▓▒░░আল কুরআনের - TopicsExpress



          

▓▒░░আল কুরআনের আলো░░▒▓ আত্মীয়-স্বজন হলেও অংশীবাদী মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী ও ঈমানদারদের জন্য সংগত নয়। যখন এটা স্পষ্ট হয়ে যে তারা জাহান্নামী। ইব্রাহিম তার পিতার জন্য প্রার্থনা করেছিল। এজন্য যে, তিনি তাকে এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অতঃপর যখন এটা তার কাছে সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে, সে আল্লাহর শক্র তখন ইব্রাহিম (আ.) তার ব্যাপারে নিস্পৃহ হন। ইব্রাহিম (আ.) তো কোমল হৃদয় ও সহনশীল। -সূরা আত তাওবা (আয়াত-১১৩-১১৪)। তাফসীরে মাজমাউল বায়ানে এই আয়াতের শানে নযুল সম্পর্কে বলা হয়েছে, মুসলমানদের মধ্যে অনেকেই আল্লাহর রাসূলের কাছে জানতে চান। তাদের মা-বাবা এবং নিকট আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে যারা মুশরিক অবস্থায় মারা গেছে তাদের জন্য এস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করে দোয়া করা যাবে কি না? এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে সূরা তাওবার ১১৩ নম্বর আয়াতটি নাযিল হয়। এই আয়াতে রাসূলে খোদা ও ঈমানদার মুসলমানদেরকে উদ্দেশ্য করে সরাসরি বলা হয়েছে, আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা সংগত নয়। কারণ যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোন বস্তুকে সমকক্ষ হিসেবে দাঁড় করায় বা শিরক করে এবং সে অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় নেয় তারা জাহান্নামী। কাজেই তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা সংগত নয়। আর তা করে কোনো লাভও হবে না। তাছাড়া ক্ষমা প্রার্থনা করা বা এস্তেগফার করে দোয়া করা ভালোবাসার প্রমাণ বহন করে। এজন্য তা মুশরিকদের ক্ষেত্রে নিষেধ করা হয়েছে। পরের আয়াতটিতে বলা হয়েছে, হযরত ইব্রাহীম (আ.) তার অভিভাবকের ব্যাপারে তখনই ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। যখন তিনি তাকে সুপথে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। এজন্য তিনি তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে যদি শিরক বা অংশীবাদী বিশ্বাস পরিত্যাগ করো তাহলে অতীতের ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব। কিন্তু শিরকের ব্যাপারে তার অবিচল মনোভাবের কারণে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার প্রতি বিরক্ত ও নিস্পৃহ হয়ে পড়েন। এই আয়াত থেকে আমরা বুঝে নিতে পারি যে, শিরক হচ্ছে অমার্জনীয় পাপ। মুশরিকদের জন্য আল্লাহর রাসূলও যদি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তাতেও কোনো ফল হবে না। তবে কেউ যদি তাওবা করে এবং অনুতপ্ত হয়ে সত্য পথে ফিরে আসে তাহলে মহান আল্লাহ হয়ত তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
Posted on: Sun, 04 Jan 2015 23:30:00 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015