|| যথোপযুক্ত ও সময়োপযোগী - TopicsExpress



          

|| যথোপযুক্ত ও সময়োপযোগী লেখা। বড় হলেও মন দিয়ে পড়ুন|| প্রতিমা, মূর্তি, ভাস্কর্য এবং পৃথিবীর দীর্ঘতম ত্যানাপ্যাঁচানি . ভাস্কর্য- ইস্যুটা নিয়ে যে তর্ক- কুতর্ক-বিতর্ক চলে আসছে সেটা দৈর্ঘে প্রস্থে শাবিপ্রবির এক কিলোতে করা পৃথিবীর দীর্ঘতম আলপনাকেও হার মানিয়েছে। ক্যাম্পাসের টং এর মামা, এক কিলোতে চলা অটোরিক্সা ড্রাইভার, ভার্সিটি গেটের মুদিদোকানদাররা যে উদ্ভটকথাগুলো বলে সেই একই কথাগুলো বলে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাঙ্গনের কিছু কিছু শিক্ষার্থী। অবাক হতে হয় যখন ঐতিহ্যমন্ডিত সংস্কৃতিমনা সিলেটের বাসিন্দা অনেক শিক্ষিত ব্যক্তির মুখ থেকেও আজব কথা শুনতে হয়। আজব কথাগুলোর খোঁয়াড় হচ্ছে রাজনৈতিক কিছু গুজব ছড়ানো মানুষ; এরা প্রতি নিয়ত বিভ্রান্ত করছে সাধারন মানুষকে। একটা মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য কোন দেবদেবীর মুর্তি নয়, এটা একটা দেশের সার্বভৌমতার রূপকল্প। এটা একটা স্থাপত্যকর্ম, যা অতীতের গৌরবকে প্রতিদিন মনে করিয়ে দেবে। একটা মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য নিয়ে রাজনীতির খেলা এত বিচিত্র হতে পারে ধারনা ছিলো না। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছিলো ১৯৯৭ সালে। তখন এ নিয়ে খুব সমালোচনা উঠেনি। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বাংলাদেশের কৃতিসন্তান মরহুম হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী; শুধু সিলেটের কৃতি সন্তান বললে উনাকে ছোট করে দেখা হয়। মুক্তিযুদ্ধর কথা শুনলে যাদের গায়ে জ্বর চলে আসে, শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে যারা নাম দিয়েছিলো জাহান্নামের ইমাম- তারা তাদের ধর্ম নিয়ে রাজনীতির একটা অস্ত্র বানিয়েছে এই ভাস্কর্যকে। পরবর্তীতে অবশ্য ভোটের রাজনীতির মারপ্যাঁচে আবার আটকে গেছে এই উদ্যোগ! কাকে দোষ দিবো? কার কাছে দাবি নিয়ে যাবো? সংবিধান অনুসারে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সার্বভৌম। উপাচার্যর পদমর্যাদা জেলা পরিষদ কমিশনারের সমতুল্য। কিন্তু শাবিপ্রবির একাডেমিক বিল্ডিং, ছাত্রছাত্রী হোস্টেল এবং মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য নিয়ে মৌলবাদি গোষ্ঠির প্রতিক্রিয়াশীলতার যে উদাহরণ গত কয়েক দশকে আমরা দেখে এসেছি এমনটা সারা বাংলাদেশে কোথাও নেই। এমনটি ছিলো না এমনও নয়; এমনটি হয় নি, হবে না, হওয়া সম্ভব না। তবুও ক্ষীণ আশা- যে আশা আমাদেরকে দেখিয়েছিলেন সবার চেনা সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা। জানি, বাংলাদেশের আর দশটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত আমাদের প্রাঙ্গণে একটা ভাস্কর্যর জন্য প্রিয় শিক্ষকদের আর্তি আমাদের থেকে কোনো অংশেই কম নয়। যদি সত্যিই এই আর্তিটুকু থেকেই থাকে মনে তাহলে শুধু শুধু ছেলেমেয়েগুলোকে ব্যর্থ স্বপ্ন দেখানোর কি প্রয়োজন ছিলো? গোলচত্তরের ন্যাংটো বেদিটা অশ্লীল দেখায়। