অপূর্ণতায় পূর্ণ বড় - TopicsExpress



          

অপূর্ণতায় পূর্ণ বড় মাসির ছেলের বিয়ের ডেট পড়লো র্ফাষ্ট র্টাম exam এর সময়। ক্লাস 9 এ তখন আমি।biology exam এর দিন বৌভাত। exam দিয়েই চলে গেলাম ওখানে। আমরা যাওয়ার আগেই কন্যাযাত্রীরা চলে এসেছিল। বউ এর পাশে একটা ছেলে বসেছিল। বুঝতে পারলাম বউ এর relative। স্পষ্ট মনে আছে আমার সেই প্রথম কথা বলেছিল। নাম কি,কি করি,কোথায় থাকি,তারপরফোন নাম্বার। অপরিচিত কারো সাথে ভদ্রতার খাতিরে কথা বললেও নাম্বার দেওয়ার মত বোকা ছিলাম না আমি। তাছাড়া ছোটবেলা থেকেই ছেলেদের প্রতি আমার একটা অন্যরকম ধারণা ছিল। ফ্রেন্ডদের ব্রেক আপ হয়ে গেলে ভাবতাম সব ছেলেই এক,এক কথায় মেয়েদের কষ্ট দেওয়ার জন্যই ছেলেদের জন্ম। কিন্তু সেদিন কোন কিছু না ভেবেই কেন জানি না দিয়ে দিলাম নাম্বারটা। কিন্তু একবারও মনে হয়নি অতসুন্দর,ভার্সি টি তে পড়া একটা ছেলে আমাকে প্রপোজ করতে পারে। আমি খুব একটা খারাপ না কিন্তু ওর মত অতটা ভালোও না। যাই হোক তারপর দিন থেকে শুরু হয় আমাকে impress করার চেষ্টা। মায়ের ফোনে ফোন করতো আমাকে তখন আমার ফোন ছিলনা তাই ঔই নাম্বারটাই দিয়েছিলাম ওকে। এভাবে চলতে চলতে একদিন প্রপোজ করে আমাকে। আমি হ্যাঁ না কিছুই বলিনি ওকে,তবে ও বুঝতে পেরেছিল আমিও ওকে পছন্দ করি। ছোটবেলা থেকেই মার সাথে সবকিছু শেয়ার করতাম,এটাও বাদ দিলাম না। মা ওকে দেখেছিল বিয়েতে তাইঅমত করলেন না বাবাও রাজি ছিল। সবাই রাজি,আমিও অমত করিনি। ওকে বলেছিলাম,আমি আপনার যোগ্য নইও বলেছিল,ভালবাসা যোগ্য অযোগ্য বিচার করে হয়নাএত ভাল লেগেছিল যে প্রথমবার মনে হচ্ছিল সব ছেলে এক না। আস্তে আস্তে কথা বলা বাড়ছিল। সারাদিন এ যা যা হতো ওকে না বললে যেন পরের দিনটাই শুরু হতে পারত না। ও মাঝে মাঝে বাড়িতে আসত দেখা করতে। বাবা মা জানত ওর কথা তাই সমস্যা হত না(ওরবাড়ি থেকে কেউ জানত না এসব) কিন্তু ওর মন ভরতো না এভাবে দেখা করে। বাইরে দেখা করার প্রস্তাব দেয় ও আমাকে। কেউ দেখলে কি হবে এই ভয়ে না বলে দিই ওকে। এরপর,যখন কেউ বাড়ি থাকবে না তখন আসতে চায় ও। বাধাঁ দিলে রাগ করে কথা বন্ধ করে দেয়। অগত্যা মেনে নিই আমি। কিন্তু বাসায় এসে আমাকে একা পেয়েও ও অখুশী। এরপর থেকে বলা নেই কওয়া নেই চলে আসত বাসায়। বুঝতে পারছিলাম কথা বলে,দেখা করেও খুশী না,ও আরো কিছু চায়। এক সময় বলেই ফেলে ওর মনের কথা। তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমি। কিন্তু যখন সর্ম্পক ভেঙে দিতে চায় তখন খুব ভয় পেয়ে যাই। যে মানুষটার সাথে একটা কথা শেয়ার না করে থাকতে পারি না,যার ইচ্ছার কাছে জীবনটা তুচ্ছ তাকে কি ভাবে ভুলে যাব? তাইবরাবরের মত তার এই ইচ্ছাও মেনে নিই। সেদিনই বাবা মা জানতে পারেতাদের অনুপস্থিতিতে কয়েকবার এসেছে ও। ওকে কিছুই বলে নি,আর আমাকে চরম মেরেছিল বাবা সেদিন। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ মার। তারপর থেকে শুরু হয় আমার ওপর নজর রাখা যে আমাকে বাবা মা এত বিশ্বাস করত সেই আমার সাথে এই ব্যবহার...