এভাবেই স্বাধীন দেশের - TopicsExpress



          

এভাবেই স্বাধীন দেশের সেনাবাহিনী ,পুলিশ, বিজিবি ও পাবত্য বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা . .. ... .... ..... ...... Cht24news সশস্ত্র লড়াইকালীন জেএসএসএর প্রথম সশস্ত্র আক্রমণ Category: কমেন্ট-ফিচার, পার্বত্য চট্টগ্রাম মে 26, 2013 0 19 সিএইচটি২৪ডটকম রবিবার; ২৬মে, ২০১৩ কৈফিয়ত- পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএস ১৯৭৫ সালে গোপনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাধ্য হয়। ১৯৭৫ সালের দেশের শাসনকাঠামোতে পরিবর্তন ঘটলে জেএসএসএর উপর সরকারী নজর বেড়ে যাওয়ায় তারা গোপনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাধ্য হয়। এই সময় এক পর্যায়ে জেএসএস সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত নেয়া শুরু করে। এই লেখায় জেএসএস কর্তৃক প্রথম সশস্ত্র আক্রমণ নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করা হলো। প্রত্যক্ষভাবে উক্ত আক্রমণে থাকা এক সাবেক শান্তিবাহিনী যোদ্ধার কাছ থেকে আমরা এই তথ্যগুলো পাই। তবে তিনি নিরাপত্তাগত কারণে নিজের নাম প্রকাশে অনীহা প্রকাশ করেছেন। তাই আমরা উক্ত বিবরণদাতার নাম এখানে প্রকাশ করলাম না। এই লেখাটি পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে আমরা প্রকাশ করছি। এক সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে আমরা তেমন কোনো লেখা পাইনা । আশাকরি আমাদের এই লেখা পড়ে আগামীকে এ বিষয়ে কেউ কেউ লেখার উৎসাহ পাবেন। [আমাদের এই লেখায় অনেক সীমবাদ্ধতা ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক। ভুল থাকলে মার্জনা করবেন এই আশা থাকলো। ধন্যবাদ- সিএইচটি২৪ডটকম সম্পাদনা বোর্ড] কমেন্ট/ফিচার: বাংলাদেশ সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামের এক সময়ের সশস্ত্র সংগঠন জেএসএস প্রথম সশস্ত্র আক্রমণ পরিচালনা করে ১৯৭৬ সালে রাঙামাটির বিলাইছড়িতে। বিলাইছড়ি ফারুয়া পুলিশ ক্যাম্পে এই আক্রমণ করা হয়। সময়টা ছিলো আনুমানিক জুন মাস। আক্রমণ পরিচালনা করার আগে এক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধের রিহার্সাল বা ডামি যুদ্ধের মহড়া পরিচালনা করা হয়। সশস্ত্র শাখার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার লে: ক: গিরি এ সময় উপস্থিত থেকে এই মহড়া পরিচালনা করেন। বিল’ছড়া তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় এই মহড়া অভিযান চলে। কমান্ড স্ট্রাকচার জেএসএসএর সশস্ত্র শাখার ৩, ৪ ও ৫ নাম্বার সেক্টর মিলে বি-কমান্ড পোস্ট গঠন করা হয়েছিল। এই কমান্ড পোস্টে অধিনায়ক ছিলেন মংহ্লাউ(চাবাই মগ) এই কমান্ড পোস্টের এক অংশ এই লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল। ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর পেলে। ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর রক্সিও। ৫ নম্বর সেক্টর ও কোম্পানী কমান্ডার ছিলেন মেজর জুলু। এফ কোম্পানী ও ই কোম্পানী নিয়ে ৫ নম্বর সেক্টর গঠিত। এফ কোম্পানী অধিনায়ক ছিলেন মেজর জুলু এবং ই কোম্পানী অধিনায়ক ছিলেন মেজর ধ্রুব। প্রতি কোম্পানী গঠিত হতো দু’টি করে প্লাটুন থাকতো। এক প্লাটুনে সৈন্যসংখ্যা ছিলো ৩৩ জন। এই যুদ্ধে মোট ১৩২ জন অংশ নেয়। যুদ্ধের মূল কমান্ডার ছিলেন চাবাই মগ বা মংহ্লাউ। ফারুয়া এলাকায় বাংলাদেশ রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর ক্যাম্প ছিলো। ক্যাম্পে আনুমানিক ৪০ জনের মতো সৈন্য অবস্থান করতো। আক্রমণপূর্ব পরিকল্পনা ও কার্যক্রম রেকি পেট্রোল: আক্রমণ পরিচালনা করার আগে শত্রর অবস্থান বা শক্তি ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করাকে সাধারণত সামরিক ভাষায় রেকি পেট্রোল বলা হয়। এই রেকি পেট্রোল পরিচালনা করেন মেজর ধ্রুব। তিনি এক সেকশন যোদ্ধা নিয়ে এই রেকি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। রেকির মাধ্যমে কয়টি সেন্ট্রিপোস্ট রয়েছে, সেন্ট্রিপোস্টের স্থান বা অবস্থান, বাংকার রয়েছে