ইজরায়েল ফিলিস্তিন - TopicsExpress



          

ইজরায়েল ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে নাস্তিক্যবাদীদের মধ্যে মতদ্বৈততা লক্ষ্য করা যায়। কেউ ইজরায়েলকে সমর্থন করেন, কেউ ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেন আবার কেউ বলেন - উভয়েই দোষী। যেহেতু বিষয়টি বর্তমানে বেশ বড় একটি ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেহেতু এই ব্যাপারে নাস্তিক্যবাদীদের একটি সুস্পষ্ট ধারনা থাকা বাঞ্ছনীয়। আসুন কিছু বিষয় পর্যালোচনা করে নেই - ১) আজকে আমরা যেটিকে প্যালেস্টাইন বলছি, সেটি তাদের ভূখণ্ড নয়। সেই ভূখণ্ডে প্রথম থেকে বাস করতো ইহুদীরা - আজকে ইজরায়েলে বসবাসরত ইহুদীদের পূর্বপুরুষেরা। তাই আজকে তাদের উত্তরসূরীরা যদি প্যালেস্টাইনের ভূখণ্ড দাবি করে বসে তবে সেটিতে ন্যূনতম অযৌক্তিকতা নেই বরং এটি সম্পূর্ণ ন্যায্য একটি দাবি। মুসলিম সেনাপতি সালাউদ্দিন আইয়ুবী ইহুদী নারী পুরুষ শিশু হত্যা করেই জেরুজালেমসহ ইজরায়েল/প্যালেস্টাইন দখল করেছিলেন। আজকে যদি সাধারণ জনগণ হত্যা করার দায়ে ইহুদীদের প্রতি কেউ নিন্দা জানায় তবে ১১৮৭ সালে সালাউদ্দিন আইয়ুবী কর্তৃক ইহুদী হত্যা ও তাদের বাস্তুভিটা থেকে উৎখাত করার জন্যও নিন্দা জানাতে হবে। সালাউদ্দিন আইয়ুবী যুদ্ধের মাধ্যমে অজস্র ইহুদীকে হত্যা করেছিলেন, তাদের বসতভিটা থেকে বিতাড়িত করেছিলেন এবং মুসলিমদের ইজরায়েলে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ফলে কয়েক শতক ধরে মুসলমানেরা প্যালেস্টাইনে বসবাস করছে বলেই তাদের সেই বসবাস বৈধ হয়ে যায় না। বরং, যুদ্ধের মাধ্যমে ইহুদীদের হত্যা ও বাস্তুহারা করাটাই অবৈধ এবং এর মাধ্যমে মুসলমানেরাই এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে। সমস্যার সৃষ্টিকারীই প্রকৃত দোষী, সমস্যা সৃষ্টিকারীর অপরাধের প্রতিশোধ নেওয়া বা সেলফ ডিফেন্সের কারণে হত্যাকে অন্যায় বলা যায় না। উল্লেখ্য, কেউ কেউ উত্তর/দক্ষিণ আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের কথা বলবেন, যে সেসব স্থান থেকে শ্বেতাঙ্গদের বিতাড়িত করে আদিবাসীদের ক্ষমতা হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। এমন মনে করাটি হবে ভুল কেননা - ১) উক্ত দেশের আদিবাসীদের সঙ্গে শ্বেতাঙ্গদের কোনো কলহ বিবাদ বর্তমানে আছে বলে কোনো সংবাদ মাধ্যমে জানা যায় না অথচ ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের মধ্যে চরম দ্বন্দ্ব আছে ২) উক্ত দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয় যা প্যালেস্টাইনের ক্ষেত্রে ভাবাই যায় না ৩) আদিবাসী ও অভিবাসীদের রেশিও করলে দেখা যায় উক্ত দেশগুলোতে আদিবাসীদের সংখ্যা অত্যন্ত নগণ্য পক্ষান্তরে ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনে কেউই বড় ব্যবধানে মেজরিটি নয়। ২) মুসলমানেরা অধিকাংশ জায়গায়ই তলোয়ারের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে ও তাদের বাস্তুভিটা থেকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছে। আসুন দেখে নেই কিছু উদাহরণ - ক) জাতিতে তুর্কি নন বেঙ্গলি বিজাতীয় মুসলিম ইখতিয়ারউদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খিলজীর বাংলা আক্রমণ ও প্রকৃত বাঙালি নরমমনা বৃদ্ধ রাজা লক্ষ্মণ সেনের পরাজয় খ) জাতিতে আরবীয় নন সিন্ধি বিজাতীয় মুসলিম মুহম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু আক্রমণ ও প্রকৃত সিন্ধি রাজা দাহিরের পরাজয় গ) বিভিন্ন নন ইন্ডিয়ান মুসলিমদের ভারত আক্রমণ ও শাসন - ইব্রাহীম লোদী, বাবুর ইত্যাদি ঘ) পারস্যের নাদির শাহের