★★ নিঃসন্দেহে - TopicsExpress



          

★★ নিঃসন্দেহে এই পোষ্টটি পড়লে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন। দুনিয়ার কোন স্বার্থ হাসিল ও কোন ক্ষমতার লোভে কোন ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করা এই পোষ্টের উদ্দেশ্য নয়। বরং সত্য ও মিথ্যার পরিচয় তুলে ধরাই এই পোষ্টের মূল লক্ষ্য। ইমামে আহলে সুন্নাত,ওস্তাযুল মুহাদ্দেসীন, আল্লামা কাযী নুরুল ইসলাম হাশেমী মুদ্দাজিল্লুহুল আলী দরবারে হাশেমীয়া আলীয়া শরীফে আয়োজিত সুলতানুল হিন্দ, আতায়ে রসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত গরীবে নেওয়াজ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর স্মরণে দরবারে হাশেমীয়া আলীয়া শরীফে আয়োজিত গতকালের ছঠভী শরীফের মাহফিলে যা তাকরীর করেছেন তার মূলভাব এখানে উপস্থাপন করা হলঃ আমি প্রায় বলে থাকি এই মাহফিল শুধুমাত্র দোয়া-যিকির, দরুদ সালামের মাহফিল নয়। বরং এই মাহফিল শিক্ষার মাহফিল। একজন মুসলামানের চাল-চলন, উঠা-বসা, লেন-দেন মোটকথা সবকিছু আল্লাহ ও তাঁর হাবীবের নির্দেশমতো হচ্ছে কিনা খেয়াল করতে হবে। প্রিয় নবীজি আমাদের কাছে তাঁর রিসালতের বিনিময়ে যা চান তা’হল আহলে বাইতের ভালবাসা। যেমন কুরআন মাজীদে রয়েছে- This is what Allah gives the glad tidings of to His bondmen who accept faith and do good deeds; say (O dear Prophet Mohammed - peace and blessings be upon him) “I do not ask any fee from you upon this, except the love between close ones”; and whoever performs a good deed - We further increase the goodness in it for him; indeed Allah is Oft Forgiving, Most Appreciative. – [Shoora 42:23] ...হে প্রিয় হাবীব! আপনি (সকল ইমানদারকে) বলে দিন, আমি তোমাদের নিকট আমার অবদানের বিনিময়ে কিছুই কামনা করি না। তবে আমার আহলে বাইতের প্রতি প্রেম- ভালবাসা অবশ্যই কামনা করি।.... (সূরা শুরা, আয়াত-২৩) মহান আল্লাহপাক আরো ইরশাদ করেন- And remain in your houses and do not unveil yourselves like the unveiling prevalent in the times of ignorance, and keep the prayer established, and pay the charity, and obey Allah and His Noble Messenger; Allah only wills to remove all impurity from you, O the People of the Household, and by cleansing you make you utterly pure. (*The Holy Prophet’s household.) - [Ahzab 33:33] ..... হে নবী পরিবার, আল্লাহর একমাত্র ইচ্ছা তোমাদের থেকে সকল অপবিত্রতা দূরীভূত করা এবং পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে তোমাদেরকে অতি পূত পবিত্র করা। (সূরা: আহযাব; আয়াত-৩৩) আর আহলে বাইত কারা? সকল আওলাদে রসূলগণই কি আহলে বাইত? না সকল আওলাদে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহলে বাইত নন অর্থাৎ নবীজির পরিবারের অর্ন্তভুক্ত নন। কারণ আওলাদে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাদেরকে বলা হবে তার অনেক ব্যাখা রয়েছে। তবে কোন আওলাদে রাসূলের আকীদা ও আমল ঠিক থাকলে আমরা ওনাদের ভালবাসবো। এবার জেনে নিন কারা নবীজির আহলে বাইত অর্থাৎ নবীজির পরিবারের অর্ন্তভুক্ত। নবীজি তাঁর উভয় হাঁটু মোবারকের একপাশে হযরত ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে ও অপর পাশে হযরত ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে বসিয়ে সামনে বসালেন হযরত মা ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহাকে ও পিছনে বসালেন হযরত মাওলা আলী মুশকিল কোশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে। অতঃপর চাদরমুবারক দিয়ে সবাইকে ঢেকে সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াত পাঠ করেন এবং বলেন- ‘হে আল্লাহ! এরাই আমার আহলে বাইত’ – (বুখারী শরীফ)। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজকাল যে কেউ নিজেকে আহলে বাইত এবং আওলাদে রাসূল দাবী করছে। ফতোয়া আজিজিতে ইমাম হযরত আব্দুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন আশুরার দিনে যা কিছু ফাতিহা দেওয়া হয় তা সাধারণ খাবার থাকে না বরং তা তাবারুক হয়ে যায় এবং তা খাওয়া অতি উত্তম। অথচ ওহাবীদের অর্থাৎ হেফাজতে ইসলামীর আকিদা হল খাবার সামনে নিয়ে ফাতিহা করা হিন্দুদের বেদ পূজা ও ভাত পূজার মতো। আশুরার দিনে ফাতিহা সর্বপ্রথম দিয়েছিলেন আমাদের দ্বিতীয় পিতা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম। বিশ্বব্যাপী মহা প্লাবন থেকে হযরত নূহ আলাইহিস সালামের জাহাজ রক্ষা পেয়েছিলো আশুরার দিনে। তিনি জাহাজ থেকে নেমে ফাতিহা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু প্রায় আশি জনের কাছে অল্প পরিমাণ সাত প্রকারের দানা যেমন ছোলা, মটর, মুগ ইত্যাদি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাইনি। তাই আমরাও এই সাতপ্রকারের দানা দিয়ে ফাতিহা দিয়ে থাকি আশুরার দিনে। তাই সাতপ্রকারের দানা বিক্রি করাও সুন্নাত। যেমন মিশকাত শরীফে রয়েছে- যে কেউ আশুরার দিনে নিজ পরিবারের জন্য উদারভাবে ব্যয় করবে অর্থাৎ ভাল খাবারের আয়োজন করে ফাতিহা দিবে আল্লাহ পাক তাকে সারাবছর স্বচ্ছল রাখবেন। এই হাদিসের রাবী হযরত সুফিয়ান রাদ্বিয়াল্লাহ তা’আনহু ওনার জীবনের ৭০ বছর পর্যন্ত এই হাদিস শরীফের উপর আমল করে স্বচ্ছলতার প্রমাণ পেয়েছেন। বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর লিখিত ‘আল গুনইয়া লিল তারিখ আল হক’ এর তৃতীয় খন্ডে নিম্নোক্ত হাদীস শরীফটিও রয়েছে- If anyone uses his wealth to treat his dependents (family) with special generosity on the Day of Ashura, Allah will treat that person with special generosity throughout the rest of that year. - Al-Ghunya li-Talibi Tariq al-Haqq-Volume Three by Shaikh ‘Abdul Al-Qadir Al- Jilani Radillahu Ta’ala Anhu. কিন্তু আফসোস আমরা অনেকে ফাতিহাও দিচ্ছি আবার বাতিল দল-উপদলের সাথে সম্পর্কও রাখছি। ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু কারবালার ময়দানে সিজদা দিয়ে আল্লাহর কাছে বলেছিলেন যারা কিয়ামত পর্যন্ত আমাকে ও আমার পরিবারবর্গকে স্মরণ করবে তাদেরকে হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমা করুন এবং তাদেরকে কবুল করুন। অথচ তাবলীগ জামাআতের গুরু রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী তার ফতোয়ায়ে রশিদিয়াতে বলেছে আশুরার দিনে ইমাম হুসাইন ও তাঁর পরিবারকে স্মরণ করা বিদআত, নাযায়েজ। এমন বাতিল দলও রয়েছে যারা ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলে এবং ইয়াজিদের প্রশংসা করে বলে ইয়াজিদ হক ছিলো। একজন মুসলমানের সব আমল নির্ভর করে তার বিশ্বাস অর্থাৎ আকীদার উপর। আমরা যতক্ষণ নিজেদের সুবিধাবাদী মনোভাব ত্যাগ করে আকীদ্বা ঠিক করবো না ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কোন রক্ষা নেই। হযরত ইমাম হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহ তা’আলা আনহুর তাবুতেও আযান ও নামায হয়েছিলো অপরদিকে ইয়াজিদ বাহিনীও আযান দিয়েছিলো ও নামায পড়েছিলো। তাদের মুখেও দাড়ি ও মাথায় পাগড়ী ছিলো। এখন আপনি কোন পক্ষে যাবেন? তাই মুখে দাড়ি ও মাথায় পাগড়ী ও সুন্দর চেহেরা ও মোটাসোটা স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি দেখলেই আপনি তাকে সত্যিকার মুসলামন বলতে পারেন না যতক্ষণ তাঁর আকীদা–বিশ্বাস ঠিক দেখবেন না। পরিশেষে বলতে চাই, আমাদের এ ধরনের মাহফিলের পিছনে একটাই উদ্দেশ্য তা হচ্ছে আহলে বাইতের প্রতি ভালবাসা সৃষ্টি ও আওলাদে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ভালবাসার সম্পর্ক তৈরি করা। হে আল্লাহ! যা আমরা হুজুর কেবলার মুখে আপনার ও আপনার হাবীবের কথা শুনি তার উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন। ★আশুরার দিনে তাযিয়া মিছিল করা, ঘোড়া দৌড়ানো, নিজের শরীর নিজে রক্তাত করার কোন ভিত্তি নেই। এগুলো শিয়াদের অতিরঞ্জিত কাজ।
Posted on: Fri, 31 Oct 2014 02:51:50 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015