Edward Snowden ফাঁস করেছিলো, - TopicsExpress



          

Edward Snowden ফাঁস করেছিলো, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের ফোনে আড়িপাতে মার্কিন গোয়েন্দাসংস্থা NSA আর ব্রিটিশ G.C.H.Q মুখে, মিডিয়ার সামনে, যতই মার্কিন জার্মান বন্ধুত্বের ভাব দেখানো হোক, বাস্তবে দুই দেশের মাঝে রয়েছে বড়সড় পারস্পারিক অবিশ্বাস। বিশেষ করে ইউরোপ জার্মানির প্রভাব দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া, ও ক্রমশ ইউরোপের দেশগুলো জার্মানির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া আমেরিকা জন্য বেশ ভালোই মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছে রিসেন্ট সময়ে। ওদিকে Wikileaks ফাঁস করেছে FinFisher এর কথা। এবার বলি FinFisher কী !! এটা একটি জার্মান কোম্পানি যা দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দাসংস্থা (including আমাদের দেশের NSI ) এর কাছে weaponised surveillance malware বিক্রি করে। wikileaks এর তথ্য মতে একাজ করে তাঁরা এখন পর্যন্ত ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। কখনো কম্পিউটার বা মোবাইলে ব্যবহৃত software update এর সাথে মিশিয়ে দিয়ে, আবার কখনো personal email ID তে নিকটজনের পাঠানো attach file এর সাথে মিশিয়ে দিয়ে, বিভিন্ন তরিকায় গোয়েন্দাসংস্থাগুলো টার্গেটের মোবাইলে বা কম্পিউটারে এটা install করে দেয়। এরপর তো কি হবে বুঝতেই পারছেন। আপনার কথাবার্তা, যাবতীয় সব কর্মকান্ড তাঁরা তদারকি করতে পারবে। আপনার ব্যক্তিগত ফাইল দেখতে পারবে অনায়াসে। কথাবার্তা রেকর্ড করতে পারবে। It is indeed a weaponised surveillance malware…. আগেই বলেছি, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দাসংস্থাগুলো এই কোম্পানির কাছ থেকে এসব malware কিনেছে। এসব দেশ’কে কোম্পানিটি আলাদা আলাদা কোড নেমে ডাকে। যেমন বাংলাদেশের username : 6B9EDD58 NSI মোট ছয়খানা লাইসেন্স কিনেছে। কাতার, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, ইতালির মত আরো অনেক দেশ কিনেছে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বিবেচনা সাপেক্ষে যেকোনো ব্যক্তির উপর সারভিলেন্স করার কাজে। তো জার্মান চ্যান্সেলর মার্কেল যতই মানুষের প্রাইভেসির কথা মুখে বলুক, মার্কিন কর্মকর্তাদের উপর জার্মান গোয়েন্দাসংস্থা BND-এর নজরদারী করার অভিযোগ কিছুদিন আগে মার্কিনীরা তুলেছিলো। তুরস্ক সরকারের উপর বহুদিনই গোপনে নজরদারী চালিয়ে আসছে BND, এটাও এখন বহুল প্রচারিত খবর। অথচ তুরস্কও কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্টনার। আর এসব কাজে BND ব্যবহার করেছে FinFisher এর develop করা malware… চ্যান্সেলর মার্কেল প্রকাশ্যেই FinFisher এর পক্ষ নিয়েছেন। যাই হোক, NSI এর কথা যখন উঠল, তখন আজ একটা ঘটনা বলি। যেহেতু আজ আবার ২ লক্ষ ইয়াবার একটা চালান চট্রগ্রামে ধরা পড়েছে। ২০০৪ সালের দিকে দেশে ইয়াবার চক্র ব্যাপক সক্রিয় হয়ে ওঠে। তো মিয়ানমার আর ভারত থেকে যেসব ইয়াবার চক্রগুলো বাংলাদেশে পরিচালিত হত, সেগুলোর ব্যাপারে NSI ভারতকে ব্যবস্থা নিতে বলে। কিন্তু ভারত তেমন কিছু করে নি। একটা সময় তাই NSI বাধ্য হয় নিজেরাই ব্যবস্থা নিতে। NSI agent রা ভারতে এসব চক্রে infiltrate করে। And guess what?? একরাতে NSI হিটম্যানরা ভারতের মাটিতে এসব চক্রের উপর হামলা চালায়। ভারত সরকারের অনুমতি ছাড়াই মুম্বাই আর দিল্লীতে এই অপারেশনে 17 drug cartels base ধ্বংস হয়, ২৭ জন ক্রিমিনাল মারা যায়, ৬৯ জন আহত হয়। একজন NSI operative ভারতের পুলিশের হাতে অবশ্য ধরা পড়ে... But so what… It was a success…
Posted on: Mon, 15 Sep 2014 17:21:49 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015