এই তো কিছুদিন আগে... বাতাস - TopicsExpress



          

এই তো কিছুদিন আগে... বাতাস বইছিলো মৃদু্ মন্দ।আকাশটায় তাকানো যাচ্ছিলো না চ সৌন্দর্যের অহংকারে। এমনি তার রূপ যে চাইলেই মূহূর্তের মাঝে চোখ ফেরানো যায় না।কিছুক্ষণ স্তব্দ হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে স্রষ্ সৃষ্টির প্রশংসা করতেই হয়।অথবা.....রৌ দ্র ক্ষরার ভীষণ অবেলায় তেঁতে ওঠা চারদিকটাকে এলোমেলো করে নেমে এল দল।টুপটাপ শুরু হয়ে ঝরঝর ঝরতে লাগলো অবিরাম। মনটা ভীষণ অগোছালো আর এলোমেলো হয়ে উঠলো। একছুটে বৃষ্টিস্নাত হয়ে ভিতরটা প্রশান্ত হতে চাইছে খুব। হয়তো আজও ঠিক এ সময়ে অনেকের মন চাইছে জোছনা স্নাত হতে । যে মুহূর্তে আমি এইকথা গু ঠিক পাশেই কেউ কেউ কাল সকালের একটা পরীক্ষার জন্য একটানা মুখ গুঁজেই আছে বইয়ে। জুলাই আর জানুয়ারি মেডিকেল life এর তিনটা prof এর মৌসুম।তাও এ পরীক্ষা গুলো চলে তিন চার মাস ধরে।উফ! কী ভীষণ কষ্টের আর tension এর এক একটা দিন তখন।written টা তাও কোনমতে দিয়ে দেয়া যা viva.....স ে তো একটা বিভীষিকা স্ heart যে viva র আগের রাতে কি beat এ চলে আল্লাহ জানে।আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় আমার heart beat বাইরের মানুষজন শুনতে পাচ্ছে।আচ্ছা... .এতো hyperdynamic circulation কীভাবে heart maintain করে?এরপর যখন viva board এ ডাক পড়ে তখন হঠাৎ heart একটা beat miss করে মনে হয় আর viva তে বসে কেমন যেন হঠাৎ bradycardia হয়ে যায়।তবে question বা teacher উলটাপাল্টা হলে heart টা rib cage ছেড়ে বেরিয়ে viva র টেবিলে নাচানাচি শুরু করে দিতে পারে।তাও একটা পরীক্ষা দেয়া মা হয়ে যাওয়া।কিন্তু এর আগের preparation এর time টা সত্যিই যন্ত্রনার। আবার আমার মত মাথা আউলা আর উড়ুধুরু হইলে তো বিশাল problem।মনের লাগামই টেনে ধরতে পারি না। চরম tension এর মাঝেও হঠাৎ অদ্ভুত কল্পনায় ডুবে গিয়ে বহু কষ্টে ঊঠে আসি। ফিরে তো আসতেই হবে। নইলে এ কষ্টকর সুন্দর জীবন কী করে আমার হবে?সত্যিই এই কষ্টকর সুন্দর জীবন পেতে সবার কী প্রাণান্তকর চেষ্টা। ঘুম,খাওয ়া,চেহারা কোনকিছুর প্রতি তখন আর খেয়াল থাকে না।কোন কোন দিন এমন হয় যে পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর চাঁদটা,এ শতাব্দীর সবথেকে বড় চাঁদটা,সব থেকে উজ্জ্বল আলোর চাঁদটা পরীক্ষার আগের রাতেই উঠেছে। চোখ মেলে ১০ টা মিনিট তাকে দেখা হয়না সময় চলে যাবে বলে।আবার কোনও কোনও দিন বছরের প্রথম বৃষ্টিটা,কাঠফাঁ টা রৌদ্রের দিনগুলি শেষে আসে যে প্ বৃষ্টি তাও আসে পরীক্ষার আগের রাতে।মন তাতে ভিজতে থাকে অবি কিন্তু শরীর ভিজতে যেতে পারে না,মু অথবা খুব আগে কখনও শোনা একটা খুব প্রিয় গান মস্তিষ্কে অনুরনণ তুলে যেতেই থাকে,কিন্তু laptop টা বের করে তা শুন নেয়ার সময় টা হয়ে ওঠে না।কিছুই না এগুলো।কোন ত্যাগ তিতিক্ষা বা কিছুই না। মাঝে মাঝে ভাবি কী অস যত্ন আর সাবধানতায় আমাদের বড় করেছেন বাবা মা। কখনো কখনো সন্তানের স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য একটু সংকীর্ণও হয়েছেন। খুব কাছের বন্ধুর জ্বর,pox,measle s হলে নিজেরটাকে একটু তফাতেই রাখতে চেয়েছেন।অথচ মেডিকেলে admit হওয়ার পর সে বাবা মাই আজ আমাদের বলেন যে বেশী বেশী রোগী দে এ যাও।আর আমরাও যেন Tb,meningitis,e ncephalitis,vir al আরও সব infection এর aganist এ immunity র পাহাড় গড়ে তুলছি।অথচ আমি এমন মানুষ ও আছে যারা hospital নাম শুনলেই নাক সিটকায়। আজকাল যেন একটা ব্যাপার আরও বেড়ে গেছে। ডাক্তারদের প্রতি বিতৃষ্ঞা।খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি এপ্রন পরা দেখলে দোকানের সবজিওয়ালা থেকে রিকশ নিয়ে হাবিজাবি বলা শু করে।সবারই main অভিযোগ doctor দের visit,বাড়িগাড় ি ,টাকা পয়সা নিয়ে। ডাক্তাতরক ে ৫০০ টাকা visit দিলে খুব লাগে,অথচ আলতূ ফালতু কাজে কাড়িকাড়ি টাকা একবারও তাদের ভাবনায় আসে না কত কিছু,কত আনন্দ অবলিলায় বিসর্জন দিতে হয়েছে এঁদের। কী ভীষণ পরিশ্রম,struggl e আর মানসিক ধকল বছরের পর বছর tolerate করে তবেই ৫০০টাকা visit নেয়ার মতো doctor হওয়া যায়। কত ত্যাগের ফলে এক একটা degree অর্জন,কত কত দিন হেলায় ভুলে কত থাকতে হয়েছে চাঁদকে,জ বৃষ্টিকে,গানকে, জীবন ধারণের আনন্দকে........
Posted on: Sat, 28 Sep 2013 14:47:16 +0000

Trending Topics



Recently Viewed Topics




© 2015