১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস । - TopicsExpress



          

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস । এই দিন আমরা জালিমের জুলুম হতে এ দেশ কে মুক্ত করেছিলাম । আজ যতগুলো ইস্যু নিয়ে এ জাতি বিভক্ত তার মধ্যে ১৯৭১ সালের ইস্যু নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিভক্ত । একদল নিজেদের স্বাধীনতার সাপেক্ষের শক্তি দাবী করে আর বাকি সবাইকে স্বাধীনতা বিরোধী বলে । তাই আজ এই দিনে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে ১৯৭১ সালের দিকে । সালটি ১৯৭১ । মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে তৈরী হয়েছে ৫ টি দলের । ১ম দল যারা নিজেদের জীবন বাজী রেখে পাকিস্তানী হায়েনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে, মুক্তিযোদ্ধা । ২য় দল যারা রাজনীতিবীদ হওয়া সত্তেও জীবন বাচাতে আশ্রয় নিয়েছে ভারতে, আওয়ামীলীগের বেশিরভাগ নেতা । তৃতীয় দল যারা সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষ্যে আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। তারা রাজাকার নামের অর্ধ সামরিক বাহিনী তৈরী করে । ৪র্থ দল যারা সাধারন মানুষ যারা দেশে বাস করে একটু শান্তি চায় যারা বুঝে না পর্দার আড়ালের রাজনীতি । এবার ৫ম দল , যাদের আমরা ইসলাম পন্থী বলি । এরা এক কথায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান নেয় । তাদের ধারনা ছিল এই যুদ্ধ মুলত ভারতের চক্রান্তের ফসল । এ যুদ্ধে আমরা স্বাধীন হওয়া তো সম্ভব নয় বরং ভারতের সহযোগীতায় এই যুদ্ধের ফলাফল হবে আমরা ভারতের কাছে পরাধীন হয়ে পড়ব । মুলত ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের গনহত্যার পরে ৫ম দলটির প্রতিনিধি হিসেবে জামায়াত ইসলামের পূর্ব পাকিস্তানের আমীর নুরুল আমীনের নেতৃত্বে একটা দল জেনারেল নিয়াজীর সাথে দেখা করে বেসামরিক মানুষ হত্য বন্ধের দাবী করেন । এ লক্ষ্যে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা বাচানোর জন্য ৪ টি ইসলামী দলের সমন্নয়ে তৈরী করেন শান্তি কমিটি । এই শান্তি কমিটির সাথে রাজাকার বাহীনির কোন সম্পরক ছিল না । রাজাকার বাহিনী গঠন করছিল পাকিস্তান । আমাদের দেশে আনসার যেমন একটি বাহিনী তেমন রাজাকার ছিল একটা বাহিনী । ১৯৭১ সালে শান্তি কমিটি কোন হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয়নি । বরঞ্চ হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক সহ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে রক্ষা করেছিল । ১৯৭১ সালের শেষের দিকে এসে ৫ম দলের আশংকা বাস্তবে রূপ নেয় । মুক্তিযোদ্ধাদের সাফল্য যখন ছড়িয়ে পরেছে দিকে দিকে । তখন ভারতীয় সেনাবাহিনী এ দেশে প্রবেশ করে মিত্র বাহিনী তৈরী করার নামে গ্রেফতার করে এ দেশের সেক্টর কমান্ডার দের । স্বাধীন দেশের প্রথম গ্রেফতার হন মুক্তিযুদ্ধের ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর জলীল । অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে আত্মস্বমর্পনের দিন ও জায়গা হয়নি এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তি্যোদ্ধাদে র । সন্ধি স্বাক্ষরিত হয় নিয়াজী ও ভারতীয় সেনা প্রধান অরোরার সাথে । আর লেখা হয় আমাদের স্বাধীনতার দলীল । এটিও চলে যায় ভারতে । এই দলীলে লেখা হয় – A contact between India vs Pakistan . আমার স্বাধীন বাংলাদেশ কই ? মলীন হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান । যে দেশে মুক্তিযোদ্ধারা হবে দেশের শাসক ! হায় আমার স্বাধীন দেশে তারাই হলেন গ্রেফতার । এ বার দেশের শাসন ভার ভারতের হাতে থাকলে তো আন্তর্জাতিক ভাবে সন্ত্রাসী হয়ে যাবে । তাই তারা এ শাসন ভার তুলে দিলেন তাদের দালাল আওয়ামীলীগের হাতে ,যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় এ দেশের মানুষকে অস্ত্রের মুখে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল ভারত । এই ভারতীয় দলের নিরযাতনে দেশ স্বাধীন হয়েও হয়ে পড়ে পরাধীন । ইসলামিক দলগুলোর আশংকা বাস্তবে পরিনত হয় । অবশেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আবার স্বাধীন হয় দেশ সেনাবাহিনীর হাতে । মুক্ত হয় এদেশ । ক্ষমতায় আসে মুক্তিযুদ্ধের সাপেক্ষের শক্তি । খুলে দেওয়া হয় বাকশালের বন্দিশালা। প্রান ফিরে ইসলাম ও ইসলামী দলগুলো । আজ আবার স্বাধীনতার শত্রু আওয়ামীলীগ ভারতের হাতে দেশ বিক্রীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত । তাই এর সমাধান ও আমাদের হাতে । তথ্যসুত্রঃ অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধিনতা – সেক্টর কমান্ডার মেজর জলীল পলাশীর আগে পড়ে স্বাধীনতার দলীল www Wikipedia com লেখক :শাকিল মাহমুদ
Posted on: Mon, 16 Dec 2013 04:13:11 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015