কিনা,মেশিনগানের অবস্থান, অস্ত্রের মজুদ, ক্যাম্প কমান্ডার কোথায় থাকেন ইত্যাদি বিষয়ের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এতে বাইনোকুলার ব্যবহার করা হয়। পরে ক্যাম্পের স্কেচম্যাচ আঁকা হয়। পরে সংগৃহীত তথ্য যাচাই বাছাইয়ের জন্য আরেকটি দল পাঠানো হয়। সকল তথ্য পাবার পর অপারেশন টীমের মংহ্লাউ, ধ্রুব, জুলু গোপন বৈঠক করেন এবং অপারেশান প্লান প্রস্তুত করেন। অপারেশান প্লান অপারেশান প্লানে বলা হয় মোট তিনটি প্লাটুন ক্যাম্প আক্রমণ পরিচালনা করবে। প্রথম প্লাটুন মেজর জুলুর নেতৃত্বে ক্যাম্পের একটি দিক আক্রমণে যাবে। মেজর ধ্রুব’র নেতৃত্বে এসল্ট অভিযান পরিচালিত হবে। বাকি একটি প্লাটুন চাবাই মগের নেতৃত্বে অপর সেন্ট্রি দখলের জন্য অগ্রসর হবে। রোড ব্লক পার্টি হিসেবে ৪টি প্লাটুন ৪ জায়গায় অবস্থান করবে। তাদের কাজ হবে শত্রু যাতে নতুন ফোর্স যোগ করতে না পারে তা নজর রাখা। ধুল্যাছড়ি, বল্লালছড়া, তক্তানালা ও থেওরাছড়ি এই চার জায়গায় এই প্লাটুনগুলো অবস্থান নেয়। আক্রমণ পরিচালনা ভোররাত ৪.১০টায় আক্রমণ শুরু করা হয়। প্রথম আক্রমনেই মেজর জুলু শত্রুপক্ষের কমিউনিকেশন ট্রেঞ্চ দখলে নিতে সমর্থ হন। মংহ্লাউর নেতৃত্বে যে গ্রুপটি সেন্ট্রিপোস্ট দখলের দায়িত্বে ছিলো সে গ্রুপ তা দখলে ব্যর্থ হয়। এদিকে এসল্ট গ্রুপও তার কাজে সফল হয়নি। তারপরও সকাল নয়টা পর্যন্ত একনাগাড়ে ৫ ঘন্টা চেষ্টা চলে ক্যাম্প দখল করার। এরই মধ্যে ক্যাম্প আক্রান্ত হয়েছে খবর পেয়ে কাপ্তাই থেকে দু’টি টীম লঞ্চে করে ফারুয়ায় আসতে থাকে। তারা ছিলো বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড রেজিমেন্টের সৈন্য। প্রথম বোটটি ধুল্যাছড়া এলাকা পৌঁছেলে রোড ব্লক পার্টি তাদের উপর আক্রমণ করে। এতে তারা পিছু হটে যায়। এ আক্রমণে কোনো হতাহত না হলেও একটি হরিণ মারা যায় বলে যুদ্ধের বিবরণ দাতা বলেছেন। এই সেকশনে লে: প্রীতিশ বাবু নামে একজন নেতৃত্বে ছিলেন বলে জানা যায়। আরেকটি লঞ্চ বল্লালছড়ায় আসলে তাতে আক্রমণ করা হয়। তবে এই আক্রমণ ফলপ্রসূ হয়নি। এই সেকশনের কমান্ডার ছিলেন উসিনু্। পরে সকালে অনেক যুদ্ধ করার পরে ক্যাম্প দখল করতে সক্ষম না হওয়ায় শান্তিবাহিনীরা রণে ভঙ্গ দেয়। যুদ্ধে শান্তিবাহিনীদের পক্ষ থেকে ব্যবহৃত হাতিয়ার এই যুদ্ধে মোট কয়টি হাতিয়ার শান্তিবাহিনী দলটি ব্যবহার করে তার সঠিক হিসাব নেই। তবে এই যুদ্ধে থ্রি নট থ্রি রাইফেল, অটো হাতিয়ার ব্যবহার করা হয়। যুদ্ধে যে সব গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার ছিলো তা নিচে তুলে দেয়া হলো- ১. চায়নীজ এসএমজি ছিলো ১টি। মোট গুলি ছিলো ৫০০ রাউন্ড। মেজর জুলু এই অস্ত্র বহন করেন। ২. ব্রিটিশ এলএমজি ছিলো ১টি। মোট ৩০০ রাউন্ড গুলি ছিলো। ৩. স্টেনগান ১টি। এ অস্ত্রটি চাবাই মগের হাতে ছিলো। ৪. চায়নীজ এলএমজি ছিলো ১টি। এলএমজিম্যান হিসেবে ছিলেন বিজয়। ৫. এসএমসি ১টি। ৬. একটি চায়নীজ রাইফেল। আক্রমণে ব্যর্থ হবার কারণসমূহ এই যুদ্ধই ছিলো শান্তিবাহিনী বা জেএসএস কর্তৃক প্রথম প্রত্যক্ষ যুদ্ধের অভিজ্ঞতা। এর আগে শান্তিবাহিনীরা কোনো যুদ্ধই করেনি। প্রথম যুদ্ধ হিসেবে এর নানা দুর্বলতা ছিলো। এক. বাহিনীর কোনো সৈন্যেরই অস্ত্র চালনা বা যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা ছিলো না। দুই. মেজর জুলু সেন্ট্রি পোস্ট দখল করতে পারলেও অন্য কেউই বাকি পোস্ট দখল করতে পারেনি। তিন. হাতিয়ার ব্যবহারে অদক্ষতা ছিলো। যুদ্ধের বিবরণদাতা বলেন, এলএমজিম্যান বিজয় শত্রুর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা না চালিয়ে একনাগাড়ে এলএমজির ব্রাশফায়ার করে যায়। চার. অনেকেই শুধুই গুলি খরচ করেছে, অর্থাৎ এলোপাথারি ব্রাশফায়ারই করেছে মাত্র। পাঁচ. শেষের দিকে গোলাবারুদও শেষ হয়ে এসেছিলো। সংক্ষেপে এটাই শান্তিবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনার বর্ণনা। Fri · Public Like · 2 Comments · Share · Unlike Page · Report
Posted on: Tue, 23 Sep 2014 05:27:22 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015