এদিকে যার জন্য এত কিছু সে ভয়ে ফোন অফ করে রেখেছে,নিজে বাচার জন্য। অবাক হয়ে গেছিলাম সেদিন আমি। এরপর সময়ের সাথে সাথেসব ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু ওকে আর কখনো মেনে নেয়নি বাবা মা। সবার অনুপস্থিতিতে ও এসেছিল দেখা করতে ১০ মিনিট ছিল এতেই এই এতকিছু আর যদি সত্যিটা বলতাম...এভাবে শুরুহয় আমার মিথ্যা বলা তারপর ও যোগাযোগ রাখি ওর সাথে। কিন্তু যার জন্য আমার এত লুকোচুরি করা সেই চেনা মানুষটা হঠাৎ বদলে যেতে থাকে। একদিন তো বলেই দিলো সম্পর্কটা সম্ভব নয়। একটুও কাদিনি সেদিন আমি। কারণ আমি তো বিশ্বাসই করতেপারিনি যে এমন করতে পারে ও। প্রথমে ভাবতাম ও মজা করছে কিন্তু কয়েকদিন পরে যখন বুঝলাম ও সত্যি বদলে গেছে। একদিন তো বলেই দিলো সম্পর্কটা সম্ভব নয়। একটুও কাদিনি সেদিন আমি। কারণ আমি তো বিশ্বাসই করতেপারিনি যে এমন করতে পারে ও। প্রথমে ভাবতাম ও মজা করছে কিন্তু কয়েকদিন পরে যখন বুঝলাম ও সত্যি বদলে গেছে। কিন্তু তারপর ও যোগাযোগ বন্ধ করতে পারলাম না। বরং আগের থেকে বেশী মিশতে লাগলাম। আগে দেখা করতে ভয় পেতাম কিন্তু তখন যেভাবেই হোক দেখা করতাম। এমন কোন দিন ছিল না যেদিন আমি গিফট ছাড়া দেখা করতাম। মাঝে মাঝে ও আমাকে বলত ওর ফোনে ফ্লেক্সি করতে। এমন ওদিন গেছে ওকে নগদ টাকাও দিয়েছি আমি। আমার ফ্রেন্ডরা বলত ও নাকি এই সবের জন্য দেখা করত,যোগাযোগ রাখত। আর আমি এই কথাগুলো যে বলত তার সাথে কথা বলা বন্ধ করতাম। কখনো বিশ্বাস করতে পারিনি এগুলো। ভাবতাম,যে গিফটগুলো আমি এত ভালবেসে কিনতাম,এত যত্ন করে বাসায় লুকিয়ে রাখতাম ওকে দেব বলে,সেগুলো আমার ভালবাসার চেয়েও মূল্যবান ওর কাছে?কিন্তু যখন ও বলত শোপিস না দিয়ে দরকারী কিছুদিতে,যখন আমার লোড করা টাকা দিয়ে কখনো কল দিত না আমাকে তখন মনে হত সত্যি সত্যি ও দূরে চলে যাচ্ছে আমার থেকে। সব থেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে যতদিন ও আমাকে impress করার চেষ্টা করত ততদিন ও আমাকে ফোন করত,আর যেদিন থেকে বুঝতে পারত আমিদুর্বল ওর প্রতি সেদিন থেকে ও মিসকল দিত আমাকে। আমি ফোন করতাম ওকে। তারপর ও কৃতজ্ঞ আমি ওর কাছে কারণ সম্পর্ক না রাখলেও সময় দিতআমাকে,দেখা করত আমার সাথে।যাই হোক এভাবে চলতো আমাদেরযোগাযোগ। ক্লাস 10 এর ফার্ষ্ট র্টামexam এর পর আমাদের ব্রেক আপ হয়। ssc exam পযর্ন্ত জোর করে যোগাযোগ রাখলাম। ফল গোল্ডেন মিস। কিন্তু এত কিছুর পর ও আমি কল করতাম ওকে। মাঝে মাঝে ওকে psycho patient মনে হত আমার। এত সমস্যা আমি কথা বললে আবার এই আমিই যদি রাগ করে বলতাম কথা বলব না এমন ওদিন গেছে আমার পা ধরে বলেছে এমন কোরো না সোনা তুমি তো জান আমি রেগে গেলে মাথা ঠিক থাকেনা। আবার সেই বলত আমাকে ছাড়া বাঁচতে না পারিস মরে যা,গলায় দড়ি দিয়ে মর মাঝে মাঝে ভাবতাম আর ফোন করব না ওকে। কিন্তু ২ দিন যায় আবার ফোন করি। এভাবে সময় বাড়তে থাকে ৫/১০/১৫/২০/৩০ দিন। ১/২/৩ মাস চলে যায়। আজ কথা হয় তো কাল হয় না। আগে ঘুমের ঔষধ খাবার ভয় দেখিয়ে কথা বলতাম,কিন্তু পরের দিকে এটাতেও আর কাজ হয় না। এদিকে আমার ইন্টার পরীখ্মার ডেটও এসে যায়। কিছুই পড়িনি তখনও। ৫ই এপ্রিল পরীখ্মা। তার তিন মাস আগে থেকে কথা বলা বন্ধ। ২ তারিখে খুব অনুরোধকরে sms করলাম। আগে sms করলে reply পেতাম না,সেদিন পেলাম। কিছুখ্মন কথা হলো। অনুরোধ করলাম ৫ তারিখ সকালে কথা বলতে,মেনেও নিল।