ভারতবর্ষ আক্রমণ ও লুটতরাজ ঙ) গজনীর সুলতান মাহমুদের ভারতবর্ষ আক্রমণ ও লুটতরাজ ঘ) মুসলমানহীন স্পেনে ৮০০ বছরের মুসলিম শাসন চ) ইহুদী অধ্যুষিত ইজরায়েল/প্যালেস্টাইনে বিজাতীয় সালাউদ্দিন আইয়ুবীর আক্রমণ ও দখল আমরা মুসলিমদের দেশ দখল করতে যাইনি, মুসলিমরাই আমাদের দেশ, পরের দেশ দখল করেছিলো। এগুলোর জন্য তাদের পাই পাই হিসাব অবশ্যই দিতে হবে। ৩) মুসলিমেরা একটি মিথ্যে বক্তব্যকে গণহারে পোস্ট করে ফেসবুক ভরে ফেলেছে, সেটি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে কুখ্যাত একনায়ক হিটলার নাকি বলেছিলেন - আমি চাইলে সব ইহুদিকে হত্যা করতে পারতাম, কিন্তু কিছু ইহুদি বাঁচিয়ে রেখেছি এ জন্য, যাতে পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পারে কেন ইহুদি হত্যায় মেতেছিলাম। এটি নির্জলা মিথ্যে, চরম বানোয়াট একটি বক্তব্য। হিটলার যদি যুদ্ধে জয়ী হতো বা জীবিত থাকতো তবেই এমন বক্তব্য দিতে পারতো। বরং হিটলার যুদ্ধে জয়ীও হতে পারেনি, জীবিতও থাকতে পারেনি। যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগেই নিজের ভয়ংকর পরিণতির কথা ভেবে ভয়ে সে আত্মহত্যা করেছিলো। সামান্য ১টি স্বীকৃত তথ্যকোষ থেকেও এমন বক্তব্যের হদিস পাওয়া যায় না। হিটলার সকল ইহুদীকে মারেনি নয় বরং মারতে পারেনি - কারণ হিটলার যুদ্ধে হেরে গিয়েছিলো এবং কঠিন শাস্তির ভয়ে আত্মহত্যা করেছিলো। মুসলিমেরা কি মানবিক ? মানবিক হলে হিটলারের মতো একটা কুখ্যাত একনায়কের অমানবিক আদর্শের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতো ? আজকে ফিলিস্তিনিরা মরছে বলে তারা এভাবে কান্নাকাটি করছে কিন্তু চান্স পেলে তারা আপনাকে মেরে ফেলবে। তাই তাদের প্রতি নরম হলে আপনি নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন ! থিওরিটিক্যালি না ভেবে, রিয়ালিস্টিকভাবে ভাবুন। ৪) ১৯৪৭-১৯৪৮ সালে প্যালেস্টাইন স্বাধীন রাষ্ট্র ছিলো না। আসুন দেখি - The British were formally awarded the mandate to govern the region in 1922. The non-Jewish Palestinians revolted in 1920, 1929, and 1936. In 1947, following World War II and The Holocaust, the British Government announced its desire to terminate the Mandate, and the United Nations General Assembly adopted a resolution recommending partition into an Arab state, a Jewish state and the Special International Regime for the City of Jerusalem. The Jewish leadership accepted the proposal, but the Arab Higher Committee rejected it; a civil war began immediately, and the establishment of the State of Israel was declared in 1948. সূত্রঃ en.wikipedia.org/wiki/Palestine#Modern_period অর্থাৎ, ইহুদীরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও অনমনীয় একগুঁয়ে একরোখা জেদী মুসলিমেরা এটি মেনে নেয়নি। সুতরাং, মুসলমানেরাই আজকের এই সমস্যার জন্য দায়ী। ৫) ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন যুদ্ধের সূচনাকারী কারা ? মুসলিমেরা নাকি ইহুদীরা ? উত্তরঃ মুসলিমেরা। আসুন দেখি - That day, the armies of Egypt, Lebanon, Syria, Jordan, and Iraq invaded/intervened in what had just ceased to be the British Mandate, marking the beginning of the 1948 Arab–Israeli War. সূত্রঃ en.wikipedia.org/wiki/Arab%E2%80%93Israeli_conflict#Civil_War_in_Mandatory_Palestine অর্থাৎ, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে মিসর, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান, ইরাক