আমার ইন্টারভিউ - TopicsExpress



          

আমার ইন্টারভিউ প্রজেক্টের নতুন শিকার হচ্ছেন সোহেল তাসলিম – যিনি বর্তমানে জাপানে কর্মরত। উনার সাথে পরিচয়ের কথা এখানে বিস্তারিত লিখলাম না (ইন্টারভিউ নিয়ে যেই বইটি তৈরি করছি, সেখানে থাকবে)। তবে কীভাবে কীভাবে জানি অসাধারণ ও উদ্যমী সব মানুষের সাথে আমার পরিচয় হয়ে যায়। সুবিন : সোহেল ভাই, আপনি এখন কোথায় কাজ করছেন? সোহেল : আমি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ইফিউশন এ কাজ করছি। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এই কোম্পানির সঙ্গে আছি। সুবিন : ইফিউশন সম্পর্কে একটু বিস্তারিত বলুন। সোহেল : এটি জাপান অবস্থিত একটি আইটি কোম্পানী। স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, হোস্টিং, বই এবং গেইম প্রকাশনাসহ একটি পরিচিত স্মার্টফোন কোম্পানির গবেষণার কাজ এবং preinstalled অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টএর কাজ করে থাকে। নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট থাকার কারনে স্মার্টফোন কোম্পানির নাম প্রকাশ করলামনা। আমি স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এর ডিভিসন ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছি। সুবিন : আপনার টিম-সাইজ কেমন? আপনাকে কী কী কাজ করতে হয়? সোহেল : আমি দশ জনের কম একটি ছোট দল নিয়ে কাজকরি। প্রত্যেকেরই tech savvy, challenger, problem solver এবং cooperative। আমার দায়িত্ব ব্যবসায়িক পরিকল্পনা এবং টিম ম্যানেজমেন্ট। আমি এমন একটি টিম তৈরি করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। এর জন্য আমাকে বিগত ৩ বছর অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। সুবিন : সম্প্রতি আপনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে অফিসে বসে আর কাজ করবেন না। এরকম সিদ্ধান্তের কারণ কী? সোহেল : ২০১১ এর সুনামির পরে আমাদের কোম্পানী বাসা থেকে রিমোটএ কাজ করার একটি নিয়ম শুরু করে। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এটি উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি করে দেয়। সর্বত্র উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোন যোগাযোগকে আরো সহজ করে দেয়াতে রিমোটে কাজ করা সহজ হয়ে এসেছে। তাই আমি আমার কাজের স্টাইলে একটু পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। “Internet is my office not a physical place. So, I am at office at least when smartphone in my pocket.” যা আমার ভবিষ্যত ব্যবসায়িক পরিকল্পনাকে একটি নতুন মাত্রা যোগ করে দিতে পারে এবং আমাদের কোম্পানীর নিজস্ব product development এ বিশেষ প্রভাব ফেলবে। সুবিন : জাপানে আপনার মোট কত বছর কাজ করা হল? জাপানীদের কাজের সংস্কৃতি সম্পর্কে যদি পাঠকদের একটু ধারণা দিতেন। সোহেল : আমি জাপানে কাজ করছি প্রায় 9 বছর হল। জাপানি মানুষ খুব punctual এবং নিজ নিজ কাজ সম্পর্কে সিরিয়াস। প্রত্যেকের নিজ নিজ লক্ষ্যের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারনা রয়েছে। জাপানি কোম্পানি খুবই প্রফেশনাল হয় এবং অঙ্গীকার ভঙ্গ করে না। যা প্রফেশনালিজমের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। সুতরাং, মানিয়ে নিতে পারলে কর্মজীবন এখানে ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ। আপনার দক্ষতা কম হওয়া সত্ত্বেও