১-চিকিৎসা বিজ্ঞানে - TopicsExpress



          

১-চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলিমদের অবদান বিজ্ঞানের এমন কোন শাখা নেই যেখানে মুসলমানদের অবদান বা স্বাক্ষর নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞান ,রসায়ন বিজ্ঞান পদারথ বিজ্ঞান,ভুবিজ্ঞান বিজ্ঞান,দরশন এবং অন্নান্য বিজ্ঞানের শাখায়।পশ্চিমারা নিজেদের বিষয়টি এমন ভাবে তুলে ধরে যেন আধুনিক বিজ্ঞান ও সভ্যতা কেবল মাত্র তাদের কাছেই ঋনী।আধুনিক সভ্যতা রাতারাতি আজকের এ অবস্থায় উপনীত হয়নি ।সভ্যতা ও বিজ্ঞানের মশাল প্রজ্জ্বলিত হয়েছিল হাজার বছর ধরে।আধুনিকি সভ্যতা গঠনে মিশরীয়,গ্রিক,রোমীয়,পারস্য,ভারতীয়,চীন সবারই কিছুনা কিছু অবদান ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বর কাছে শুধু তারাই করতৃতের দাবি রাখতে চায়।এ প্রসঙ্গে মি.জি সি ওয়েলস বলেছেন-“আরবদের ভেতর দিয়েই মানব জগৎ তার আলোক ও শক্তি সনচয় করেছে।.. ল্যটিন জাতির ভেতর দিয়ে নয়।” [চেপে রাখা ইতিহাস] শ্রীমানবেন্দ্রনাথ রায তার Historical Role of Islam গ্রন্থে বলেন“Learning from the Muslim Europe became the leader of modern Civilization..” অনুবাদঃ মুসলিম শিক্ষার প্রভাবেই ইউরোপ আধুনিক সভ্যতার নেতা হতে পেরেছে। মেজর আরথার গ্লিন লিনওয়ারড বলেন-আরববাসীদের উচ্চশিক্ষা সভ্যতা ও মানুসিক উৎকরষ এবং তাদের উচ্চশিক্ষার প্রণালি প্রবরতিত না হলে ইউরোপ অদ্যাবধি অজ্ঞানতার অন্ধকারে নিমগ্ন থাকত।[চেপে রাখা ইতিহাস] আজ আপনাদের জানানো চেষ্টা করব চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলিমদের কি কি অবদান ছিল- কুরআনের ৬৬৬৬টি আয়াতের মধ্যে প্রায় ৭০০টি বেশি আয়াত বৈজ্ঞানীক গবেষণা সম্পরকে জারমানি পন্ডিত Dr. karl Opitzy তার Die Medizin Im Koran গ্রন্থে দেখিয়েছেন যে, কুরআনের ১১৪ টি সুরার মধ্যে ৯৭টি সূরার ৩৫৫ টি আয়াত চিকিৎসা বিজ্ঞান সংশ্লিষ্ঠ। তিনি এ সকর আয়াত সমূহকে ৩ ভাগে বিভক্ত করেন।তাহলোঃ ১. Medizin ২. Hygiene ৩. Gesundheitsgesetze Medizin –এ চিকিৎসা শাস্ত্রে রয়েছেঃ ক)সৃষ্টি,ভ্রুণ,গরভধারণ,গরভাবস্থা,শিশু পরিচরযা,আয়তকাল ইত্যাদি। খ)শরীর জ্ঞান(Anatomy),শরীর বৃত্ত(Physiology)। গ)নিদানশাস্ত্র(Pathology) নিদান(Etiology) মনন বিদ্যা(Psychology), মনন নিদান(Psych-Patholgy) । ঘ)সাধারণ চিকিৎসা ও বিশেষ চিকিৎসা । ঙ) মৃত্য ও পুনরজীবন। Hygiene- এ চিকিৎসা শাস্ত্রে রয়েছেঃ ক) ব্রক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি-পোষাক,বিশ্রাম,পুষ্টি,পানীয় ইত্যাদি। খ)সমাজগত স্বাস্থ্যবিদি-ঘরবাড়ি,সংক্রামন ব্যাধি। গ) আকস্মিক মহাদুরঘটনা,মহামারী। Gesundheitsgesetze- এ চিকিৎসা শাস্ত্রে রয়েছেঃ ক) শারীরিক পুষ্টি বিধান:-মদ,মাংস,ইথ্যাদি। খ)যৌন বিধি বিধান-সুষ্ঠ ও অসুষ্ঠ যৌনক্রিয়া। গ)আনুষ্ঠানিক বিধি বিধান : ত্বকচ্ছেদ, রোজা, ওজু ,গোসল ,পীড়া,ক্রান্তি,বিনোদন ইত্যাদি। ঘ)সামাজিক বিধি বিধান: হত্যা,প্রতিশোধ,অভিভাবকত্ব। সৈয়দ আমীর আলরী তার The Speed of Islam –গ্রন্থে লিখেছেন-“চিকিৎসা বিজ্ঞান আর শল্য চিকিৎসারৈ কৌশল হচ্ছে একটি জাতির প্রতিভার লক্ষণ…কিন্তু মুসলমানেরা এ সদুটির চরম উন্নতি সাধন করে।চিকিৎসা শাম্ত্র গ্রীকদের হাতে নিঃসন্দেহে উচ্চ পরযায়ে উন্নতি লাভ করেছিল,কিন্তু গ্রিক সভ্যতা এই শাস্ত্রকে যেখানে রেখে যায়,আরবরা তার উপর বহুতর উচ্চ পরযায়ে উন্নতি সাধন করে…ঔসধের বস্তুগুলির পরীক্ষার কথা আলেকজান্দ্রিয়ার স্কুলে ডাইস্কোরাইডসের মনে উদিত হয়েছিল বটে,কিন্তু তার বৈজ্ঞানিক আকার আরবদের সুষ্টি।তারা রাসায়নিক ঔষধ প্রস্তুতকরণ আবিষ্কার করে আর বরতমানে যাকে ‘ডিসপেনসারী’ বলে.তারও প্রথম প্রতিষ্ঠাতা তার।তারা প্রত্যেক নগরীতে সাধারাণ হাসপাতাল স্থাপন করে,যাকে বলাহয় ‘দারুল শিফা’ বা আরোগ্য নিকেতন আর সেগুলোর খরত বহন করতো রাস্ট্র।” আজ এ পরযন্ত পরের পরব গুলোতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে মুসলিমদের অবদান বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব । Syedamq Ialam
Posted on: Tue, 27 Jan 2015 03:06:34 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015