মেয়েটা একটু আগেও সিগারেট টানছিলো। এত স্টাইল করে আমি কোনো ছেলেকেও সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে দেখিনি। দৃশ্যটা দেখে অস্বস্তি লাগছিল কেন অস্বস্তি লাগছিলো ভাবছি। সিগারেট খাওয়াতো এই মেয়ের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানে অস্বস্তি লাগার কি আছে? ভাবলাম আমরা সচরাচর এই দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত নাতো- তাই বোধহয় এই অস্বস্তি। মেয়েটা যে বাইকে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়েছিলো তার পাশ দিয়ে আরেক মেয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো। হেঁটে যাওয়া মেয়ে এবং আমাকে করে দিয়ে সে হঠাত গান গেয়ে উঠলো- ‘হেই চুমকি চলেছে একা পথে !’ মেয়েটা দাঁড়িয়ে পড়লো। রেগেমেগে বললো- ‘এই মেয়ে তোমার লজ্জা নাই? মেয়ে হয়ে একটা মেয়েকে টিজ করো?’ ‘আমি কি কারও নাম নিছি?’ এইসময় মেয়ের বাইকওয়ালা বয়ফ্রেন্ড ইন্টারফেয়ার করলো, ‘এক্সকিউজ মি আপু! আপনার নাম নিয়ে কিছু বলা হয়নাই। সো বাগার অফ’ মেয়ে চলে গেলো। পেছনে ঐ মেয়ে, বাইকওয়ালা এবং তাদের কিছু ফ্রেন্ড মিলে গান ধরলো- ‘হেই চুমকি চলেছে একা পথে !’ অস্বস্তি লাগছে। আমরা সচরাচর এই দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত না- তাই এই অস্বস্তি। আমি আবার হাতির ঝিলের সৌন্দর্য্য উপভোগে মনোযোগ দিলাম।রাতের বেলা নানা রং এর খেলায় অপার্থিব একটা পরিবেশ তৈরী হয় এখানে। মন ভালোকরা একটা বাতাস দিচ্ছে। যানজটপূর্ণ ব্যস্ত শহরের ভেতর এত সুন্দর যায়গা দেখে আমরা অভ্যস্ত নই। তবে এই অনভ্যস্ততায় কেন যেনো কোনো অস্বস্তি নেই! #copy
Posted on: Thu, 06 Nov 2014 13:24:20 +0000
Trending Topics
Recently Viewed Topics
© 2015