কোম্পানি আপনার পেছনে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে যদি আপনার ভাল কাজ করার আগ্রহ থাকে। তাই হয়ত সহজে কেউ চাকরি পরিবতন করেনা। সুতরাং, আপনি একজন দক্ষ কর্মী হিসেবে এখানে বেড়ে উঠতে পারবেন শুরু থেকেই। কিন্তু, আপনার যদি একটি ভাল ব্যবসায়িক আইডিয়া থাকে এবং বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন সেক্ষেত্রে জাপান ঠিক আপনার জন্য পারফেক্ট জায়গা নয়। সুবিন : বাংলাদেশী সফটওয়্যার ডেভেলাপার আর জাপানী সফটওয়্যার ডেভেলাপারদের মধ্যে টেকনিক্যাল স্কিল ও প্রফেশনালিজমের ব্যাপারে কোনো পার্থক্য কি আপনার চোখে পড়ে? সোহেল : অন্য অন্য দেশের মত বাংলাদেশেও অনেক মেধাবী রযেছে। যেহেতু আমাদের জনসংখা অনেক বেশী সে হিসেবে মেধাবীর সংখাও আনুপাতিক হারে বেশী বলে আমি বিশ্বাস করি। এদের ভেতর থেকে যারা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এ আসে তাদের টেকনিকাল স্কিল কোনো অংশে কম নয়। তবে জাপানী ডেভেলপারদের কিছু এটিচুড চোখে পড়ার মত। যেমন, “I want to do it.”। পারব কি পারবনা তা নিয়ে কখনই ভাবেনা। কার ব্যাকগ্রাউন্ড কি তা নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা নাই। আর কারো ফলাফলের অপেক্ষা করেনা। প্রতিদ্বন্দ্বিতা মনোভাবটা কম। সবসময় নিজে কতটুক আউটপুট দিল তা দেখে। আমাদের প্রফেশনালিজমের যথেষ্ট কমতি রযেছে। এটা সফটওয়্যার ডেভেলাপারদের একার সমস্যা নয়। এটা আমাদের জাতিগত সমস্যা। এ চক্র থেকে বের হতে হলে আজ যে শিশু জন্মগ্রহণ করেছে তাকে গড়ে তোলার ভেতর দিয়ে শুরু করতে হবে। সুতরাং এটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। সুবিন : জাপানে তো বিশাল একটা সফটওয়্যার বাজার রয়েছে। আপনার কোম্পানী তো কিছু ছোট স্কেলের প্রজেক্ট বাংলাদেশে আউটসোর্স করে। বড় স্কেলের প্রজেক্ট আউটসোর্সিং করতে সমস্যা কোথায়? আর জাপানের আউটসোর্সিং বাজার ধরতে চাইলে বাংলাদেশি কোম্পানীগুলোর কী করা উচিত? সোহেল : বড় স্কেলের প্রজেক্ট আউটসোর্স করতে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় কমুনিকেশন এবং কালচারাল ব্যবধান। ছোট প্রজেক্টের বেলাতেও একই সমস্যা রযেছে কিন্তু রিস্ক একটু কম যা রিকভারের সুযোগ রযেছে। জাপানের আউটসোসিং বাজার ধরতে চাইলে, জাপানিজ পড়তে এবং লিখতে পারে এমন একজনকে নিযোগ দিয়ে শুরু করতে হবে। যে কিনা Bridge Engineer হিসেবে কাজকরবে। জাপানিজরা ইংরেজিতে কমুনিকেট করতে চায়না। যেহেতু এটা তার মাতৃভাষা নয় সেহেতু মিসকমুনিকেশানের কারণে কাজে ভুল হয়ে সময় ও শ্রম দুই নষ্ট হতে পারে, যা তারা খুবই অপছন্দ করে। যেটাকে আমি কমুনিকেশন সমস্যা বলেছি। আর কাজের সাথে সংস্লিষ্ঠ কালচারাল ব্যবধান বলতে আমার কাছে মনেহয় প্রফেশনালিজমের অভাব। যেহেতু বহির বিশ্বের কাছে আমরা কর্ম দিয়ে পরিচিত নই সেহেতু ছোটো ছোটো প্রজেক্ট এর কাজ করে আমরা সে আস্থা তৈরী করতে পারি। সুবিন : আরে যেসব সফটওয়্যার প্রকৌশলী কাজ করার জন্য জাপান যেতে চায়, তারা কিভাবে যেতে পারে ? সোহেল : বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে জাপানে দুবছরের “জাপানিস ভাষা শিক্ষা” কোর্স করতে অাসতে পারে। অথবা স্কলারশিপ নিয়ে এম.