সরকার প্রতিহিংসা - TopicsExpress



          

সরকার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো সাক্ষীর মাধ্যমে একজন জাতীয় নেতাকে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করেছে----------মোবারক হোসাইন তারিখঃ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী মোবারক হোসাইন বলেছেন, সরকার নেতৃত্বশুণ্য করে দেশকে করদরাজ্য বানানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নামে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছে। সে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে সরকার পরিকল্পিতভাবে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করেছে। কিন্তু সচেতন জনতা সরকারের এ ষড়যন্ত্র কখনোই বাস্তবায়িত হতে দেবে না বরং জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি অবিলম্বে দন্ডাদেশ বাতিল করে এ টি এম আজহারুল ইসলামসহ শীর্ষ নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন। অন্যথায় সরকারকে এজন্য চরমমূল্য দিতে হবে। তিনি আজ রাজধানীতে সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী আয়োজিত এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে একথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মিরপুর ১১ নং থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ১০ নং এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন ও মাহফুজুর রহমান, ঢাকা মহানগরীর মজলিশে শুরা সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, শেখ শরীফ উদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম ও নূরুল ইসলাম আকন্দ, জামায়াত নেতা আশরাফুল আলম, নাসির উদ্দীন, আব্দুল মতিন খান ও ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা সাইদুর রহমান সাঈদ ও ঢাকা মহানগরীর পশ্চিমের সেক্রেটারী সাঈদুর রহমান স্বপন প্রমূখ। সমাবেশের শেষ পর্যায়ে পুলিশ জনতার উপর বিনা উস্কানীতে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলী ছোড়ে। মোবারক হোসাইন বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে চরম দলন ও পীড়নের পথ বেছে নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এ টি এম আজহারুল ইসলাম উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। তার পক্ষে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত হওয়া কোন ভাবেই সম্ভব ছিল না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে দেশের কোন থানায় মামলা তো দুরের কথা বরং কোন থানায় সাধারণ ডাইরীও করা হয়নি। কিন্তু সরকার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও সাজানো সাক্ষীর মাধ্যমে একজন জাতীয় নেতাকে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করেছে। কিন্তু সচেতন জনগণ সরকারের এহেন দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র কখনোই মেনে নেবে না বরং সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তিনি অবিলম্বে প্রতিহিংসা ও হত্যার রাজনীতি পরিহার করে আমীরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীসহ শীর্ষ নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।
Posted on: Tue, 30 Dec 2014 08:49:13 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015