( বোনেরা আসুন, নিজের মাহরম - TopicsExpress



          

( বোনেরা আসুন, নিজের মাহরম পুরুষদেরকে উদ্বুদ্ধ করি) দাড়ি রাখা সুন্নত নাকি ওয়াজিব? দাড়ি নবী করিম (সাঃ) রেখেছেন তাই দাড়ি রাখা সুন্নত। তিনি (সাঃ) দাড়ি রাখতে আদেশ করেছেন তাই দাড়ি রাখা ওয়াজিব। তিনি (সাঃ) দাড়ি কাটতে নিষেধ করেছেন তাই দাড়ি কাটা কঠিন হারাম এবং বড় গুনাহ। দাড়ি কাটলে মানুষের দ্বীন এবং দুনিয়ার ক্ষতি ছাড়া উপকার খুব অল্পই পাওয়া যায়। দাড়ি কাটলে চোখের সমস্যা, মুখের ত্বকের সমস্যা, বিষেশ করে যাদের মুখে ব্রন আছে, তাদের ব্রন আরো বেড়ে যায় পক্ষান্তরে দাড়ি থাকলে এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পুরুষের মুখের সৌন্দর্যই হচ্ছে দাড়ি। দাড়ি না থাকলে এ মুখ নারীদের মুখের মত হবে! যার নবী (সাঃ) তীব্র নিন্দা করেছেন এমনকি তিনি (সাঃ) বলেছেন, পুরুষের বেশধারী নারী এবং নারীর বেশধারী পুরুষের প্রতি আল্লাহর অভিষাপ,ফেরেস্তাদের অভিষাপ,এবং সমস্ত মানুষের অভিষাপ। যেসব ভাইয়েরা দ্বীনদার, তারা অনেক সময় নারীদের খপ্পরে পরেন। এর থেকে মুক্তির উপায় এই দাড়ি। সমাজে বেশিরভাগ নারীই যেকোন কারনবশত দাড়ি অপছন্দ করে। আপনি নিজেও হয়তো মুখে দাড়ি নিয়ে অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে যাবেন না। কারন এতে আপনারই লজ্জা হওয়া উচিত! দাড়ি নিজের চোখকে হেফাজত করতে সাহায্য করবে সেটা আল্লাহর ভয়ে না হলেও চক্ষু লজ্জার খাতিরে। অনেক বিবাহিত বোনেরা নিজের স্বামীর দ্বীনদারি বা দাড়ি পছন্দ করেন না। কিন্তুু নিজের স্বামী যখন অন্য কোন মহিলার সাথে কথা বলেন তখন কষ্ট পান! অতএব আপনাদের বলবো,স্বামীকে দ্বীনদারি এবং দাড়ি রাখতে বলুন এতে অন্য নারীদের থেকে তাকে অবশ্যই দূরে রাখবে। মনে রাখবেন স্বামীর দাড়িবিহীন গাল দেখে যেমন আপনি আকৃষ্ট হোন তেমনি আরো দশজন মহিলাও আকৃষ্ট হয়। অনেক ভাইয়েরা আবার দাড়িকে ছাটে অথবা একমুঠো রেখে নিচের গুলো কেটে ফেলে। অবশ্যই এটা বন্ধ করুন। আপনি দাড়ি রাখবেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অনুসরনে। দাড়ি একমুঠো রেখে বাকিটুকু কাটা একজন সাহাবীর আমল তবুও বিষেশ মুহুর্তে সবসময় নয় । আর নবী করিম (সাঃ) বহু হাদিসে বলেছেন,দাড়ি বাড়াও,দাড়িকে ছেড়ে দাও। অতএব সাহাবীর আমলকে পালনের আগে একজন খাটি মুমিনের পরিচয় হবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কথাকে মূল্যয়ন করা। এরসাথে একটা বিষয় যোগ করতে চাই, পুরুষরা হাতে মেহেদি দিতে পারবে না আর মহিলাদের হাতে সবসময়ই মেহেদি থাকবে। তা না হলে মহিলাদের হাত পুরুষদের হাতের মত হয়ে যাবে যার তীব্র নিন্দা করেছেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) । আল্লাহ আমাদের আমলের তওফিক দান করুন। সংগৃহীত।
Posted on: Fri, 02 Jan 2015 12:45:00 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015