এস./ পিএইচডি করতে আসতে পারে। কোর্স শেষ হবার আগেই অনেকে চাকরি পেয়ে যায়। সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের এখানে বেশ চাহিদা আছে। এখানে একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলীর সর্বনিম্ন প্রতি মাসে বেতন বাংলাদেশী দেড় লক্ষ টাকা! সুবিন : আপনি তো নিজ উদ্যোগেও অ্যাপল স্টোরে আইওএস (iOS) অ্যাপ তৈরি করে পাবলিশ করেছেন। এবং বেশ সফলও হয়েছেন। সেই অ্যাপগুলোর ব্যাপারে একটু বলুন। সোহেল : ২০০৯ থেকে আমি iOS অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের সাথে জড়িত। আমার যে অ্যাপটি আমাকে সব থেকে বেশী সফলতা এনে দিয়েছে তার নাম হচ্ছে “SYSTEM UTIL Dashboard”। এটি ২০১৩ সনের মার্চ মাসে Apple এর Overall Rank এ ৭৫ টি দেশে ১ নাম্বার ডাউনলোডেড এপ্লিকেশন হয়। Utilities বিভাগে ৯৮ টি দেশে ১ নাম্বার স্থান দখল করে। এছাড়া ২০১০ এ SYSTEM নামের অ্যাপটি জাপানিস App স্টোরে “Top ১০ Paid” অ্যাপ হিসেবে নির্বাচিত হয়। এবং ২০১১,২০১২ তে আমার ২টি করে ২০১৩ তে ১ টি এপ্লিকেশন “App Store BEST OF” হিসেবে নির্বাচিত হয়. যা আমাকে সবসময় উত্সাহিত করেছে পরবর্তী কাজের জন্য। আমার তৈরী একটি অ্যাপ নিয়ে ২০১৩ জানুয়ারীর ২৪ তারিখে “The New York Times” এ প্রতিবেদন ছাপা হয়। সুবিন : বাংলাদেশে বসে কেউ যদি নিজে নিজে অ্যাপল স্টোর বা প্লে স্টোরে অ্যাপ পাবলিশ করতে চায়, তাহলে তার সফল হবার সম্ভাবনা কতটুকু? অ্যাপগুলো কি লোকাল মার্কেটের কথা চিন্তা করে বানানো উচিত নাকি গ্লোবাল মার্কেট? সোহেল : যদিও এ মার্কেট এখন অনেকটা পুরোনো হয়ে গেছে এবং বড় বড় কোম্পানি গুলোর সাথে কম্পিট করতে হচ্ছে তবুও যথেষ্ট সুযোগ রযেছে। Creative এবং Innovative টেক পিপলদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ যে তারা পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে সরাসরি বিশ্বের অনেক গুলো দেশের ক্রেতার কাছে তাদের কাজ পৌঁছে দিতে পারছে। আর ভালো অ্যাপস এর কদর সবসময়ই আছে। ভালো অ্যাপস তৈরীর পাশাপাশি তা পরিচিত করার জন্য প্রচারণার কাজটিও করতে হবে সমান গুরত্ব দিয়ে। লেগে থাকলে সফলতা বেশীদিন পালিয়ে থাকতে পারেনা। অ্যাপ এর প্রচারের অনেক টিপস এবং টিউটোরিয়াল রযেছে ইন্টারনেটে। আর এমন একটা বড় সুযোগ থাকতে গ্লোবাল মার্কেটকে চিন্তা করে অ্যাপগুলো না বানানোর কোনো কারণ দেখিনা। US, Japan, Germany, Italy এর মত দেশে পেইড অ্যাপএর ক্রেতা এখনও অনেক বেশী। আবার ইন্টারনেটের ব্যবহার সর্বত্র থাকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ও এসব দেশ থেকে সর্বাধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। সুবিন : এবারে একটু পেছনে ফিরে যাই। ছোটবেলায় কোন কোন স্কুল- কলেজে লেখাপড়া করেছেন? সোহেল : আমার স্কুল জীবন কাটে বাংলাদেশ রাইফেলসে। সুবিন : কোন ভার্সিটিতে পড়েছেন? আপনার দক্ষ প্রোগ্রামার হওয়ার পেছনে ভার্সিটির ভূমিকা কতটুকু? সোহেল : ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনলজি (IST)। বিশেষ ভুমিকা রেখেছে বলে আমার মনেহয়না। তবে আমাকে একটা পরিবেশ দিয়েছে যেখানে আমি আমাকে তুলনা করার সুযোগ পেয়েছি এবং শিক্ষক ও বড় ভাইদের কাছ থেকে অনেক এডভাইস পেয়েছি। সুবিন : যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স পড়ছে, তারা যদি দক্ষ সফটওয়্যার ডেভেলাপার হতে চায়, তবে করণীয় কী? সোহেল : দক্ষ সফটওয়্যার ডেভেলপার হতে হলে দরকার প্রচুর অনুশীলন। তাই প্রথম সেমিস্টার থেকেই তা শুরু করতে হবে। পাঠ্যক্রমে যা আছে শুধু তার ভেতর সীমাবদ্ধ থাকা যাবেনা। