অপেক্ষামান - TopicsExpress



          

অপেক্ষামান ভালবাসা(সত্য কাহিনী অবলম্বনে) by: Bodrul Alom Becky সাইকেল চালিয়ে ক্লাসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ছে দশম শ্রেণীর ছাত্র রনি। সে বয়েজ স্কুলে পড়ে। আজ তার একটু দেরীই হয়ে গেছে। আজ আর গার্লস স্কুলের মেয়ে দেখা হবে না। জীবন মানেই তার কাছে ফুল স্পিডে সাইকেল চালানো আর লাভ স্টোরি মিউজিক এবং বাসায় ফিরে মুভি অথবা ঘুম। অবশ্য পড়তে ইচ্ছা না করলে ও বাধ্য হয়ে পড়াশুনা করতে হয় তাকে। প্রেমের বিষয়টা তে কোন অভিজ্ঞতা নাই। স্কুলের সব চাইতে লম্বা আর ফর্সা ছেলের অধিকারী সে। যেমন ফর্সা ও লম্বা তেমন মায়াবী দেখতে সে । প্রতিদিনের মত আজ ও ফুল স্পিডে সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে ও। বাজার ঘুরে স্কুলের রোডে বাঁক নিতেই ঘটে গেল আজব ঘটনা। মোড় থেকে টার্ন নেওয়ার সময় রাস্তা দিয়ে একটা মেয়ে খুব ভয় পেল অবশ্য এটা সিম্পল ব্যাপার রনির কাছে।তার পরও কেমন যেন ভীত হয়ে গেল আজ রনি। তাইতো সাথে সাথে কড়া ব্রেক। ---এত্তো জোরে সাইকেল চালাচ্ছেন কেন? আপনার সমস্যাটা কি? ---আসলে আমি জোরে চালানোতে অভ্যস্ত তো তাই। ---একটা এ্যাকসিডেন্ট তো হতে পারত। আর জোরে সাইকেল চালাবেন না। ---আচ্ছা, চেষ্টা করব। পরিহিত ড্রেস দেখেই দু জনেই দুজনকে আন্দাজ করে নিল কে কোন স্কুলের স্টুডেন্ট। মেয়েটি গার্লস স্কুলের স্টুডেন্ট। তাদের বাসা বাজারের ধারেই। নাম অর্থী। নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। শখ ড্যান্স করা। পড়াশুনায় খুব পটু না হলেও ড্যান্স এ তার জুড়ি নাই। এই মেয়েটি যখন ক্লাস ফোর এ পড়ত তখন তাকে ভাল লাগে রনির। আর রনি তখন ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে এবং তখন ছিল ২০০৪ সাল । তারপর এই ভাললাগা থেকে আস্তে আস্তে ভালবাসা। প্রতিদিন একই সময়ে সাইকেল নিয়ে সেই রোড এ ঘোরাঘুরি করে রনি। দেখা হয়, চোখাচোখি ও হয় তাদের। ইতিমধ্যে অর্থী সম্পর্কে অনেক তথ্য জোগাড় করে ফেলেছে রনি। মনে মনে ভালবেসে ও ফেলেছে। অনেক কষ্টে অর্থী র একটা ফটো ও ম্যানেজ করেছে রনি। অবশ্য সেটা রনির মানি ব্যাগেও স্থান পেয়েছে ছবিটি। এখন শুধুই তাকে নিয়ে ভাবে রনি । আর ভাললাগে সপ্নকে রাত জাগা সপ্নকে সে ছিল বড়ই আনমনা আর ছিল আমার কল্পনা এসব গান শুনেই রনির দিন পার। স্কুলের অর্থী র যেসব বান্ধবী আছে তাদেরকে জানিয়ে ও দিয়েছে রনি। কিন্তু সমস্যা হল অর্থী এসব প্রেম ভালবাসা নিয়ে কখনোই ভাবে নি তাই এটা ওর ভালোই লাগে না। বান্ধবী দের থেকে যা কিছুই শুনেছে হুবহু আম্মুকে বলে দিয়েছে অর্থী। যার ইফেক্ট হল... অর্থী র আম্মু - অর্থী র আব্বু - রনির আব্বু - রনির আম্মু তারপর যা হওয়ার তাই হলো। অনেক বকাঝকা খেল রনি বাড়ি থেকে যেহেতু তার আব্বু ছিল