মাইজভান্ডার দরবার শরীফে - TopicsExpress



          

মাইজভান্ডার দরবার শরীফে গাউছুল আজম মাইজভান্ডারী (কঃ) এর রূহানী উত্তরাধীকারী বা সাজ্জাদানশীলঃ হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ) ওফাতের পূর্বে তার প্রিয় নাতি হযরত সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (রহঃ) কে মাইজভান্ডারী (কঃ) তার দরবারের আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকার নির্ধারনের সময় যে কালাম করেন তা প্রনিধানযোগ্য। তিনি বলেন, “আমার ‘দেলাময়না’ বালেগ! দেলাময়নাই আমার গদিতে বসবে”। স্বর্তব্য যে, হযরত কেবলা তার নাতি হযরত সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (রহঃ) কে আদর করে ‘দেলা ময়না’ ‘দাদা ময়না’ বলতেন। হযরত সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (রহঃ) তার উপর অর্পিত এই গাউছিয়ত ক্ষমতায় সাজ্জাদানশীন সাব্যস্ত হয়ে মাইজভান্ডারী পরিমন্ডলে আবির্ভূত হয়েছিলেন ব্যতিক্রমধর্মী মানবদরদী এক নতুন স্বত্তা নিয়ে।সব্যসাচীর মতো যুগপৎভাবে রূহানি হেদায়ত আর মানবতার কল্যানে নিয়জিত অছি-এ-গাউছুল আজম স্থাপন করেছিলেন আর্ত-মানবতার সেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। মাইজভান্ডার দরবার শরীফে বর্তমান সাজ্জাদানশীলঃ খেলাফত প্রদানপূর্বক সাজ্জাদানশীল মণোয়নের মাধ্যমে গাউছিয়ত জারি রাখার নিয়মের অনুসরনে হযরত শাহ সুফী সৈয়দ দেলাওর হোসাইন মাইজভান্ডারী (রহঃ) তার জীবিতাবস্থায় তদীয় তৃতীয় পুত্র হযরত শাহ সুফী সৈয়দ এমদাদুল হককে (মঃ) নিজ গদীর উত্তরাধিকারী ও দরবারে গাউছুল আজমের সাজ্জাদানশীল সাব্যস্ত করে যান। তিনি শাহ সুফী সৈয়দ এমদাদুল হক (মঃ) কে সাজ্জাদানশীনের দায়িত্ব অর্পনের বিষয়টি ১৯৭৪ সনে জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও তার লিখিত ‘মানব সভ্যতা’ নামক বইয়ের ভুমিকাংশে উল্লেখের মাধ্যমে প্রামান্যকরন করেন। তিনি জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “সৈয়দ এমদাদুল হক হানফী মজহাব সুন্নতে এজমা বিধি ফতোয়া মতে আমার মনোনীত সাজ্জাদানশীন সাব্যস্ত। এতদ্বসংগে আমি ঘোষনা করিতেছি যে, আমার অবর্তমানে হযরতের হুজুরা শরিফে আমার গদীর উত্তরাধীকারী বর্তমান নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ এমদাদুল হককে আমি মনোনীত করে আমার স্থলাভিষিক্ত করিলাম। শিক্ষা দীক্ষা শজরা দান এবং ফতুহাত নিয়ন্ত্রন অধিকার সম্পন্ন, এই গাউছিয়ত জারী-সফলতাদানকারী সাব্যস্ত করিলাম।” “মানব সভ্যতা” বইয়ের ভুমিকাংশে তিনি উল্লেখ করেন, “অত্র বইটি আমার জীবন সায়াহ্নে ছাপাইয়া যাইতে পারিব কিনা ভবিতব্য খোদাই তাহা ভালো জানেন। তাই বইটি ছাপাইবার জন্য আমাদের প্রচলিত “আঞ্জুমানে মোত্তাবেয়ীনে গাউছে মাইজভান্ডারী” সমাজ-সংস্কার ও নৈতিক উন্নয়ন মূলক সমাজ সংগঠক পদ্ধতির সফলতার উদ্দেশ্যে হানেফী মজহাব এজমা ফতোয়ার ভিত্তিতে আমি যেইভাবে কামেল অলীউল্লাহর নির্দেশিত উত্তরাধিকারী গদীর সাজ্জাদানশীন সাব্যস্ত তদমতে আমার ছেলেদের মধ্যে যোগ্যতম ব্যক্তি সৈয়দ এমদাদুল হক মিঞাকে “সাজ্জাদানশীন” মনোনীত করিবার পর এই গ্রন্থটি তাহার হস্তে অর্পন করিলাম।” (মানব সভ্যতা, ভুমিকাংশ) এই প্রেক্ষিতে মাইজভান্ডার দরবার শরীফে গাউছুল আজম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (মঃ) একমাত্র খেলাফতপ্রাপ্ত পীরে তরিকত ও হযরত কেবলার গদীর আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকারী তথা সাজ্জাদানশীন। অত্যন্ত নির্বিলাস জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হযরত শাহ সূফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভান্ডারী (মঃ) হযরত কেবলার গাউছিয়ত ক্ষমতায় বলীয়ান হয়ে অদ্যাবদী আধ্যাত্মিক ও জাগতিক খেদমতের আনজাম দিয়ে যাচ্ছেন। খেলাফতপ্রাপ্ত সাজ্জাদানশীনদের মাধ্যমে হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী (কঃ)এর ত্রান-কর্তৃত্ব বা গাউছিয়তের ধারা অনাদিকাল পর্যন্ত জারি থাকবে। ইনশাল্লাহ।।
Posted on: Tue, 17 Sep 2013 17:22:20 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015