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের সাথে ভালো সফটওয়্যার ডেভেলপারের কোনো সম্পর্ক নাই। তাই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য লেখা পড়া করার বাইরে অতিরিক্ত সময় বের করে প্রোগ্রামিং অনুশীলন করতে হবে। সুবিন : অনেক শিক্ষার্থীই ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে কাজ করছে, বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখেন? সোহেল : পজেটিভে ভাবে দেখছি। যেহেতু তারা উন্নত দেশের কাজগুলো করছে সেহেতু মার্কেটে টিকে থাকতে তাদেরকে প্রফেশনাল হতে বাধ্য করছে। বিশ্ববাজার এ নিজের অবস্থানকে তুলনা করার সুযোগ পাচ্ছে। যা তাদের এবং বাংলাদেশের ভবিষৎতের জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনেকরি। সুবিন : বাংলাদেশে সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশে মূল প্রতিবন্ধকতাগুলো কী মনে হয় আপনার কাছে? সোহেল : এক কথায় বললে অবকাঠামোর অভাব। সুবিন : আমরা কিভাবে সেটি অতিক্রম করতে পারি? সোহেল : যেহেতু আমি ভালো বক্তা নই তাই সুন্দর করে বলতে পারছিনা। তবে আমার সহজসরল ভাষায়, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সম্ভব। যার গুরুদায়িত্ব হলো সরকারের হাতে। যদিও এ সরকার যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে এ শিল্প কে অগ্রাধিকার দিয়ে। যথাযথ অবকাঠামো পেলে মেধাবী এবং entrepreneur রা তার সঠিক ব্যবহার করে থাকে। সফটওয়্যার শিল্পের বেলায় ও তাই। অবকাঠামো উন্নয়নে যে দুই- তিনটি বিষয় এ এখন খুব বেশী গুরুত্ব দেয়া দরকার বলে আমার মনে হয় : ১. সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎত নিশ্চিত করা ২. বিভাগীয় সহর গুলোর সর্বত্র সার্বক্ষণিক উচ্চগতীর ইন্টারনেট নিশ্চিত করা (ভুলে যেতে হবে ইন্টারনেট সংযোগ নাই বলে কোনো বিষয় আছে) ৩. কপিরাইট আইনের সঠিক বাস্তবায়ন (পাইরেসি) ৪. ইন্টারন্যাশনাল ব্যাঙ্কিং কে আরো সহজ করা ৫. বড় বড় IT কোম্পানিগুলোর জন্য IT পার্ক করা এবং শহরের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়ত সবই হবে, তবে যত তাড়াতাড়ি হবে তত আমরা তাড়াতাড়ি এগোব। আমি আমার দেশকে একটা সুন্দর জায়গায় দেখতে চাই। চাই আমার সন্তানরা যেন একটা শান্তির উন্নত দেশ পায়। PREVIOUS POST কোডিং নিয়ে এক ঘণ্টা কোন ভার্সিটিতে সিএসই পড়ব ? 14 comments • 4 months ago Avata Tanvir Hridoy — একটা অন্যা টপিক, সুবিন ভাই কি প্রোগ্রামিং শেখান? সুবিন ভাইয়ের প্রথম … সুইফট – অ্যাপলের নতুন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ 5 comments • 6 months ago Avata Duronto Habib — Vaia jodi legally upload kora jay tobe korle upokrito hobo vaia.. Thank you.. পাইথন শেখার ডিভিডি 6 comments • a month ago Avata subeen — I wont answer your question. Read all the posts of this blog, you will have some idea. And try to learn how to … সাক্ষাৎকার : রুহুল আমীন সজীব 1 comment • 3 months ago Avata হরিপদ দে — Nice interview subin. best of luck সজীব। ALSO ON PROGRAMMING AND OTHERS Comments Community Login Sort by Best Share ⤤ Be the first to comment. Subscribe ✉ Add Disqus to your site d Privacy Favorite ★ জাপান প্রোগ্রামার সাক্ষাৎকার সোহেল তাসলিম সাক্ষাৎকার সোহেল তাসলিম – সাক্ষাৎকার DECEMBER 13,
Posted on: Sun, 14 Dec 2014 07:18:31 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015