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থিরা যখন জিজ্ঞেসা করে ওটা অমন ক্যানো, তখন মাথা হেট হয়ে আসে। সুরমা নদীতে অনেক পানি গড়িয়েছে, সময় এসেছে সময়ের দায় পূরনের। পৃথিবীর দীর্ঘতম ত্যানাপ্যাঁচানি শিরোনামটা উদ্দেশ্যমুলকভাবে দেওয়া। ১৯৯৭ সাল থেকে এতগুলো বছর কেটে গেছে, পুরোনো ত্যানা ছিঁড়ে গিয়ে নতুন ত্যানা যোগ হয়েছে। যারা প্যাঁচানোর তারা পেঁচিয়েই যাচ্ছে। লিখাটা লিখেছি শুন্য বেদিটাতে ভাস্কর্যটা কেনো দেখতে চাই সেটা নিয়ে। কাউকে আঘাত দেওয়া উদ্দেশ্য না; যুক্তি দেখিয়েছি, কেঁচি দিয়ে ত্যানা ছিড়েছি। বিভিন্ন ফ্লেভারের ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের কথা শোনা যায়ঃ ত্যানা ১: প্রতিমা, মূর্তি, ভাস্কর্য সব একই জিনিস। কেঁচি ১: তিনটা শব্দের তিন রকম অর্থ। ডিকশনারি বের করে দেখলে ভালো ভাবে জেনে নেয়া যায়। বাংলা ভাষাতত্ত্ববিদরা কোনো রকম দ্বিধা রাখতে চান নি। প্রতিমা 1 প্রতিমূর্তি, প্রতিকৃতি; 2 ঈশ্বরের কোনো রূপের সাদৃশ্যকল্পনায় গঠিত বা নির্মিত দেবমূর্তি; 3 বিগ্রহ, মূর্তরূপ (সৌন্দর্যের প্রতিমা)। মূর্তি 1 দেহ, শরীর (মূর্তিমান); 2 আকৃতি, চেহারা, রূপ (সৌম্যমূর্তি) ভাস্কর্য ধাতু পাথর প্রভৃতি দিয়ে মূর্তি নির্মাণের শিল্প। এক ধরনের শিল্পকলাবিশেষ। এটিকে অবশ্যই ত্রি-মাত্রিক হতে হবে। জ্যামিতিশাস্ত্রের ঘণকের ন্যায় ভাস্কর্যের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং গভীরতা থাকতে হবে। ভাস্কর্য বা Sculpture পৃথিবীর সব মুসলিম দেশেই আছে। রুচিশীল মানুষ মাত্রই শিল্পকলার সমাদর জানে। এমনকি সৌদি আরবেও বিখ্যাত এবং বিশালাকৃতি বেশ কয়েকটি ভাস্কর্য আছে। ত্যানা ২: ভাস্কর্য হলো অপচয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা পয়সা খরচ করে নতুন বাস কিনলেই পারে। কেঁচি ২: কুরবানির সময় বাজার থেকে সামর্থের মধ্যে সবচেয়ে মোটাতাজা গরুটা কেনার ঝোঁক থাকে সবার। কিন্তু নবী বলে গেছেন সবচেয়ে সুন্দর পশুটাকে কোরবানি দিতে। ঈদের দিনও দেশে এখনো আধপেটা মানুষ থাকে। ছেঁড়া কাপড় পরে পিচ্চি ছেলেপেলে ভিক্ষা চাইতে আসে। আমরা কেউ কি নিজের দামি কাপড় চোপড় খুলে ওদের পড়িয়ে দেই? মহানবী (সা) নিজে সামর্থ থাকার পরও কুড়েঘরে থেকেছেন, মলিন কাপড়চোপড় পড়েছেন। শিরক নিয়ে এত ভয়, কিন্তু নবীর আদর্শ ব্যক্তিগত ভাবে মানতে এত দ্বিধা কেনো? এটাতো ভয়ংকর দ্বিমুখিতা। মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্যকে টাকার অংকে দেখার মত বড় স্থুল চিন্তাভাবনা আর কিছু হতে পারে না। অমন হলে আমি তো বলবো এই টাকায় এক কিলোর পাশে লেকে বানিজ্যিক ভিত্তিতে মাছ চাষ করতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা আয়ের উৎস থাকবে, আমরা যারা ঘরের খেয়ে ভাস্কর্য নিয়ে আন্দোলন করি তারা ওখানে ফ্রি গতর খাটবো। সেই টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নতুন টাচ কম্পিউটার স্থাপন হবে, গাড়িতে ভাঙ্গা কাঁচে নতুন কাঁচ লাগবে; শিবিরের ভাইবেরাদররা ওগুলো আবার গুড়োগুড়ো করে ভাঙ্গবে! নোয়াম চমেস্কির অর্ধ শতাব্দি আগে লেখা কয়েকটা লাইন না শেয়ার না করলেই নয়- I suspect that little can be achieved of real substance along these lines. Formal changes in the university structure will have little effect on what a student does with his life, or on the relation of the university to the society. To the extent that reform does not reach the heart of the university the content of the curriculum, the interaction between student and teacher, the nature of research, and, in some elds, the practice that relates to theory| it will remain supercritical. But it is doubtful that these matters will be significant acted by the kinds of structural reforms that are now being actively debated on many campuses. It is pointless to discuss the “function of the university in abstraction from concrete historical