এতকিছুর পরও পরীখ্মা দিলাম না,ফেল করার ভয়ে। ছোটবেলা থেকেই শুনতাম আমি পড়াশোনায় খুব ভাল। তাই ফেলকরে রেকর্ড ভাঙতে পারলাম না। বাড়িতে বহু আগে থেকে বিয়েরতোড়জোড় চলছিল,আরও বেড়ে গেলসেটা। আগের গুলোর মত সেই বিয়েটাও cancle করলাম। যারা জানত আমাদের কথা তারাবলত হয় প্রেম কর নয়তো বিয়ে কর,নয়তো মরছো তুমিআমি খুব সুন্দর না হলেও জীবনে প্রপোজাল অনেক পেয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত ও ছাড়া কোন ছেলেকেআমি সহ্যই করতে পারিনা। অনেক চেষ্টাও করেছি। যাই হোক বাড়িতে বাইরে দিনেদিনে problem বাড়তে লাগল। এত সমস্যার মাঝেও আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার সেই দিনটাতে ওকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছিল। ওই দিনটা আমার কাছে যতটা special ওর কাছে ততটাই অভিশপ্ত। তারপরও আসতে বললাম ওকে। ও যেখানে থাকত সেখান থেকে আসতে ১.৩০ ঘন্টা লাগত। সবসময় ওই আসত আমি যায়নি কখনো। কিন্তু সেদিন ও আসবেনা বলায় আমি যেতে চেয়েছিলাম,ও নিষেধ ও করেছিল। তারপর ওকে ফোন করেমিথ্যা বলেছিলাম যে আমি এসেছি। ও বলেছিল ফিরে যাও দেখা করব না। সেদিন খুব কষ্ট হচ্ছিল,অজানা এক অভিমানে শপথ করেছিলাম আর কখনো যোগাযোগ করব না। তারপর সত্যি যোগাযোগ করিনি। ওর জন্মদিন যে দিনের জন্য কতদিন থেকে অপেখ্মা করতাম সেইদিন ওকে উইশ ও করলাম না। আর আমার জন্মদিন...প্রতি বছর ওকে ফোন করে বলতাম আজ আমার জন্মদিন আমাকে উইশ করবেন না? আজ থেকে ৫ বছর আগে ওর সাথে প্রথম দেখা হয়। আজ পর্যন্তপারিনি ওকে তুমি করে ডাকতেকারণ বলতে তো বলেনি কখনো। যাই হোক,যেদিন ওর সাথে প্রথম দেখা হয় কয়েক বছর পর সেদিন থেকেই কথা বলা বন্ধ করলাম। এরপর এক বছর পর সেই দিনে পার্কে গেলাম (এই পার্কেই আমরা সবসময় দেখা করতাম) একটা নতুন সিম কিনে ফোন করলাম। শুনলামহ্যালো,হ ্যালো. ..। ওতেই যেএত শান্তি...। এরমধ্যে একদিন জানতে পারলাম ও চাকরী পেয়েছে। কি যে হচ্ছিল তখন কি করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। মন্দিরে পূজা দিলাম ওর নামে। এটুকুই আমার ভালবাসার সীমানা...আজো ভাবিওকে গভীর রাতে...ওকে ভেবে চোখে জল আসে...আগে হয়তো নিজেকে বেশী ভালবাসতাম তাই নিজে ভাল থাকার জন্য ওকে ফোন করে জ্বালাতাম,কিন্ত ু আজ ওকে অনেক ভালবাসি তাই পারিনা ওকে জ্বালাতে... শুধু দূর থেকে ওর মঙ্গল কামনা করি। এতটা স্বার্থপর হতে পারিনি এখনো যে ওকে কষ্ট দিয়ে নিজে ভাল থাকব .....
Posted on: Sun, 19 Jan 2014 02:40:05 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015