ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই - TopicsExpress



          

ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই ইংরেজি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত তদন্ত কমিটির সময় বৃদ্ধি ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র দিয়েই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাথমিক সমাপনীর অবশিষ্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়েও শঙ্কায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে? কারা এর সাথে জড়িত তার সূত্র খোঁজার প্রচেষ্টা শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। কমিটি কাজ শুরু করার আগেই আরো আট দিন সময় বাড়িয়ে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্তকাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার অনুষ্ঠেয় ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ের পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে এই প্রশ্নপত্রের হাতে লেখা কপি বিক্রি হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, কথিত ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ের ওই প্রশ্ন মোবাইল ফোনের এসএম এসের মাধ্যমেও বিতরণ হচ্ছে। তবে তদন্ত কমিটি গঠনের সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশের পর গতকাল প্রশ্ন বিক্রির সময় কিছুটা রাখঢাক করা হয় বলে জানা গেছে। তদন্ত কমিটির প্রজ্ঞাপন : প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা তদন্তে গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে গতকাল। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আশরাফুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির অপর দু’জন সদস্য হলেনÑ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিইর) পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) ফারুক জলিল ও ডিপিইর আরেক উপপরিচালক ডা: পারভেজ রহমান। গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার কথা বলা হলেও গতকাল জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তকাজ শেষ করতে। ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই ইংরেজি পরীক্ষা : এ দিকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই ইংরেজি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল প্রাথমিক সমাপনীর ইংরেজি বিষয়ের যে প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে, সে প্রশ্নটি গত বৃহস্পতিবার থেকেই হাতে হাতে পাওয়া যাচ্ছিল। নয়া দিগন্ত-এ ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র প্রকাশিত হওয়ার পর সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়, ডিপিই অবগত থাকলেও বিকল্প কোনো ধরনের প্রস্তুতি না থাকায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই পরীক্ষা নেয়া হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা নয়া দিগন্তকে বলেন। শুধু গতকালের ইরেজিং নয়, এর আগে অনুষ্ঠিত গণিত এবং বাংলা বিষয়ের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ফাঁস হওয়া প্রশ্নেই নেয়া হয়েছে। সঙ্ঘবদ্ধ একটি সিন্ডিকেট চড়া দামে ওই প্রশ্নপত্র বিক্রি করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ দিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ গতকাল সন্ধ্যায় নয়া দিগন্তকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড হতাশ। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। দেখা যাক কী পাওয়া যায়।’ পরীক্ষা বাতিল বা বিকল্প কিছুই হচ্ছে না : দেশের সর্ববৃহৎ এ পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পর করণীয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ের হাতে বিকল্প কোনো পন্থা না থাকায় পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে না বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়েছে। তাই যেভাবে চলছে সেভাবেই অবশিষ্ট পরীক্ষা শেষ করা হবে। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হলেও বিকল্প প্রশ্ন হাতে না থাকা, নতুন প্রশ্ন প্রণয়ন, ছাপা, বিতরণে বিপুল সময় ও অর্থের প্রয়োজনীয়তা, পরীক্ষা শেষ করে ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশের চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি কারণে পরীক্ষা বাতিল হচ্ছে না। প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্ত শুরু : তদন্ত কমিটি গতকাল রোববার থেকে আনুষ্ঠানিভাবে তদন্তের কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আশরাফুল ইসলাম গতকাল নয়া দিগন্তকে এ কথা বলেন। জানা গেছে, কমিটিকে সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে, প্রশ্নপত্র কোন পর্যায় হতে (প্রশ্ন প্রণয়ন-ছাপা-বিতরণ-সংরক্ষণ) ফাঁস হয়েছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সে সম্পর্কিত সুপারিশ প্রদান এবং প্রশ্ন ফাঁসের কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত (বৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে) হয়েছে কিনা বা কেউ বেআইনিভাবে লাভবান হয়েছে কিনা এসব বিষয় চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে তদন্ত কমিটিকে। এ ছাড়া কমিটিকে ভবিষ্যতে করণীয় সম্পর্কেও সুপারিশ পেশ করতে বলা হয়েছে। নতুন মন্ত্রীর নির্দেশনা : মন্ত্রিসভা পুনর্গঠনের পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও অর্পণ করা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে। গতকাল তিনি সকালে এ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে আসেন এবং কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। সেখানে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টিও আসে। সেখানেই তদন্ত কমিটির সময় বর্ধিতকরণসহ অন্যান্য নির্দেশনা প্রদান করেন বলে জানা গেছে। পরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসে কে দায়ী, কিভাবে দায়ী, কিভাবে ফাঁস হয়েছে এ ব্যাপারগুলো দেখা হবে। এর কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা বা বৃত্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কিনা বিষয়টি দেখা হবে। প্রশ্ন ফাঁসের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। dailynayadiganta/welcome/post/33252#.UpJQ1vumeNc
Posted on: Sun, 24 Nov 2013 19:19:22 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015