‘যা আমরা পারি না তুমি কেন - TopicsExpress



          

‘যা আমরা পারি না তুমি কেন পারবে?’ -- বাঙালী জাতের ইতিকথা। ====================== ডঃ টি.সি. আনন্দ কুমারের উদ্যোগে ডঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায় ভারবর্ষে স্বীকৃতি পান। এবং সর্বোপরি ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন প্রকাশিত মেডিক্যাল ‘ডিক্সেনারী অফ মেডিক্যাল বায়গ্রাফি’ প্রকাশিত বইতে পৃথিবীর ১০০ দেশের ১১০০ মেডিক্যাল সায়েন্টিস্টের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে, যারা এই বিঞ্জানে নতুন পথের দিশা দেখিয়েছেন। ভারতের মাত্র তিন জনের নাম এই তালিকায় আছে — ১) স্যার রোনাল্ড রস ২) উ. এন. ব্রহ্মচারী ৩) ডঃ সুভাষ মুখার্জী। ==================== ১৯৭৮ সাল, পশ্চিমবঙ্গে তখন প্রগতিশীল বামফ্রন্ট সরকার। তাও একজন বিঞ্জানীর এই পরিনতি কেন? কি করেছিল বামফ্রন্ট সরকার? ১৮ই নভেম্বর ১৯৭৮ সরকার মেডিক্যাল এস্যোসিয়েশনের অধীনে একটা বিশেষঞ্জ কমিটি করে দেয়। তারা বিচার করবে যে টেস্ট টিউব বেবী সত্যিই তিনি করতে পেরেছেন কি না? Expart committee এর শীর্ষে ছিল Radio physicist এবং সদস্যদের মধ্যে ছিল একজন gynecologist, একজন psychologist, একজন physicist এবং একজন neurologist। এই সদস্যদের আধুনিক রিপ্রডাক্টিভ টেকনোলজি সমন্ধে ধারনা ছিল না। অথচ এদের নিয়ে গড়া হল কমিটি এবং এদের রায়ে নির্ধারিত হল এক গবেষকের ভাগ্য।কমিটির গঠন এবং প্রশ্নাবলী থেকে এটা স্পষ্ট যে ওনার ঈর্ষান্বিত সহকর্মীদের উদ্দেশ্যই ছিল ওনাকে হেনস্থা করা। ‘যা আমরা পারি না তুমি কেন পারবে?’ এই মনোভাব দ্বারা মেডিক্যাল এস্যোসিয়েশন তথা তাঁর সহকর্মীরা চালিত হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন সরকারও কেন ওদের কথায় প্রভাবিত হলো? কেন এক প্রতিভাকে ঈর্ষার আগুন থেকে রক্ষা করতে পারলো না। কেন তাকে ‘চক্ষু বিভাগে’ বদলী করে গবেষণার সূযোগ বন্ধ করে দিল, মানসিক নির্যাতন করলো? এক্ষেত্রে কি সরকারও প্রতিভার থেকে আনুগত্যকেই বেশী গুরুত্বপূর্ন মনে করেছে? =======================
Posted on: Mon, 24 Jun 2013 05:01:50 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015