বিশ্ববিদ্যালয়ে/graduation level a - TopicsExpress



          

বিশ্ববিদ্যালয়ে/graduation level a ভর্তি হবার পর, পড়াশুনার ব্যাপারে সিরিয়াস ছেলেরা প্রধানত দুই রকম। এক, আঁতেল। আঁতেল বললে লজ্জা লাগে। আঁতেল না, মেধাবী। এদের একমাত্র লক্ষ্য রেসাল্ট ভাল করা। যেভাবে হোক, ডিপার্টমেন্টে ফার্স্ট হয়ে টিচার হওয়া। যদিও শেষ পর্যন্ত ফার্স্ট একজনই হয়। এদের ধ্যান ধারণা জ্ঞান সব পড়াশুনার প্রতি। জাগতিক কিছুর প্রতি এদের বিন্দু মাত্র আগ্রহ নেই। যদি কখনও হরতালের কারণেও ক্লাস না হয়, তবুও সে কমপক্ষে ১০ জনকে জিজ্ঞেস করে ব্যাপারটা নিশ্চিত হয়ে নিবে। এর মধ্যে পাঁচ জনকে জিজ্ঞেস করবে, দোস্ত, সত্যি হরতাল দিছে তো? আর পাঁচ জনের কাছে জানতে চাইবে, সত্যি ক্লাস হবে না তো? নাকি আবার স্যাররা ক্লাসে এসে এটেনডেন্স শূন্য দিয়ে চলে যাবে। এরা আগ্রহের মাত্রা ধরে রাখতে না পেরে, কখনও স্যার ম্যাডামদের কাছে ফোন দেয়, ব্যাপারটা নিশ্চিত হবার জন্য। যদিও এদের তৈরি শিটের উপর নির্ভরশীল হয়েই, পরীক্ষার আগের রাতের পাবলিকরা কোন মতে পাড় পেয়ে যায়। আর এক হল, সমবয়সী মেয়ের সাথে প্রেম করা প্রেমিক সমাজ। এদের বড় তাড়াহুড়া। কখন প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যায়। তাই দ্রুত বের হবে পাস করে, বের হয়েই প্রেমিকাকে বিয়ে করে ফেলবে। পড়াশুনা করুক বা না করুক, পরীক্ষা দেবার বেলায় এদের সবার আগে পাওয়া যায়। পারলে এরা চার বছরের কোর্স, দুই বছরেই সাবাড় করে। সামগ্রিক আনন্দ, আড্ডা, ফুর্তি থেকে এরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে। সে সময়টা বরং তারা ফোনে প্রেম আলাপে কাঁটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কোন মতে একটা ক্লাস না হলেই সবার আগে তাদের অভিযোগ, শুধু শুধু ক্লাসটা মিস দিলি। পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে। একটা পরীক্ষা পিছালেই এদের অনুযোগ, চার বছরের কোর্স ৮ বছরে শেষ করতে চাস তোরা? আমি একাই পরীক্ষা দিব। যদিও প্রেমিকার কারণে এসব করে, তবুও তারা এসব স্বীকার করতে নারাজ। তাদের কথা, বাবা মা এখানে পড়াশুনা করতে পাঠাইছে। ফাঁকিবাজি করতে না। যদিও তার উত্তরে বলাই যায়, বাবা মা কি প্রেম করতেও পাঠাইছে? আর এক দল সিরিয়াস আছে। প্রচণ্ড সিরিয়াস পড়াশুনার ব্যাপারে। তবে এদের টেবিল খুঁজলে কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিট, বই, বা খাতা পাওয়া যাবে না। বরং তাদের টেবিল ভর্তি থাকে, নিচের ক্লাসের গণিত বই, রসায়নের ছেড়া বই, কিংবা নতুন কিনে আনা পদার্থ বিজ্ঞান বই। এরা তাই নিয়ে সারাদিন গবেষণা করে। আর সেই গবেষণার ফল স্বরূপ কিছু টাকা পয়সা পায়। এরা বরং ক্লাস না হলে, একটা দিন বন্ধ পেলে খুশিই হয়। যাক টিউশনিটা করানো যাবে, কোচিং এ এক্সট্রা ক্লাস নেয়া যাবে। সর্বশেষে সবচেয়ে বড় সিরিয়াস ছাত্র সমাজ। যারা সারা বছর ঘুরে ফিরে, পরীক্ষার আগের দিন শিট ফটোকপির দোকানে ভিড় জমায়। আর এক রাতের সিরিয়াস ব্যাপার স্যাপারে, খাওয়া নাওয়া ভুলে পাস করার জন্য এক রাত বিশাল যুদ্ধ করে বেড়ায়। ( আমি অবশ্য শেষ দলে পড়ি ) Courtesy by শেষ রাতের আঁধার
Posted on: Thu, 30 Oct 2014 12:31:11 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015