▓▒░░আল কুরআনের আলো░░▒▓ - TopicsExpress



          

▓▒░░আল কুরআনের আলো░░▒▓ “হে নবী! ঈমানদার বিশ্বাসীদেরকে সংগ্রামের জন্য উদ্বৃদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্য্যশীল থাকলে তারা দুইশ’ জনের ওপর বিজয়ী হবে এবং তাদের মধ্যে একশ’ জন থাকলে এক সহস্র অবিশ্বাসীর ওপর বিজয়ী হবে। কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায় যার বোধশক্তি নেই। -আল আনফাল (আয়াত-৬৫)। এর আগের আয়াতে রাসূলে খোদা এবং তার অনুসারীদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন, কাফের মুশরিকরা যদি শত্রুতা ও সহিংসতার পথ পরিত্যাগ করে শান্তি স্থাপনে আগ্রহী হয় এবং এ ব্যাপারে কোনো প্রস্তাব পাঠায় তাহলে তোমরা তাদের শান্তি প্রস্তাবে সাড়া দেবে। আর এর পরিণতির ব্যাপারে দুশ্চিন্তা করবে না। কারণ, মহান আল্লাহ তোমাদেরকেই সাহায্য করবেন। ৬৫ নম্বর এই আয়াতে আল্লাহতালা তার রাসূলকে বলেছেন, ইসলামের শত্রুরা যদি শান্তি না চায়, তারা যদি শান্তিচুক্তি ভঙ্গ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে তাহলে তুমি কাফেরদের বিরুদ্ধে মুমিন মুসলমানদেরকে জিহাদের জন্য প্রস্তুত কর এবং তাদেরকে বলে দাও সংখ্যায় কম হওয়ার জন্য কিংবা অনুন্নত যুদ্ধাস্ত্রের জন্য মুসলমানরা যেন ভয় না পায়। কারণ এখানে সৃষ্টিকর্তার প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তিনি সত্যের সৈনিকদেরকে এ ব্যাপারে অভয় দিয়ে বলেছেন, মুমিনরা যদি অসত্যের বিরুদ্ধে দৃঢ়তার সাথে রুখে দাঁড়ায় তাহলে একজন মুমিন মুসলমানের মুকাবেলায় দশজন কাফেরও টিকতে পারবে না। আর এই শক্তি আসবে ঈমানের আলো থেকে। যেটা ইসলামের শত্রুদের নেই। এমনকি তারা এ জিনিসটি অনুধাবন করতেও অক্ষম। ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকালে অবশ্য এই পবিত্র আয়াতের অনেক বাস্তব দৃষ্টান্ত চোখে পড়বে। দেখা গেছে, যখনই মুসলমানরা অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে খাঁটি নিয়তে রুখে দাঁড়িয়েছে সেখানেই তাদের নজিরবিহীন বিজয় অর্জিত হয়েছে। লোকবল এবং যুদ্ধ সরঞ্জামের দিক দিয়ে মুসলমানরা অত্যন্ত দুর্বল অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও পরাক্রমশালী শত্রু পক্ষকে তারা নাস্তানাবুদ করেছে। বদরের যুদ্ধে এক হাজার শত্রু সেনার বিপরীতে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩ জন, ওহুদ যুদ্ধে ৩০০০ এর বিপরীতে মুসলমানরা ছিলেন মাত্র ৭০০ জন, খন্দক যুদ্ধে দশ হাজার কাফেরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন মাত্র ৩০০০ মুসলমান আর তাবুক যুদ্ধে এক লক্ষ শত্রু সেনার বিরুদ্ধে বীর বিক্রমে লড়াই করেছেন মাত্র দশ হাজার ঈমানদার মুসলিম। কাজেই এ আয়াতে এটাই বুঝানো হয়েছে, সত্য ও মিথ্যার যুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত হয় ঈমান ও দৃঢ়তার বলে, এখানে উন্নত যুদ্ধাস্ত্র বা লোকবল মুখ্য নয়।
Posted on: Thu, 25 Sep 2014 23:30:01 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015