প্রচন্ড রাগি। রনির আম্মু তাকে বকা না দিয়ে অনেক কিছু বুঝালো। রনির প্রচন্ড রাগ হল মনে মনে অর্থী র উপর কিন্তু তারপর ও ভালবাসে সে। মাঝে মাঝে দেখা হয় তাদের আবার অল্প অল্প কথাও হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২টা ফুল আর গিফ্ট কিনেছে রনি। আজ সে তার মনের কথা খুলে বলতে চায় রনি । ---একটু কথা বলা যাবে?? (বলেই তার সামনে গিয়ে ভয়ে ভয়ে দাড়ায় রনি) ---কি? কিছু বলবেন? ---আসলে আমি তোমার সপথে কিছু পার্সোনাল কথা বলতাম.. --- এখানেই বলেন। ---i love you(ফুল ২ টা কাঁপা কাঁপা হাতে উঁচিয়ে আস্তে করে রনি বলল) .. কোন উত্তর না দিয়ে রাগত স্বরে বেয়াদব বলে চলে গেল অর্থী। রনি জানে যে এই কথা তার আব্বুর কানে পৌঁছাবেই। অনেক বকা ও শুনতে হবে তাকে। কিন্তু এই বলে সান্তনা দিচ্ছে যে এটা তার বলা উচিত ই ছিল। আজ এখন ও বাসায় যায় নি রনি। রনির প্রচন্ড রাগ হল মনে মনে অর্থী র উপর কিন্তু তারপর ও ভালবাসে সে। মাঝে মাঝে দেখা হয় তাদের আবার অল্প অল্প কথাও হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২টা ফুল আর গিফ্ট কিনেছে রনি। আজ সে তার মনের কথা খুলে বলতে চায় রনি । ---একটু কথা বলা যাবে?? (বলেই তার সামনে গিয়ে ভয়ে ভয়ে দাড়ায় রনি) ---কি? কিছু বলবেন? ---আসলে আমি তোমার সপথে কিছু পার্সোনাল কথা বলতাম.. --- এখানেই বলেন। ---i love you(ফুল ২ টা কাঁপা কাঁপা হাতে উঁচিয়ে আস্তে করে রনি বলল) .. কোন উত্তর না দিয়ে রাগত স্বরে বেয়াদব বলে চলে গেল অর্থী। রনি জানে যে এই কথা তার আব্বুর কানে পৌঁছাবেই। অনেক বকা ও শুনতে হবে তাকে। কিন্তু এই বলে সান্তনা দিচ্ছে যে এটা তার বলা উচিত ই ছিল। আজ এখন ও বাসায় যায় নি রনি। নদীর ধারে বসে কি যেন ভাবছে আর সিগারেট ফুকছে রনি। কিছদিন পর রনি খবর পেল অর্থী রা তাদের বাড়ি ও জমি জমা বিক্রি করে খুলনায় চলে গেছে। এদিকে রনি 4.50 পেয়ে ২ টা সরকারি পলিটেকনিক এ চান্স পায় সাতক্ষীরা সহ। কিন্ত ভর্তি হয় না । আর ইন্টারে 4.20 নিয়েও মাত্র ২টা ফরম তোলে সে(খুলনা ইউনিভার্সিটি আর বি, এল কলেজ)। তার কথা পড়লে এই দুইটার একটাতেই। কারণ তার মুল টার্গেট যে কোন মূল্যে খুলনায় থাকা আর ভালবাসার মানুষটিকে খুঁজে বের করা। এখন ছেলেটি খুলনা বি, এল কলেজে মার্কেটিং বিষয় নিয়ে অধ্যয়নরত। এ পর্যন্ত অনেক গুলো প্রোপোজ পেয়েছে সে। কিন্তু তার একটাই কথা খুলনাতে যখন আছে অর্থী, সে যদি পারে অর্থী কেই খুঁজে নেবে আর কেউ নয়।অথচ তার কাছে না আছে মেয়েটার সাথে কানেক্ট করার মত নাম্বার না আছে কোন ঠিকানা। এখনও হয়ত খুঁজে বেড়ায় রনি খুলনার শহরে সাইকেল এর স্থলে বাইক নিয়ে সেই চিরচেনা বেশে। আর একেই হয়ত বলে রিয়েল লাভ।
Posted on: Fri, 03 Oct 2014 08:48:58 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015