circumstances, as it would be a waste of e fort to study any other social institution in this way. In a different society entirely different questions might arise as to the function of the university and the problems that are pressing. To one who believes, as I do, that our society must undergo drastic changes if civilization is to advance, perhaps even to survive university reform will appear an insignificative matter except in so far as it contributes to social change. Apart from this question, improvements in the university can no doubt take place within the framework of the presently existing institutional forms, and drastic revision of these forms will contribute little to it. (The Function of the University in a Time of Crisis by Noam Chomsky) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চান নাকি শাহজালাল (রহ) আদর্শ ক্যাডেট মাদ্রাসা চান সেটা নিজেরা আগে ঠিক করুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব শব্দটাকে ব্যাঙের কুয়ো ভাববেন না প্লিজ। ত্যানা ৩: ভাস্কর্য মানেই শিরক। ভাস্কর্য স্থাপন মানে মূর্তিপূজা সমর্থন। কেঁচি ৩: একটা মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য স্থাপনের সাথে মূর্তিপূজার সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যথেষ্ট কঠিন কাজ। গুগলে সার্চ করলে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রত্যেক দেশেই ভাস্কর্য খুঁজে পাবেন। ( susieofarabia.wordpress/sculptures-of- jeddah/ এর ছবিগুলো চোখ বুলাতে পারেন) সিলেট শহরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের অন্য সব জেলা থেকে ভালো। বারো মাসে তেরো পার্বণ; চৌদ্দ ওরশ!- ধর্ম যার যার উৎসব সবার কথাটা সিলেটের ক্ষেত্রে সুন্দর খাটে। যারা ধর্মকে পূঁজি করে রাজনীতি করে এবং এই ধরনের কথা বলে সাধারন মানুষকে বিভ্রান্ত করে তাদের প্রতি মনের অন্তঃস্থল থেকে ঘৃণা থাকলো। ত্যানা ৪: মুসলমানদের পুণ্যভূমি সিলেট নগরীর পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না। কেঁচি ৪: পৃথিবীর বুকে মুসলমানদের পুণ্যভূমি হলো হেজাজ (মক্কা ও মদিনা) এবং ফিলিস্তিন। মধ্যপ্রাচ্যে, পারস্য, উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন জায়গা - যেগুলো নবীদের পদধূলির স্মৃতি বিজড়িত মুসলমানদের পুণ্যভূমি। সিলেট শহরে মুসলিম ও হিন্দু জনসংখ্যার অনুপাত বাংলাদেশের অন্য জায়গা থেকে যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ন। শাহজালাল (রহঃ) ও শাহপরান (রহঃ) এর মাজার শোভিত শ্রীচৈতন্যর জন্মস্থান সিলেট অবশ্যই মুসলমানদের মত হিন্দুদের কাছেও পবিত্র। শাহজালাল (রহঃ) মাজার আছে বলে সিলেট নগরীর প্রতি দাবি মুসলমানদের একার দাবি করাটা ফিলিস্তিনে ইজরাইলিদের জোর জবরদস্তির মত অনৈতিক। ত্যানা ৫: মূর্তি স্থাপন মানে বিদায়াতি কাজ সমর্থন। কেঁচি ৫: গানবাজনা, চলচ্চিত্র, নাটক বিদায়াত। সিলেটে অনেকগুলো প্রেক্ষাগৃহ। অনেকগুলো প্রেক্ষাগৃহের বাইরে কুরুচিপূর্ণ পোস্টার শোভা পায়। সিলেটের জিন্দাবাজারে সিডি-ডিভিডির দোকানগুলোতে উচ্চস্বরে হিন্দি গান বাজে। সিলেটে শাহজালাল (রহঃ) এর দরবার শরীফের আশেপাশেই গাঁজার উৎকট গন্ধ পাওয়া যায়। শোনা যায়, বন্দর এলাকা এবং চা বাগান গুলোতে একরকম প্রকাশ্যেই মাদকদ্রব্য কেনাবেচা হয়। আজকালকার দিনে এসবের তুলনায় ভাস্কর্য স্থাপন বেদায়াত খুব হাস্যকর কথা। সিলেট শহর