দুবাইয়ে ফায়ারিং - TopicsExpress



          

দুবাইয়ে ফায়ারিং স্কোয়াডে দুই বাংলাদেশীর মৃত্যুদণ্ড Print E-mail Written by তাজাখবর.কম Tuesday, 26 November 2013 10:55 দুবাইয়ে দুই বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য এক বাংলাদেশীকে হত্যার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই আদেশ দেওয়া হয়। জানা গেছে, এই মামলায় আগেই তাদের বিরুদ্ধে এ রায় দেয়া হয়েছিল। রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করে। এ আপিলে তারা হেরে যায়। ফলে এখন ফায়ারিং স্কোয়াডে তাদের হত্যা করা হবে। গতকাল সোমবার অনলাইন গালফ নিউজ এ খবর দিয়েছে। তবে প্রতিবেদনটিতে তাদের পরিচয় জানানো হয়নি। এতে বলা হয়েছে, ওই দুই বাংলাদেশীর নামের ইংরেজি প্রথম অক্ষর এমজি (২৭) ও আরএন (২২)। তারা বাংলাদেশের কোন জেলার অধিবাসী তা জানা যায়নি। গতকাল দুবাই ক্যাসাশন কোর্টে তাদের আপিলের শুনানি হয়। সেখানে তারা দাবি তুলে ধরে, আত্মরক্ষার জন্য তারা রহিমুদ্দিন নামে এক বাংলাদেশীকে হত্যা করেছিল। কিন্তু আদালতে তা প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডের রায় পাওয়া এ দুই বংলাদেশী রহিমুদ্দিন নামে এক বাংলাদেশীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তাকে প্রলোভিত করে তাকে নিয়ে যায় আলরশিদিয়া এলাকায় একটি বালুময় স্থানে। সেখানে নিয়ে তারা রহিমুদ্দিনের মাথায় রড ও কংক্রিটের ব্লক দিয়ে আঘাত করে ক্ষতবিক্ষত করে। এ সময় তারা লাথি মারতে থাকে। রহিমুদ্দিন মারা গেছেন তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা তাকে প্রহার করতে থাকে। এরপর তারা রহিমুদ্দিনের সিগারেট, মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ কেড়ে নেয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়েছে আরএ নামের এক বাংলাদেশীকে। গতকাল আদালতে এমজি বলেছে, আমি রহিমুদ্দিনকে আঘাত করেছি। কিন্তু তা করেছি আত্মরক্ষার জন্য। আমাদের মধ্যে ঘুষাঘুষি হওয়ার পর আমি নিজেকে রক্ষা করেছি। সে-ই প্রথমে আমাকে আঘাত করে। তার জবাবে আমি তাকে আঘাত করেছি। আরএনও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ সেও অস্বীকার করে। তবে নিহতের ভাই এসএ বলেছেন, আমার ভাইয়ের কাছ থেকে এমজি ৩৫০০ দিরহাম ধার নিয়েছিল। কিন্তু দুই মাস পার হয়ে গেলেও সে ওই অর্থ ফেরত দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এ নিয়ে এক মার্কেটে তাদের একবার মারামারি করতে দেখি। তারা যে রুমে থাকত সেখানে এ নিয়ে একবার মারামারি হয়। ঘটনার দিন শেষে রাতেও যখন আমার ভাই ফিরে আসেনি তখন আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। তার মোবাইল ফোন ছিল বন্ধ। জিজ্ঞাসা করলে এমজি যেভাবে জবাব দেয় তাতে সন্দেহ হয়। আমরা আমার ভাইকে খোঁজাখুঁজি করতে বেরুলে সে আমাদের সঙ্গে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। রহিমুদ্দিনের মৃতদেহ উদ্ধার করি বাসস্থানের পেছন থেকে। এ ঘটনায় তদন্তে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। রিমান্ডে তারা স্বীকারোক্তি দেয়।
Posted on: Tue, 26 Nov 2013 09:00:50 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015