এবং সৌদি আরব (এখানে অনুল্লেখিত) এর সামরিক আক্রমণের মাধ্যমেই এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। মুসলিমেরা নিজেরাই যুদ্ধের মাধ্যমে নিজেদের বিপদ তথা পতন ডেকে আনে। ১১৮৭ সালে যদি সালাউদ্দিন আইয়ুবী যুদ্ধের মাধ্যমে ইজরায়েল দখল করতে পারে, তবে ১৯৪৮ সালের যুদ্ধে ইজরায়েল জিতলে সমস্যা কোথায় ? টিট ফর ট্যাট, তাই নয় কি ? মুসলমানেরা নিজেদের হঠকারিতা ও নির্বুদ্ধিতার মাধ্যমেই প্যালেস্টাইন হারায়, তাছাড়া ইহুদীদের আদিবাস হিসেবে নৈতিকভাবেই প্যালেস্টাইনের ভূখণ্ড ইহুদী বা তাদের উত্তরসূরিদের প্রাপ্য। ইহুদীরা যদি আজকে পুরো প্যালেস্টাইন থেকে বিজাতীয় মুসলিমদের উৎখাত করতে চায়, আমি সেটি স্বাগত জানাবো কেননা - এই জায়গার মূল দাবীদার তারাই, মুসলিমেরা নয়। আজকে যদি ইহুদীদের আক্রমণে মুসলিমেরা মারা যায় তবে ১১৮৭ সালে মুসলিমদের আক্রমণে যে ইহুদীরা মারা গিয়েছিলো - সেটি হিসেবে আনতে হবে। যদি ইহুদী হত্যার বিচার না হয় তবে মুসলিম হত্যার বিচার হবে কোন যুক্তিতে ? ৬) ফেসবুকে মুসলিমেরা পোস্ট করে বেড়াচ্ছে যে ইজরায়েলিরা নাকি তাদের শিশু ও নারীদের ইচ্ছে করে হত্যা করছে ! এটিও আরেকটি হাস্যকর অভিযোগ। কেননা, যুদ্ধের সময় কে নারী, কে শিশু - এসব বাছবিচার করে যুদ্ধ করা যায় না। একটি বাড়িকে লক্ষ্য করে কামানের গোলা ছোড়া হলে সেই বাড়ির শিশু, নারী, যুবক, পুরুষ, বৃদ্ধ সকলেই মারা যেতে পারে। এমন নয় যে - শিশু ও নারীকে বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছে। যুদ্ধের সময় বাড়ি বাড়ি ঘুরে নারী ও শিশু আলাদা করে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়। সুতরাং, যারা নারী ও শিশুদের ছবি দেখিয়ে সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা করছে, তারা ভণ্ড প্রতারক ছাড়া আর কিছুই নয়। সাপকে দুধ কলা দিয়ে পোষা ঠিক নয়। আজকে ফিলিস্তিনে যে বাচ্চারা রয়েছে, তারা বড় হয়ে তাদের বাপদাদাদের কাছ থেকে সন্ত্রাসবাদ, বোমাবাদ, উগ্রবাদই শিখবে। যেমনটি বর্তমানে হামাসের তরুণ সন্ত্রাসীরা শিখেছে। এরাও একদিন শিশু ছিলো, আজকে হয়েছে সন্ত্রাসী ! ৭) জানেন কি - মুক্তিযুদ্ধে সর্বপ্রথম কোন রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল? অনেকে বলবেন ভুটান ৩ ডিসেম্বর (মতান্তরে ৭ ডিসেম্বর) কিংবা ভারত ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১...কিন্তু অনেকে হয়ত জানেন না বা স্বীকার করতে চাইবেন না যে বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম স্বীকৃতি আসে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছ থেকে ! ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের মাত্র ৩৩ দিনের মাথায় ইসরায়েল বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয়, তারিখটি ছিল ২৮শে এপ্রিল, ১৯৭১।নেপালে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যান স্ট্যাভ বলেন, ঐতিহাসিকভাবে ইসরায়েল বাংলাদেশের মুক্তি ও স্বাধীনতার লড়াইকে সমর্থন করেছিল এবং বিশ্বর প্রথম রাষ্ট্র যারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ঢাবির লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ এই বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং বলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক আহমেদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল ধর্মীয়ভাবে চরম রক্ষণশীল। তাই সরকারের পক্ষে তিনি তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে ইসরায়েলী কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন। বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে সমরাস্ত্র সুবিধা পাওয়া নিয়েও প্রাথমিক কথা-বার্তা হয়েছিল। ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যান স্ট্যাভ আরো জানান, ১৯৭২ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারী ইসরায়েল বাংলাদেশকে ২য় বারের মত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে, এর কারণ ছিল ইসরায়েল বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রামের সাথে তাদের মিল খুজে পেয়েছিল। ডঃ কলিমউল্লাহ জানান, আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ এ স্বীকৃতির ব্যাপারটি একনলেজ কিংবা রেসিপ্রোকেট করেনি। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি এখন ক্ষমতায় তাই সময় এসেছে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা। বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে যথেষ্ঠ আগ্রহী ইসরায়েল। উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে হিন্দু অধ্যুষিত ভারত এবং নাস্তিক অধ্যুষিত সোভিয়েত ইউনিয়ন পক্ষান্তরে পাকিস্তানসহ সকল ইসলামিক রাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টির বিরোধিতা করে। ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সেনেগাল ১লা ফেব্রুয়ারী ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। লজ্জাকর বিষয় এই যে, আমরা কত বড় অকৃতজ্ঞ যে ইসরায়েল আমাদের সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দিলেও চরম অকৃতজ্ঞের মত আজ পর্যন্ত আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেইনি। উপরন্তু, হিন্দু ও নাস্তিক্যবাদী রাষ্ট্র ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্যের পেছনেও নানাবিধ স্বার্থ খুঁজতে আমাদের দেশের একাংশ প্রবৃত্ত। প্রশ্ন করি, স্বার্থ কোন দেশের থাকে না ? আমাদের বাংলাদেশেরও কি স্বার্থ নেই ? এছাড়াও, তাদের যদি কোন স্বার্থ থেকেও থাকে, তার চেয়ে বড় স্বার্থ কি আমাদের ছিলো না ? স্বাধীন হয়ে মানুষের মত মানুষ হয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচার স্বার্থ ? সূত্রঃ ১) somewhereinblog.net/blog/speechless/29179358 ২) bcstest/bdesh_details.php?id=39sub_title%3DRecognition+Countries+to+Bangladesh ৩) kishorgonj/?p=7452 সারকথাঃ আমরা মানবতা চাই, আমরা শান্তি চাই। আমরা যুদ্ধ বিগ্রহ চাই না। কিন্তু কেউ যদি যুদ্ধ বিগ্রহ, অমানবিকতা, অশান্তি সৃষ্টি করে তবে সেই ব্যক্তি/গোষ্ঠী/জাতিদের প্রতি মানবিক হওয়া হবে চরম ভুল এবং এর জন্য ভবিষ্যতে চরম খেসারত দিতে হবে। যারা অমানবিক, যারা সারা পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ কায়েম করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের তাদের দেখানো স্টাইলেই কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা মানবতা বোঝেনা, শান্তি বোঝেনা, তাদের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাদের কারণে পৃথিবীর শান্তি নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। শুনতে যতই খারাপ লাগুক, এই পৃথিবীর মানুষের বৃহত্তর অংশের শান্তিময় জীবন রক্ষার্থে যদি সন্ত্রাসবাদী ক্ষুদ্র অংশের বলি দিতে হয়, তবে সেটাই দিতে হবে। হয় আমরা বাঁচবো, নতুবা তারা বাঁচবে। তারা বাঁচলে আমাদেরকে তারা মেরে ফেলবে। সুতরাং, সিদ্ধান্ত নিন আপনি কোনটি চান। মানবতাবাদীদের পৃথিবী নাকি সন্ত্রাসবাদীদের পৃথিবী ? ধন্যবাদ।
Posted on: Fri, 25 Jul 2014 13:03:17 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015