শিল্পসাহিত্যে দেশের অগ্রগণ্য এক নগরী। এখানে রুচিশীল সাংস্কৃতিক চর্চা হয়, কোন মৌলবাদি শক্তি কখনো ত্যানা ৬: সিলেটে কোন ভাস্কর্য কিংবা মূর্তি নাই। কেঁচি ৬: সিলেট শহরের অদূরে এয়ারপোর্ট রোডের পর্যটন পার্ক অপূর্ব সুন্দর একটি জায়গা। এখানের দৃষ্টিনন্দন মৎস কুমারির মূর্তিটি সবার দৃষ্টি আকর্ষন করে। ত্যানা ২ প্যাঁচাতে চাইলে কেউ ওটা দেখে নিবেন। ওটা কিন্তু বিশুদ্ধ মূর্তি, ভাস্কর্য নয়। ত্যানা ৭: ভাস্কর্য স্থাপন করাটা একটা হুজুগ। কয়েক দিন পর পরই হুজুগটা উঠে। কেঁচি ৭: হুজুগ তো অনেক রকমই হয়। পুরো সিলেটে মোটামুটি কয়েক বছর আগ থেকে ছেলেরা শরীরচর্চার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। হঠাৎ করে যখন সারা দেশের ছেলেপুলেরা কাঁধে গিটার ঝোলানো শুরু করলো কিংবা গলায় ডিএসএলআর ঝুলানো শুরু করলো - সেটা অবশ্যই মননবোধের বা সাংস্কৃতিক বিপ্লব ছিলো না। পুরো দেশের মত সিলেট শহরে যখন অনেকগুলো ছেলেমেয়ে সাইকেল স্কুল-কলেজ- ভার্সিটিতে আসা যাওয়া শুরু করলো, সেটাও সবুজ ধরিত্রির প্রতি রাতারাতি জেগে উঠা বাঁধভাঙ্গা ভালোবাসা থেকে আসে নি। তাহলে ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে হুট করে আমাদের মত কারো খেপে উঠাকে হুজুগ বলবেন না প্লিজ। মনের আবেগগুলি এতটা সস্তা নয়, নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান এতটা খেলো নয়। ধর্ম, কালো জাদু, বিমূর্ত শিল্প যার দোহাই দিয়েই হোক না কেন, কেউ মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে একশো একটা কুতর্ক নিয়ে আসবেন হয়ত জানি। কিন্তু ত্রিশলাখ শহীদ, চার লাখ ধর্ষিতা, এককোটি শরণার্থী- এত এত বিসর্জনের মাঝে পাওয়া স্বাধীনতাকে স্মরণ করতে গিয়ে আজ এই স্বাধীন দেশে স্বার্বভৌম শিক্ষাঙ্গনে আমাদেরকে কেন অযৌক্তিক, খেলো কিছু কথার তোয়াক্কা করে চলতে হবে? ত্যানা ৮: নারী মূর্তির ভাস্কর্য স্থাপন দৃষ্টিকটু। কেঁচি ৮: সিলেট শহরে জিন্দাবাজারের থেকে নয়াসড়ক পর্যন্ত অসংখ্য ফ্যাশন হাউজে দৃষ্টিকটু পোষাক পড়া ম্যানিকুইন ডল দেখা যায়। বাইরে থেকে স্বচ্ছ গ্লাসে পরিষ্কার দেখা যায়। সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটা পয়েন্টেই প্রত্যেক মোড়ে বিশাল আকৃতির বিলবোর্ডে বিজ্ঞাপন দেখা যায় স্বদেশী নয়ত শ্বেতাঙ্গিনী নারীদের। বিজ্ঞাপনে মডেল নারীদের উপস্থাপন করার ভঙ্গি শালীন নাকি অশালীন- সেটা অন্য বিতর্ক। নারী মূর্তির যে ভাস্কর্য শাবিপ্রবিতে স্থাপিত হবার জন্য অপেক্ষমান- সেটি একজন বর্ষিয়ান মাতৃভাস্কর্য, যিনি তার সন্তানকে আশীর্বাদ করছেন। কোনটা কতটা দৃষ্টিকটু একটু ভেবে নিন। ^^^ শেষকথা হচ্ছে, শাবিপ্রবির গোলচত্তরে ভাস্কর্য স্থাপনের দায় আমার না, আপনার না, জাফর স্যারের না- কারোই না। কিন্তু নৈতিক কর্তব্য বললে এই দায় আমাদের সবার। পাবলিক ভার্সিটিতে পড়া মানে রিকসাওয়ালা, ঝাড়ুদার থেকে শুরু করে বৃটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানির দেয়া ট্যাক্সের টাকায় পাবলিক ভার্সিটিতে পড়াশুনা করছি। দায় কাঁধে চলে আসে, নেয়া না নেওয়া নিজের অভিরুচি। আমি আমার দায় থেকে এই ব্যাপারটা নিয়ে লিখেছি, মানববন্ধনে ক্লাস মিস দিয়ে রোদে পুঁড়ে দাঁড়িয়ে থেকেছি, সাক্ষর অভিযানে ছেলেপেলেকে সাহায্য করেছি। ভাস্কর্য নিয়ে কথা বললে সবার কাছ থেকে যে হতাশার জবাব শুনতে আর ভালো লাগছে না। পারে পারে সবই পারে সাস্টিয়ান সবই পারে। -Muhammad Shahriar Majumdar ভাই।
Posted on: Mon, 17 Nov 2014 18:56:35 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015