তাফসীর।) আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এই গুণগুলোয় গুণান্বিত হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।
Posted on: Tue, 28 Jan 2014 13:17:12 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015