মনযোগ দিয়ে পড়ুন : আপনি - TopicsExpress



          

মনযোগ দিয়ে পড়ুন : আপনি আওয়ামী লীগ বা বি এন পি যেটাই সাপোর্ট করেন আফটার অল আপনি একজন মানুষ । মানবতা বলতে কিছু একটা আছে আপনার ভিতর । পুলিশরা কি মানুষ নাকি কি ? রিমান্ড নির্যাতন বা টর্চারের কিছু বিবরণ:- কারাগার থেকে বলছি পুরুষাঙ্গের সাথে তিন কেজির পাথর ঝুলিয়ে দিয়েছে- এমন একজন রাজশাহী নিবাসী একজন ব্যবসায়ী বন্দী আমি দেখেছি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। একই বন্দীকে ডিবি কার্যালয়ে দুই চোখে আঙ্গুল দিয়ে সজোরে খোজা মেরেছে। ঘটনার এক মাস পর দেখেছি তার এক চোখের অর্ধেকটা জুড়েই লাল রক্তের থোকা জমাট বাধা আছে।এমন বন্দীও দেখেছি, যার পুরুষাঙ্গের সাথে বিদ্যুতের ক্লিপ লাগিয়ে দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেয়া হয়েছে। উলঙ্গ করে দশজন মানুষের সামনে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আলেম ও দ্বীনদার মানুষকে। পায়খানার রাস্তা দিয়ে একের পর এক গরম ডিম বা ঠান্ডা বরফ ঢুকিয়ে দিয়েছে।এমন বন্দীও দেখেছি, হাত-পায়ের সমস্ত নখগুলোকে প্লাস দিয়ে টেনে টেনে তলে নিয়েছে। হাতের আঙ্গুলের ভিতর পিন ঢুকিয়ে দিয়েছে অতঃপর সেই পিনের মাথায় অনবরত আঘাত করেছে বা গ্যাস লাইটে আগুন ধরিয়ে পিনের মাথায় উত্তাপ দিয়েছে এতে আঙ্গুলের মধ্যে ঢুকানো সম্পূর্ণ পিন গরম হয়ে আঙ্গুলের মাথা পুড়ে কালো হয়ে গেছে।দুই হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে শূন্যে ঝুলিয়ে রেখেছে বা দু পা উপরে দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে ঘন্টার পর ঘন্টা।বন্দীর সামনে তার স্ত্রীকে, বোনকে বা মাকে এনে উলঙ্গ করে ফেলেছে। এমন বন্দীও আছে যার স্ত্রীকে এনে উপর্যুপরি ধর্ষণ করেছে। ষোল বার ধর্ষণ করা হয়েছে একজনের স্ত্রীকে এমন ঘটনাও ঘটেছে।ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী আঠারো-বিশ বছরের একটি ছেলেকে দেখেছি তাকে উপুড় করে ফেলে পিঠের উপর গাড়া দিয়ে দুই হাত পেছন দিকে মুড়ে উভয় হাতের হাড্ডি ভেঙ্গে ফেলেছে। দু হাত ব্যান্ডেজ করা ছেলেটিকে দেখলে চোখের পানি সংবরণ করা কঠিন। ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে দেখেছি রিমান্ডের নির্যাতনে কোমর থেকে নিচের দিকে অচল হয়ে আছে।এমন বন্দীও দেখেছি, মাসের পর মাস হ্যান্ডকাপ পরিয়ে রেখেছে পিঠের পেছন দিকে হাত মুড়িয়ে। টানা ৩৬ দিন হ্যান্ডকাপ পরিয়ে হাত উচু করে বেধে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। কাসিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে চন্দ্রার পঞ্চম তলায় পূর্ব ব্লক যেখানে আমি আছি, এখানেই একজন বন্দী আমাদের সাথে আমার পাশের রুমেই থাকেন। জুয়েল ভাই। পুরো নাম শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল। নারায়নগঞ্জের আলোচিত ডেভিড নামে খ্যাত মমিন উল্লাহর ছোট ভাই তিনি। স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সাথ জড়িত ছিলেন। গ্রেফতার হয়েছেন ১৯৯৭ সালে। গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে টর্চার করা হয়। ২০০৮ সালে র্যাোবের টর্চার সেলে তার উপর টর্চার করে টিএফআই নামক যৌথ বাহিনীর টিম। টর্চারের এক পর্যায়ে গলায় পাড়া দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ হওয়ার উপক্রম করে। জুয়েল ভাই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যাননি। কিন্তু শ্বাসরুদ্ধ না হলেও তিনি বাকরুদ্ধ হয়ে আছেন আজ পাঁচ বছর যাবত। বিএনপি’র গ্রুপিং্যের শিকার হয়ে গ্রেফতার হওয়া তরতাজা যুবক জুয়েল ভাইয়ের বাকরুদ্ধ বোবা অবস্থা দেখলে দুঃখ হয় তার জন্য। আর মনের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি করে একটি প্রশ্ন- এভাবে আর কত মায়ের ছেলে শিকার হবে এমন রিমান্ড নির্যাতনের? মিরপুর থানায় ৭২ বছর বয়সী একজন মসজিদের ইমামকে হেফাজতের মামলায় দুই হাত বেধে দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত উপর্যুপরি লাঠির আঘাত করেছে। আঘাতের কারণে হাত ফুলে পচন ধরে গিয়েছে। এমন ভয়ংকর সব টর্চার চালানো হয় রিমান্ডে। আসুন বজ্রকন্ঠে শ্লোগান তুলি- এই সরকার অবৈধ, এই সরকার মানিনা এই সরকার ইন্ডয়ান, এই সরকার মানিনা এই সরকার নাস্তিক, এই সরকার মানিনা এই সরকার গণধর্ষক, এই সরকার মানিনা এই সরকার দুর্নীতিবাজ, এই সরাকার মানিনা এই সরকার খোদাদ্রোহী, এই সরকার মানিনা এই সরকার ঈহুদী প্রেমিক, এই সরকার মানিনা এই সরকার সরকার নয়, এই সরকার মানিনা। লড়াই লড়াই লড়াই চাই, নাস্তিকদের ফাঁসী চাই বাঁশের লাঠি হাতে নিন, হাসিনা কে বিদায় দিন ফাটা জুতা হাতে নিন, হাসিনা কে বিদায় দিন ধামা কুড়াল হাতে নিন, নাস্তিকদের কবর দিন চারিদিকে ঘেরাও কর, নাস্তিকদের দে কবর দে শাহবাগীদের আস্তানা, যে দিকে পাস দে হানা নাস্তিকের আস্তানা, বাংলাদেশে হবে না । >> এখন আপনি বলুন : পুলিশরা কি মানুষ ?
Posted on: Tue, 05 Nov 2013 10:24:25 +0000

Trending Topics




Okay somebody just annoyed with a very stupid post, is presidency

© 2015