একাধিক স্ত্রী সম্পর্কে ইসলাম কি বলে লক্ষ্য করুন – “আর যদি তোমরা ভয় কর যে,এতীমমেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।” (৪:৩) অন্যদিকে বলা যায় যে, এক সাথে একাধিক স্ত্রী রাখা কোরানে কোথাও হারাম করা হয়নি। তবে এই কথা সত্য যে – একাধিক স্ত্রী রাখাকে আল্লাহ কোরানে দারুন ভাবে নিরুৎসাহিত করেছেন সুরা নিসা আয়াত ১২৯ এ। কথাগুলো হলো - তোমরা কখনও নারীদেরকে সমান রাখতে পারবে না, যদিও এর আকাঙ্ক্ষী হও। অতএব, সম্পূর্ণ ঝুঁকেও পড়ো না যে, একজনকে ফেলে রাখ দোদুল্যমান অবস্থায়। যদি সংশোধন কর এবং খোদাভীরু হও, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। (৪:১২৯) সুতরাং একজন খোদাভীরু মুসলমান কখনই আল্লাহকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক স্ত্রী রাখার চিন্তাই করবে না। এইটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষ অবস্থায় যদি কেউ ২য় স্ত্রী রাখেন ( যেমন প্রথম স্ত্রী শয্যাশায়ী হলে তার অনুমোদন সাপেক্ষে যদি কেউ ২য় স্ত্রী গ্রহন করেন) – তাকে বাঁধা দেবার অধিকারও কোরান আমাদের কাউকে দেয়নি। যদি তা অবৈধ হতো তাহলে মহান আল্লাহতালা সরাসরিই নিষেধ করে দিতেন। শেষ কথা হলো – একটা কথা মনে রাখা জরুরী – বিয়ে করাকে আবশ্যক(ফরজ) করা হয়নি। সুতরাং দেখা যাচ্ছে – কোরানে শূন্য থেকে অসীম সংখ্যক স্ত্রী রাখার বিষয়ে সরাসরি কোন আদেশ বা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। সেই ক্ষেত্রে যারা চার সংখ্যাকে হালাল করে বা একের পরের সংখ্যাকে হারাম ঘোষনা দেয় – সবাই কোরানের সীমানা লংঘন করেছে এবং করছে বলে আমার বিশ্বাস। একটা কথা জানা দরকার যে – হারাম বা হালাল বিষয়ক মতামত (ফতোয়া) দেবার আগে সবাইকে কোরানের একটা আয়াত স্মরন রাখা জুরুরী - “O you who have believed, do not prohibit the good things which Allah has made lawful to you and do not transgress. Indeed, Allah does not like transgressors.” (৫:৮৭) সুতরাং আল্লাহ যাকে হারাম করেনি – তাকে হারাম বলার আগে একটু ভাবা উচিত নয় কি?
Posted on: Fri, 29 Nov 2013 16:18:02 +0000